সম্পাদকীয়
রুশ সাহিত্যিক ইভান তুর্গিয়েনেভ সুপুরুষ ছিলেন। ছিলেন মুখচোরা আর লাজুক। কৈশোরে তাঁর একবার খুব অসুখ হয়েছিল। সেরে উঠবার পর চিকিৎসক তাঁকে কিছুদিন নেভা নদীর তীরে নির্জনে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। নেভার পারে জেলেদের এক গ্রামে তখন বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন তুর্গিয়েনেভ। জেলেদের মেয়েরা জানত, এ রকম খানদানি ছেলে তাদের দিকে ফিরেও তাকাবে না। কিন্তু ওরা দেখল, ছেলেটা একেবারেই অহংকারী নয়। তিনি মেয়েদের দিকে তাকালেন।
এদেরই একটি মেয়ে মন কেড়ে নিল তুর্গিয়েনেভের। মেয়েটি পয়লা নম্বর সুন্দরী ছিল না, কিন্তু মন ভালো করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার। ইভান তুর্গিয়েনেভের সঙ্গে মেয়েটির সখ্য গড়ে উঠল। ইভান কিন্তু অন্য মেয়েদের সঙ্গেও ভদ্র মিষ্টি আচরণ করতেন, তাই কেউই ওর দিকে ঈর্ষার চোখে তাকায়নি।
তুর্গিয়েনেভ সম্পূর্ণ সেরে উঠলে ঠিক হলো তাঁকে যেতে হবে প্যারিসে। মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিতে এলেন তিনি। মেয়েটি কাঁদছিল। তুর্গিয়েনেভ বললেন, ‘এত কাঁদছ কেন? আমি তো আবার ফিরে আসব।’
তাতে মেয়েটির কান্না থামে না।
তুর্গিয়েনেভ আবার বলেন, ‘তোমার জন্য প্যারিস থেকে কী নিয়ে আসব?’
মেয়েটা কিছু চাইল না। বলল, ‘আমি শুধু চাই, তুমি ফিরে এসো।’
অনেক বলার পরে সে বলল, ‘আমার জন্য একটু সাবান নিয়ে এসো।’
জগতে এত কিছু থাকতে শুধু সাবান! তুর্গিয়েনেভ বললেন, ‘এত কিছু বাদ দিয়ে তুমি সাবান চাইলে?’
মেয়েটি বলল, ‘তুমি আমার হাতে চুমো খেতে ভালোবাস। কিন্তু আমার হাতে সব সময় থাকে আঁশটে গন্ধ। কিছুতেই ছাড়াতে পারি না। প্যারিসের সুগন্ধি সাবানে সে গন্ধ কেটে যাবে। তখন চুমো খেতে তোমার গন্ধ লাগবে না।’
সে গ্রামে আর কোনো দিন ফেরা হয়নি তুর্গিয়েনেভের। কিন্তু মেয়েটির সে কথা বুড়ো বয়স পর্যন্ত ভোলেননি তিনি।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলি-২, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
রুশ সাহিত্যিক ইভান তুর্গিয়েনেভ সুপুরুষ ছিলেন। ছিলেন মুখচোরা আর লাজুক। কৈশোরে তাঁর একবার খুব অসুখ হয়েছিল। সেরে উঠবার পর চিকিৎসক তাঁকে কিছুদিন নেভা নদীর তীরে নির্জনে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। নেভার পারে জেলেদের এক গ্রামে তখন বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন তুর্গিয়েনেভ। জেলেদের মেয়েরা জানত, এ রকম খানদানি ছেলে তাদের দিকে ফিরেও তাকাবে না। কিন্তু ওরা দেখল, ছেলেটা একেবারেই অহংকারী নয়। তিনি মেয়েদের দিকে তাকালেন।
এদেরই একটি মেয়ে মন কেড়ে নিল তুর্গিয়েনেভের। মেয়েটি পয়লা নম্বর সুন্দরী ছিল না, কিন্তু মন ভালো করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার। ইভান তুর্গিয়েনেভের সঙ্গে মেয়েটির সখ্য গড়ে উঠল। ইভান কিন্তু অন্য মেয়েদের সঙ্গেও ভদ্র মিষ্টি আচরণ করতেন, তাই কেউই ওর দিকে ঈর্ষার চোখে তাকায়নি।
তুর্গিয়েনেভ সম্পূর্ণ সেরে উঠলে ঠিক হলো তাঁকে যেতে হবে প্যারিসে। মেয়েটির কাছ থেকে বিদায় নিতে এলেন তিনি। মেয়েটি কাঁদছিল। তুর্গিয়েনেভ বললেন, ‘এত কাঁদছ কেন? আমি তো আবার ফিরে আসব।’
তাতে মেয়েটির কান্না থামে না।
তুর্গিয়েনেভ আবার বলেন, ‘তোমার জন্য প্যারিস থেকে কী নিয়ে আসব?’
মেয়েটা কিছু চাইল না। বলল, ‘আমি শুধু চাই, তুমি ফিরে এসো।’
অনেক বলার পরে সে বলল, ‘আমার জন্য একটু সাবান নিয়ে এসো।’
জগতে এত কিছু থাকতে শুধু সাবান! তুর্গিয়েনেভ বললেন, ‘এত কিছু বাদ দিয়ে তুমি সাবান চাইলে?’
মেয়েটি বলল, ‘তুমি আমার হাতে চুমো খেতে ভালোবাস। কিন্তু আমার হাতে সব সময় থাকে আঁশটে গন্ধ। কিছুতেই ছাড়াতে পারি না। প্যারিসের সুগন্ধি সাবানে সে গন্ধ কেটে যাবে। তখন চুমো খেতে তোমার গন্ধ লাগবে না।’
সে গ্রামে আর কোনো দিন ফেরা হয়নি তুর্গিয়েনেভের। কিন্তু মেয়েটির সে কথা বুড়ো বয়স পর্যন্ত ভোলেননি তিনি।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলি-২, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে