Ajker Patrika

চালের পর বাড়ল মসলার দাম

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুন ২০২২, ১৪: ২০
চালের পর বাড়ল মসলার দাম

নওগাঁর মান্দায় থামছেই না দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া। ধান ও চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও ভোজ্যতেলের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। লাগামহীন মাছ, মাংস, আলুসহ সবজির বাজার। এসব নিত্যপণ্যের পাশাপাশি কোরবানির আগেই হুহু করে বাড়ছে সব ধরনের মসলার দাম।

ভোক্তারা বলছেন, রোজার ঈদের পরও সব ধরনের মসলার বাজার স্থিতিশীল ছিল। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি জিরায় বেড়েছে ১০০ টাকা, দারুচিনিতে ১০০ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিকেজি সাদা এলাচে ১০০০ টাকা, কালো এলাচে ৪৫০ টাকা এবং লংয়ে ৪০০ টাকা বেড়েছে।

এ ছাড়া পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও প্রতি মণ রসুনের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি খোলা লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। শুকনো মরিচ কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিত্যপণ্যের সব ধরনের মালামালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলার দাম। হঠাৎ করে বাজার বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেকায়দায় পড়েছেন। এসব পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাঁরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে মসলা বেচাকেনার এমন চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলার চককানু গ্রামের এনামুল হক বলেন, কয়েক দিন আগেও ভালো মানের ১০০ গ্রাম জিরা ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেই ১০০ গ্রাম জিরা কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, ১০০ গ্রাম ছোট এলাচ ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় কেনা হলেও বর্তমানে ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

শাহজাহান আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। ধান ও চালের বাজার একটু কমলেও গমের বাজার অনেক চড়া। দেশে উৎপাদিত লবণের দাম হঠাৎ করেই কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এখন আবার মসলার বাজারেও আগুন ধরেছে। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বাজার তদারকি না থাকায় বেশি দামে পণ্য কিনে হরহামেশাই ঠকছেন ক্রেতারা।

এই চাকরিজীবী আরও বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আয় বাড়েনি। তাই অনেক হিসাব-নিকাশ করেই চলতে হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিমাণে কম পণ্য কিনে ব্যালান্স করতে হচ্ছে তাঁকে।

সচেতন মহলের অভিমত, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত তদারকি করতে হবে। প্রত্যেকটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের বিক্রির তালিকা টাঙাতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে পাইকারি বাজার মূল্য। এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তবে মসলার পাইকারি বিক্রেতা সরদার স্টোরের মালিক জালাল হোসেন সরদার বলেন, মসলা জাতীয় পণ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। আমদানিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকামেও দাম বেড়েছে। এ কারণে মোকাম থেকেই তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

এনসিটিবিতে দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি নেতা তানভীরের নাম, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়

‘হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা পালিয়েছে, আমি ফিরেছি’

ধর্ষণ ও তিন খুনের আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভয়ে বাদী

আটকের ভয়ে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান, বিকেলে বেরিয়ে আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত