অজয় দাশগুপ্ত
গণতন্ত্র বলে যারা দেশ মাত করেন, তাঁদের কাছে একটা প্রশ্ন রাখতে চাই। গণতন্ত্র যে একটি মুদ্রা এবং তার দুটো পিঠ থাকে, সেটি ভুলে গেলে কি চলে? আপনারা বেশ কিছুদিন থেকে সরকার পতনের নামে উল্লাস করে চলেছেন। বলে রাখি, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ।
থাকি উন্নত নামে পরিচিত এক দেশে। যে দেশে গণতন্ত্রের জন্য হাহাকার করতে হয় না। বরং মাছ যেমন পানির ভেতর থেকে বুঝতে পারে না যে, সে পানিতে আছে, আমাদের হালও তা-ই। গণতন্ত্র এমনই যে আমাদের জীবনে তার অনুভব আছে কিন্তু হাহাকার নেই। এই যে বাস্তবতা, তার কারণ দীর্ঘদিনের চর্চা। চর্চা করতে করতে সমাজ এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, এর আর দরকারই পড়ে না।
আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, গণতন্ত্র বলতে আসলে আপনারা কী বোঝেন? কেন জানতে চাইছি? আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হয়, সরকার হটানোর নাম গণতন্ত্র। যে নির্বাচন হলে জনগণ যাদের ভোট দেয়, তারাই আসে দেশ শাসনে। কিন্তু কোন জনগণ? যারা আমেরিকাকে দুই চোখে দেখতে পারে না, ভাবে ইসলামবিরোধী নাসারাদের বন্ধু, তারাই কিনা বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের কট্টর সমর্থক?
আপনারা ভারতের কথা শুনলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। আকৈশোর শুনে এলাম ভারত শোষণ করছে। আওয়ামী লীগ দেশ শাসনে আসতে পারলে ভারতের অংশ হয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেটা যখন হলো না, তখন বলছেন এখন বাংলাদেশকে ভারতই শাসন করছে নানাভাবে। সে আপনারাই সবুর করে থাকেন মোদি যদি কোনোভাবে মত বদলায়, তো তিনিই হবেন পরম বান্ধব। আপনাদের একবার মনে হয় সুদ খাওয়া হারাম আবার মনে হয় সুদ নিলেও বিখ্যাতজন আপনাদেরই লোক হয়ে যায়। এসব দ্বিচারিতার নাম কি গণতন্ত্র?
কথাগুলো বলার কারণ আরও অনেক কারণে। শুধু এটাই বলতে চাই, মনোস্কামনা শুদ্ধ না হলে ঈশ্বরও তা পূরণ করেন না। লাফালাফি দৌড়-ঝাঁপই সার হয়। যে কথাটা বলা দরকার, আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? ধরুন একসময় রাজারা দেশ শাসন করতেন, তখন ছিল রাজা-বাদশাহর আমল। পরে দেখা গেল তাঁরা আর পারছেন না। কারণ, সমাজ বদলে গেছে। ঘোড়ার ডাক চিঠিপত্রের দিনকাল শেষ।
আধুনিক টেলিফোন-টেলিগ্রামের যুগে রাজসভা বা পর্ষদ অচল। তখন কিন্তু রাজাদের বিদায় নিতেই হলো। আজকের সমাজ বাস্তবতায় আপনারা কেন গতকালের কথা চিন্তা করবেন? স্কুল পর্যায় থেকে প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে দেশকে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে আপনারা কীভাবে চ্যালেঞ্জ করবেন? সে মেধা কি আছে? এ পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণ তো পেলাম না।
একটি আধুনিক সমাজ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ সহজ নয়। কিন্তু এটা তো ঠিক যে, অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে নানা দিক থেকে। সে দিকগুলো অস্বীকার করবেন কীভাবে? গণতন্ত্রের প্রথম সংজ্ঞাটাই আপনারা মানেন না। যার ভেতর থাকে শাসন ও সরকারের প্রতি আনুগত্য। অতঃপর তার বিরোধিতা। মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়া কোনো দেশ কি চলে?
ইতিহাস কি এমন বিষয় যে একেক সরকারের আমলে একেক ধরনের চেহারা হবে তার? বাংলাদেশের বেলায় তা হতেই পারে না। একাত্তর কোনো অলীক ঘটনা ছিল না। তার একটা ধারাবাহিকতা আছে। সে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই। তাঁকে না মেনে আপনি এ দেশের শাসনভার চালাবেন কীভাবে? সেটা তো চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল এই গণতন্ত্র স্পৃহা? বললে বলবেন অতীত টেনে আনছি।অতীত তো আসবেই। যত দিন আপনারা ’৫২, ’৬৯ ও ’৭১-এর ধারাবাহিকতা, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুলদের না মানবেন, তত দিন অতীত আসবেই। আপনারা মানবেন না। কারণ মানলে আপনাদের ঝুলিতে আর কিছুই থাকে না।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম ইতিহাস অসচেতন। বলা বাহুল্য এর বেশির ভাগ দায় সরকারের। কিন্তু আপনারা কী করছেন? ছলে বলে কৌশলে তাদের মাথা বিগড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। এমনই বেহাল দশা টিকটকার নামে পরিচিত এক হিরো আলমকে নিয়েও কম মাতামাতি হলো না। তার বারোটা বাজিয়ে দেওয়া আপনারা যখন দেখলেন সেও অবস্থা বুঝে গা ঢাকা দিচ্ছে, তার কদর গেল কমে।
বাংলার মানুষ এত বোকা না যে কার মেধা কতটা আর কার হাতে কী থাকলে মানায়, তা তারা বোঝে না। হঠাৎ যা গজিয়ে যায় তার নাম গাছ নয়—আগাছা। আপনারা গণতন্ত্রের নামে আগাছা বাড়িয়ে তুলতে চান।
বিদেশে আমাদের দেশের বহু মানুষের বসবাস। প্রায় এক কোটি মানুষ থাকেন বিদেশে। গুটিকয় মানুষ স্বাধীন দেশ ও মুক্ত সমাজের সুযোগ নিয়ে অপপ্রচার করলেই কি সমস্যার সমাধান মেলে? গণতান্ত্রিক দেশে বসবাসরত বাঙালি দিন শেষে এটা বোঝে তার দরকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আর উন্নয়ন। যত রকমের প্রশ্নবোধক থাক না কেন বাংলাদেশে এখন এই তিনটা বিষয় আছে। কীভাবে আছে, কতটা আছে, সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে; কিন্তু নেই বলা যাবে না। বরং আমি বলব সরকারি দলে বানের পানির মতো প্রবেশ আর অনুপ্রবেশ না ঘটলে তাদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেতেন না আপনারা।
একটা বিষয় খেয়াল করি, মধ্যবিত্ত আর মধ্যপন্থীদের গাত্রদাহ বেশি। এদের সঙ্গে আলাপকালে এটা বুঝতে কষ্ট হয় না তাদের যন্ত্রণা কোথায়? তারা পাকিস্তান ভাঙার বেদনা, বঙ্গবন্ধুর প্রসার, শেখ হাসিনার উন্নয়নে নারাজ। অথচ গরিব মানুষেরা দুঃখকষ্টে থাকলেও এরাই যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা আধুনিকায়নের সুবিধাভোগী। তবু তাদের মুখে খই ফুটছে। যেন সব সমস্যার সমাধান জানে তারা। ভোট দিতে পারলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে—এমন ভাবনায় সরলতা থাকতে পারে কিন্তু যুক্তি নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ ব্যতীত কারও জানা নেই আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে চলবে?
ভুলে যাচ্ছেন, দুনিয়ার সমীকরণও পাল্টে গেছে। এখন আর আমেরিকা, রাশিয়া এ দুই ভাগে বিভক্ত পৃথিবী নেই। চীন উঠে এসেছে। ভারত এখন অন্যতম বড় শক্তি। ব্রিকস নামের যে জোট, তাদের ভূমিকাও কম কিছু নয়। আপনারা এসব বোঝেন ঠিকই, কিন্তু মানতে চান না।
মানলে যে সত্য বেরিয়ে আসবে, তার মুখোমুখি হতে ভয় পান আপনারা। এই ভয় তাড়ানোই গণতন্ত্রের মূল কথা। স্পষ্ট করে বলেন কী চান ও কেন চান? কীভাবে গণতন্ত্র বজায় রাখবেন? কীভাবে দমন-নির্যাতন আর হবে না—এমনটা নিশ্চিত করবেন? শুধু আবেগ আর জ্বালাময়ী ভাষণে কাজ হবে না। আঠারো থেকে পঁচিশ—এমন বয়সীদের সঙ্গে কথা বললে বুঝি তারা শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে চেনে না।
জানে বঙ্গবন্ধু আমাদের নেতা। এর বাইরে দু-চারজন এরশাদকে জানলেও আপনাদের ঠিক জানে না। আগে তাদের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর না হয় গণতন্ত্রের কথা বলা যাবে। শান্তি, স্থিতি ও সুন্দরের নাম গণতন্ত্র। এটা নেতারা জানেন, কিন্তু নিজের গণ্ডি থেকে বের হতে ভয় পান। এটাই সমস্যা।
গণতন্ত্র বলে যারা দেশ মাত করেন, তাঁদের কাছে একটা প্রশ্ন রাখতে চাই। গণতন্ত্র যে একটি মুদ্রা এবং তার দুটো পিঠ থাকে, সেটি ভুলে গেলে কি চলে? আপনারা বেশ কিছুদিন থেকে সরকার পতনের নামে উল্লাস করে চলেছেন। বলে রাখি, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ।
থাকি উন্নত নামে পরিচিত এক দেশে। যে দেশে গণতন্ত্রের জন্য হাহাকার করতে হয় না। বরং মাছ যেমন পানির ভেতর থেকে বুঝতে পারে না যে, সে পানিতে আছে, আমাদের হালও তা-ই। গণতন্ত্র এমনই যে আমাদের জীবনে তার অনুভব আছে কিন্তু হাহাকার নেই। এই যে বাস্তবতা, তার কারণ দীর্ঘদিনের চর্চা। চর্চা করতে করতে সমাজ এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, এর আর দরকারই পড়ে না।
আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, গণতন্ত্র বলতে আসলে আপনারা কী বোঝেন? কেন জানতে চাইছি? আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হয়, সরকার হটানোর নাম গণতন্ত্র। যে নির্বাচন হলে জনগণ যাদের ভোট দেয়, তারাই আসে দেশ শাসনে। কিন্তু কোন জনগণ? যারা আমেরিকাকে দুই চোখে দেখতে পারে না, ভাবে ইসলামবিরোধী নাসারাদের বন্ধু, তারাই কিনা বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের কট্টর সমর্থক?
আপনারা ভারতের কথা শুনলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। আকৈশোর শুনে এলাম ভারত শোষণ করছে। আওয়ামী লীগ দেশ শাসনে আসতে পারলে ভারতের অংশ হয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেটা যখন হলো না, তখন বলছেন এখন বাংলাদেশকে ভারতই শাসন করছে নানাভাবে। সে আপনারাই সবুর করে থাকেন মোদি যদি কোনোভাবে মত বদলায়, তো তিনিই হবেন পরম বান্ধব। আপনাদের একবার মনে হয় সুদ খাওয়া হারাম আবার মনে হয় সুদ নিলেও বিখ্যাতজন আপনাদেরই লোক হয়ে যায়। এসব দ্বিচারিতার নাম কি গণতন্ত্র?
কথাগুলো বলার কারণ আরও অনেক কারণে। শুধু এটাই বলতে চাই, মনোস্কামনা শুদ্ধ না হলে ঈশ্বরও তা পূরণ করেন না। লাফালাফি দৌড়-ঝাঁপই সার হয়। যে কথাটা বলা দরকার, আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? ধরুন একসময় রাজারা দেশ শাসন করতেন, তখন ছিল রাজা-বাদশাহর আমল। পরে দেখা গেল তাঁরা আর পারছেন না। কারণ, সমাজ বদলে গেছে। ঘোড়ার ডাক চিঠিপত্রের দিনকাল শেষ।
আধুনিক টেলিফোন-টেলিগ্রামের যুগে রাজসভা বা পর্ষদ অচল। তখন কিন্তু রাজাদের বিদায় নিতেই হলো। আজকের সমাজ বাস্তবতায় আপনারা কেন গতকালের কথা চিন্তা করবেন? স্কুল পর্যায় থেকে প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে দেশকে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে আপনারা কীভাবে চ্যালেঞ্জ করবেন? সে মেধা কি আছে? এ পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণ তো পেলাম না।
একটি আধুনিক সমাজ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ সহজ নয়। কিন্তু এটা তো ঠিক যে, অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে নানা দিক থেকে। সে দিকগুলো অস্বীকার করবেন কীভাবে? গণতন্ত্রের প্রথম সংজ্ঞাটাই আপনারা মানেন না। যার ভেতর থাকে শাসন ও সরকারের প্রতি আনুগত্য। অতঃপর তার বিরোধিতা। মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়া কোনো দেশ কি চলে?
ইতিহাস কি এমন বিষয় যে একেক সরকারের আমলে একেক ধরনের চেহারা হবে তার? বাংলাদেশের বেলায় তা হতেই পারে না। একাত্তর কোনো অলীক ঘটনা ছিল না। তার একটা ধারাবাহিকতা আছে। সে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই। তাঁকে না মেনে আপনি এ দেশের শাসনভার চালাবেন কীভাবে? সেটা তো চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল এই গণতন্ত্র স্পৃহা? বললে বলবেন অতীত টেনে আনছি।অতীত তো আসবেই। যত দিন আপনারা ’৫২, ’৬৯ ও ’৭১-এর ধারাবাহিকতা, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুলদের না মানবেন, তত দিন অতীত আসবেই। আপনারা মানবেন না। কারণ মানলে আপনাদের ঝুলিতে আর কিছুই থাকে না।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম ইতিহাস অসচেতন। বলা বাহুল্য এর বেশির ভাগ দায় সরকারের। কিন্তু আপনারা কী করছেন? ছলে বলে কৌশলে তাদের মাথা বিগড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। এমনই বেহাল দশা টিকটকার নামে পরিচিত এক হিরো আলমকে নিয়েও কম মাতামাতি হলো না। তার বারোটা বাজিয়ে দেওয়া আপনারা যখন দেখলেন সেও অবস্থা বুঝে গা ঢাকা দিচ্ছে, তার কদর গেল কমে।
বাংলার মানুষ এত বোকা না যে কার মেধা কতটা আর কার হাতে কী থাকলে মানায়, তা তারা বোঝে না। হঠাৎ যা গজিয়ে যায় তার নাম গাছ নয়—আগাছা। আপনারা গণতন্ত্রের নামে আগাছা বাড়িয়ে তুলতে চান।
বিদেশে আমাদের দেশের বহু মানুষের বসবাস। প্রায় এক কোটি মানুষ থাকেন বিদেশে। গুটিকয় মানুষ স্বাধীন দেশ ও মুক্ত সমাজের সুযোগ নিয়ে অপপ্রচার করলেই কি সমস্যার সমাধান মেলে? গণতান্ত্রিক দেশে বসবাসরত বাঙালি দিন শেষে এটা বোঝে তার দরকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আর উন্নয়ন। যত রকমের প্রশ্নবোধক থাক না কেন বাংলাদেশে এখন এই তিনটা বিষয় আছে। কীভাবে আছে, কতটা আছে, সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে; কিন্তু নেই বলা যাবে না। বরং আমি বলব সরকারি দলে বানের পানির মতো প্রবেশ আর অনুপ্রবেশ না ঘটলে তাদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেতেন না আপনারা।
একটা বিষয় খেয়াল করি, মধ্যবিত্ত আর মধ্যপন্থীদের গাত্রদাহ বেশি। এদের সঙ্গে আলাপকালে এটা বুঝতে কষ্ট হয় না তাদের যন্ত্রণা কোথায়? তারা পাকিস্তান ভাঙার বেদনা, বঙ্গবন্ধুর প্রসার, শেখ হাসিনার উন্নয়নে নারাজ। অথচ গরিব মানুষেরা দুঃখকষ্টে থাকলেও এরাই যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা আধুনিকায়নের সুবিধাভোগী। তবু তাদের মুখে খই ফুটছে। যেন সব সমস্যার সমাধান জানে তারা। ভোট দিতে পারলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে—এমন ভাবনায় সরলতা থাকতে পারে কিন্তু যুক্তি নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ ব্যতীত কারও জানা নেই আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে চলবে?
ভুলে যাচ্ছেন, দুনিয়ার সমীকরণও পাল্টে গেছে। এখন আর আমেরিকা, রাশিয়া এ দুই ভাগে বিভক্ত পৃথিবী নেই। চীন উঠে এসেছে। ভারত এখন অন্যতম বড় শক্তি। ব্রিকস নামের যে জোট, তাদের ভূমিকাও কম কিছু নয়। আপনারা এসব বোঝেন ঠিকই, কিন্তু মানতে চান না।
মানলে যে সত্য বেরিয়ে আসবে, তার মুখোমুখি হতে ভয় পান আপনারা। এই ভয় তাড়ানোই গণতন্ত্রের মূল কথা। স্পষ্ট করে বলেন কী চান ও কেন চান? কীভাবে গণতন্ত্র বজায় রাখবেন? কীভাবে দমন-নির্যাতন আর হবে না—এমনটা নিশ্চিত করবেন? শুধু আবেগ আর জ্বালাময়ী ভাষণে কাজ হবে না। আঠারো থেকে পঁচিশ—এমন বয়সীদের সঙ্গে কথা বললে বুঝি তারা শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে চেনে না।
জানে বঙ্গবন্ধু আমাদের নেতা। এর বাইরে দু-চারজন এরশাদকে জানলেও আপনাদের ঠিক জানে না। আগে তাদের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর না হয় গণতন্ত্রের কথা বলা যাবে। শান্তি, স্থিতি ও সুন্দরের নাম গণতন্ত্র। এটা নেতারা জানেন, কিন্তু নিজের গণ্ডি থেকে বের হতে ভয় পান। এটাই সমস্যা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪