মমতাজ বেগম
মমতাজ বেগম ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল অকল্পনীয়। ১৯৫১ সালে তিনি মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জও ছিল প্রতিবাদমুখর। বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল নারায়ণগঞ্জকে উত্তাল করে রেখেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা আলমাস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন প্রবীণ নেতা আবুল হাশিম, মুস্তাফা সারওয়ার, বজলুর রহমান, শফি হোসেন খান প্রমুখ। সেই সভা থেকেই জানা যায়, ঢাকায় গুলি চলেছে, শহীদ হয়েছেন কয়েকজন। মমতাজ বেগম সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে সেই সভায় মিছিল নিয়ে যোগ দেন। মর্গান স্কুলের ছাত্রীরা ছাড়াও সেই মিছিলে বিভিন্ন পেশার নারীরাও অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় নারায়ণগঞ্জে পর্দাঘেরা রিকশায় নারীরা চলাচল করতেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ ছিল দারুণ সাহসিকতার কাজ। ২২ ফেব্রুয়ারি চাষাঢ়া মাঠে একুশের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যে সভা হয়, তাতেও মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে নারীদের একটি বিরাট মিছিল এসে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। আন্দোলন সংগঠিত করতে রাজনৈতিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে গোপন মিটিং করেন মমতাজ বেগম।
নারায়ণগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মর্গান স্কুলের তহবিল তছরুপের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জনতা বুঝতে পারে প্রশাসনের অভিসন্ধি। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ কোর্ট প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। মমতাজ বেগমের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশভ্যানে তাঁকে ঢাকা কারাগারে নিয়ে আসার চেষ্টা চালালে জনতা তা বানচাল করে দেয়। পরে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত ইপিআর আর রিজার্ভ পুলিশ এনে রাতে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সরকার এই তেজস্বিনী নারীকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি কিনতে বলেছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামী মমতাজ বেগম, পৃষ্ঠা ৩০-৩২
মমতাজ বেগম ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল অকল্পনীয়। ১৯৫১ সালে তিনি মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জও ছিল প্রতিবাদমুখর। বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল নারায়ণগঞ্জকে উত্তাল করে রেখেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা আলমাস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন প্রবীণ নেতা আবুল হাশিম, মুস্তাফা সারওয়ার, বজলুর রহমান, শফি হোসেন খান প্রমুখ। সেই সভা থেকেই জানা যায়, ঢাকায় গুলি চলেছে, শহীদ হয়েছেন কয়েকজন। মমতাজ বেগম সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে সেই সভায় মিছিল নিয়ে যোগ দেন। মর্গান স্কুলের ছাত্রীরা ছাড়াও সেই মিছিলে বিভিন্ন পেশার নারীরাও অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় নারায়ণগঞ্জে পর্দাঘেরা রিকশায় নারীরা চলাচল করতেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ ছিল দারুণ সাহসিকতার কাজ। ২২ ফেব্রুয়ারি চাষাঢ়া মাঠে একুশের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যে সভা হয়, তাতেও মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে নারীদের একটি বিরাট মিছিল এসে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। আন্দোলন সংগঠিত করতে রাজনৈতিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে গোপন মিটিং করেন মমতাজ বেগম।
নারায়ণগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মর্গান স্কুলের তহবিল তছরুপের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জনতা বুঝতে পারে প্রশাসনের অভিসন্ধি। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ কোর্ট প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। মমতাজ বেগমের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশভ্যানে তাঁকে ঢাকা কারাগারে নিয়ে আসার চেষ্টা চালালে জনতা তা বানচাল করে দেয়। পরে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত ইপিআর আর রিজার্ভ পুলিশ এনে রাতে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সরকার এই তেজস্বিনী নারীকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি কিনতে বলেছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামী মমতাজ বেগম, পৃষ্ঠা ৩০-৩২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে