কমলগঞ্জে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে গেল কয়েক দিন ধরে। ধান কাটা, মাড়াই ও রোদে শুকাতে ব্যস্ত কৃষকেরা। মাঠের ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত কাজ করছেন তাঁরা। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে স্বস্তির হাসি। ধানের দামও ভালো। মণ প্রতি বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পতনঊষার, রহিমপুর, শমশেরনগর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটছেন কৃষকেরা। কেউ রাস্তায় রোদে ধান শুকাচ্ছেন কেউ মাড়াই করছেন। আবার কেউ বাড়িতে রাত জেগে ধান সিদ্ধ করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর আমন চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদিত চালের লাখ মাত্রা ৪৯ হাজর ৪৬ মেট্রিকটন। গেল বছর উপজেলায় ৪৮ হাজার ২১৮ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবেন। আমন ধান ঘরে তুলে বোরো ধান চাষ করার জন্য প্রায় ৩ হাজার কৃষককে সরকারিভাবে হাইব্রিড ধানের ২ কেজি বিজ ও প্রায় ৮০০ কৃষককে উফশি ধানের বিজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

রহিমপুর ইউনিয়নের নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পাঁচ একর জমিতে আমন ধান চাষ করছি, আমন ধান ঘরে তুলে বোরো ধান রোপণ করব। ফসল ভালো হয়েছে। শুরুতে পোকার আক্রমণে কিছুটা নষ্ট হয়েছিল, ধান ঘরে তোলার জন্য শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘এ উপজেলার মাটি ভালো থাকায় যেকোনো ফসল ভালো হয়। কৃষি কার্যালয় থেকে বোরোধান চাষ করার জন্য কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।