খান রফিক, বরিশাল
দু-তিন সপ্তাহ ধরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। যদিও সবটা ঠিক ইলিশ নয়, বড় একটি অংশ জাটকা। শীতের এই সময়ে এত ইলিশ-জাটকা সাধারণত দেখা যায় না। ইলিশ ধরা পড়লে ভালোই লাগে, কিন্তু সঙ্গে জাটকা উদ্বেগ জাগায়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বরং প্রজনন মৌসুমে ইলিশ যে ঠিকঠাক ডিম ছাড়তে পেরেছে সেটা নিশ্চিত করে এই জাটকা। না ধরে এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
আর বড় ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি মূল্যায়ন আছে। তাঁরা বলছেন, শীতের এই সময়ে ইলিশের একটি প্রজনন মৌসুম আছে। গবেষণার অভাবে এ মৌসুমটি এত দিন সুপ্ত ছিল। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির এই সুপ্ত মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়া আশার কথা।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে ইলিশ ধরা পড়ে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। পরের বছর ২০২১ সালে একই সময়ে সেটা ছিল ২০ হাজার ৬০০ টন। আর এ বছর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ধরা পড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৪০০ টন। এখন যে হারে ইলিশ ধরা পড়ছে, তাতে বাকি ১৫ দিনে ২০২১ সালের রেকর্ড ভেঙে ইলিশ আহরণ ২১ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে প্রায় সাড়ে ১৩ টন জাটকা জব্দ করা করা হয়। পরের বছর সাড়ে ২৬ টন। এ বছর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সেটা হয়েছে ১৮ টন। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, যে হারে জাটকা ধরা পড়ছে তাতে এ মাসের বাকি ১৫ দিনে জাটকা জব্দের পরিমাণ ৩৫ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যে কারণে দ্বিগুণ বেড়েছে জাটকা ৮০ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়ে আশ্বিনের পূর্ণিমায়। প্রজনন নিরাপদ করার জন্য প্রতিবছর আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে মোট ২২ দিন নদী-সাগরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এবার নিষেধাজ্ঞা ছিল গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর। নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যবেক্ষণের পর চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ৪ নভেম্বর জানিয়েছে, ২২ দিনে ইলিশের মূল অভয়াশ্রম পদ্মা-মেঘনায় ৫১ দশমিক ৭ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। যা আগের বছরের রেকর্ড ৫১ দশমিক ২ শতাংশ অতিক্রম করে।
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিমের ১০ শতাংশ টিকে থাকলে ৪০ হাজার কোটি জাটকা জন্মাবে। সেগুলো নিরাপদে বড় হতে পারলে বছর শেষে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে পৌনে ৬ লাখ মেট্রিক টন। এতে ছাড়িয়ে যাবে গত বছরের রেকর্ড। যে কারণে বেশি পরিমাণ জাটকা ধরা পড়া স্বাভাবিক বিষয়। এখন যেকোনো মূল্যে এই জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, গত ৫ বছরে এত জাটকা দেখা যায়নি। এগুলো রক্ষা করতে পারলে ইলিশের বাম্পার উৎপাদন হবে।
ইলিশের সুপ্ত সেকেন্ড সিজন বেশি পরিমাণে বড় ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়ে ইলিশ বিশেষজ্ঞ আনিছুর রহমান বলেন, এই শীতে ইলিশের মাইনর ব্রিডিং টাইম চলছে। এটি সুপ্ত প্রজনন মৌসুম। এই মৌসুমটা ধরে রাখার জন্য সরকারকে গবেষণা করতে হবে। তাহলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
গবেষণার অভাবে ইলিশের এ মৌসুমটি সুপ্ত ছিল বলে মনে করেন আনিছুর রহমান। এখন বেশি ইলিশ ধরা পড়ায় শঙ্কার কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির এই সুপ্ত মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়া আশার কথা।’
একই রকম কথা বললেন বরিশালের নদ-নদীতে ইলিশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ইলিশের সেকেন্ড সিজন মনে হচ্ছে। এ সময় ইলিশ বাড়ছে, দামও কমেছে। নজরদারি বাড়ালে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
জেলেদের ভাষ্য বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের আদর্শগ্রামের জেলে আ. ছালাম বলেন, জাল ভরে জাটকা উঠছে। এটি না থামানো গেলে ভরা মৌসুমে বিপদ।
আর তালতলির জেলে আব্দুর রহমান জানান, আড়িয়াল খাঁ নদে জাটকার পাশাপাশি এখন ইলিশও ধরা পড়ছে। তাই লোভ সামলাতে না পেরে শত শত জেলে নদীতে নেমে পড়েছেন।
দু-তিন সপ্তাহ ধরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। যদিও সবটা ঠিক ইলিশ নয়, বড় একটি অংশ জাটকা। শীতের এই সময়ে এত ইলিশ-জাটকা সাধারণত দেখা যায় না। ইলিশ ধরা পড়লে ভালোই লাগে, কিন্তু সঙ্গে জাটকা উদ্বেগ জাগায়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বরং প্রজনন মৌসুমে ইলিশ যে ঠিকঠাক ডিম ছাড়তে পেরেছে সেটা নিশ্চিত করে এই জাটকা। না ধরে এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
আর বড় ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি মূল্যায়ন আছে। তাঁরা বলছেন, শীতের এই সময়ে ইলিশের একটি প্রজনন মৌসুম আছে। গবেষণার অভাবে এ মৌসুমটি এত দিন সুপ্ত ছিল। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির এই সুপ্ত মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়া আশার কথা।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে ইলিশ ধরা পড়ে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। পরের বছর ২০২১ সালে একই সময়ে সেটা ছিল ২০ হাজার ৬০০ টন। আর এ বছর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ধরা পড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৪০০ টন। এখন যে হারে ইলিশ ধরা পড়ছে, তাতে বাকি ১৫ দিনে ২০২১ সালের রেকর্ড ভেঙে ইলিশ আহরণ ২১ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে প্রায় সাড়ে ১৩ টন জাটকা জব্দ করা করা হয়। পরের বছর সাড়ে ২৬ টন। এ বছর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সেটা হয়েছে ১৮ টন। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, যে হারে জাটকা ধরা পড়ছে তাতে এ মাসের বাকি ১৫ দিনে জাটকা জব্দের পরিমাণ ৩৫ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যে কারণে দ্বিগুণ বেড়েছে জাটকা ৮০ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়ে আশ্বিনের পূর্ণিমায়। প্রজনন নিরাপদ করার জন্য প্রতিবছর আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে মোট ২২ দিন নদী-সাগরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এবার নিষেধাজ্ঞা ছিল গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর। নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যবেক্ষণের পর চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ৪ নভেম্বর জানিয়েছে, ২২ দিনে ইলিশের মূল অভয়াশ্রম পদ্মা-মেঘনায় ৫১ দশমিক ৭ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। যা আগের বছরের রেকর্ড ৫১ দশমিক ২ শতাংশ অতিক্রম করে।
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিমের ১০ শতাংশ টিকে থাকলে ৪০ হাজার কোটি জাটকা জন্মাবে। সেগুলো নিরাপদে বড় হতে পারলে বছর শেষে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে পৌনে ৬ লাখ মেট্রিক টন। এতে ছাড়িয়ে যাবে গত বছরের রেকর্ড। যে কারণে বেশি পরিমাণ জাটকা ধরা পড়া স্বাভাবিক বিষয়। এখন যেকোনো মূল্যে এই জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, গত ৫ বছরে এত জাটকা দেখা যায়নি। এগুলো রক্ষা করতে পারলে ইলিশের বাম্পার উৎপাদন হবে।
ইলিশের সুপ্ত সেকেন্ড সিজন বেশি পরিমাণে বড় ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়ে ইলিশ বিশেষজ্ঞ আনিছুর রহমান বলেন, এই শীতে ইলিশের মাইনর ব্রিডিং টাইম চলছে। এটি সুপ্ত প্রজনন মৌসুম। এই মৌসুমটা ধরে রাখার জন্য সরকারকে গবেষণা করতে হবে। তাহলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
গবেষণার অভাবে ইলিশের এ মৌসুমটি সুপ্ত ছিল বলে মনে করেন আনিছুর রহমান। এখন বেশি ইলিশ ধরা পড়ায় শঙ্কার কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির এই সুপ্ত মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়া আশার কথা।’
একই রকম কথা বললেন বরিশালের নদ-নদীতে ইলিশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ইলিশের সেকেন্ড সিজন মনে হচ্ছে। এ সময় ইলিশ বাড়ছে, দামও কমেছে। নজরদারি বাড়ালে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
জেলেদের ভাষ্য বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের আদর্শগ্রামের জেলে আ. ছালাম বলেন, জাল ভরে জাটকা উঠছে। এটি না থামানো গেলে ভরা মৌসুমে বিপদ।
আর তালতলির জেলে আব্দুর রহমান জানান, আড়িয়াল খাঁ নদে জাটকার পাশাপাশি এখন ইলিশও ধরা পড়ছে। তাই লোভ সামলাতে না পেরে শত শত জেলে নদীতে নেমে পড়েছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪