সম্পাদকীয়
দূরের পদ্মা এসে হাজির হলো গ্রামের কাছে। দূর থেকে যে পদ্মাকে দেখে আসতে হতো, তা আশপাশের চর ভাঙতে ভাঙতে ফুঁসতে লাগল। গোল গোল ঘূর্ণিগুলো প্রথমে এসে মাটিকে আঘাত করে। তারপর পাড়ের নিচের মাটি ধুয়ে ফেলে। এরপর বিকট শব্দে গাছগাছালিসহ অনেকখানি জমি পানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
পদ্মা কারও কথা শোনে না। কিন্তু অসহায় মানুষদের পাশে তো দাঁড়াতে হবে। জসীমউদ্দীন আলাপে বসেন মনাদার সঙ্গে। স্কুলের বড় ছেলেরা তো ঘরহীন মানুষের ভাঙা ঘরগুলো নিয়ে বন্যার ভয়হীন জায়গায় রেখে আসতে পারে। ছোট ছেলেরা তাদের হাঁড়ি-পাতিল, আসবাব নিরাপদ জায়গায় রেখে আসতে পারে। মনাদা একটা আবেদন করলেন স্কুলের হেডমাস্টার বরাবর। হেডমাস্টার সাহেব খুব খুশি হলেন। ক্লাসে ক্লাসে প্রচার করার হুকুম দিলেন তিনি। স্কুলের ছেলেরা দলে দলে সাহায্য করতে ছুটল।
ফরিদপুরের দুই প্রসিদ্ধ উকিল বাবু পূর্ণচন্দ্র মৈত্র আর মথারানাথ মৈত্রের চোখে তা ভালো লাগল না। তাঁরা দুজন চিঠি লিখলেন হেডমাস্টার বরাবর, বললেন, ‘নদীভাঙনের লোকদিগকে ছেলেরা যে সাহায্য করিতে যাইতেছে, তাহারা যদি জলে ডুবিয়া মরে, সে জন্য কে দায়ী হইবে?’ হেডমাস্টার পরদিন থেকে ছাত্রদের আর সাহায্যে যেতে অনুমতি দিলেন না।
তখন মনাদা উকিল দুজনের নামে অনামী পত্র লিখলেন। এই দুই উকিল এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তাই চিঠিতে মনাদা লিখলেন, ‘তাঁরা দুজন কোন অধিকারে পূর্ববঙ্গের ছেলেদের অভিভাবক হইয়া বসিলেন? অসহায় গ্রামবাসীদের দুঃখে পূর্ববঙ্গের ছেলেদের সেবাকার্যে যদি তাহারা সত্য সত্যই বাধা হইয়া দাঁড়ান, তবে ইহার প্রতিকার পূর্ববঙ্গের ছেলেরাই করিবে।’
এটি লাইব্রেরির নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিলেন মনাদা আর জসীম। নোটিশখানি পড়ে অন্য সব উকিল ওই দুই উকিলের নামে ছি ছি করতে লাগলেন। আর মৈত্রদ্বয় ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। তাঁরা ভাবলেন এ বিপ্লবীদের কাজ। তাঁরা নিজেদের চিঠি প্রত্যাহার করে নিলেন। ছেলেরা আবার অসহায় মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে শুরু করল।
সূত্র: জসীমউদ্দীন, জীবনকথা, পৃষ্ঠা ২৩০-২৩২
দূরের পদ্মা এসে হাজির হলো গ্রামের কাছে। দূর থেকে যে পদ্মাকে দেখে আসতে হতো, তা আশপাশের চর ভাঙতে ভাঙতে ফুঁসতে লাগল। গোল গোল ঘূর্ণিগুলো প্রথমে এসে মাটিকে আঘাত করে। তারপর পাড়ের নিচের মাটি ধুয়ে ফেলে। এরপর বিকট শব্দে গাছগাছালিসহ অনেকখানি জমি পানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
পদ্মা কারও কথা শোনে না। কিন্তু অসহায় মানুষদের পাশে তো দাঁড়াতে হবে। জসীমউদ্দীন আলাপে বসেন মনাদার সঙ্গে। স্কুলের বড় ছেলেরা তো ঘরহীন মানুষের ভাঙা ঘরগুলো নিয়ে বন্যার ভয়হীন জায়গায় রেখে আসতে পারে। ছোট ছেলেরা তাদের হাঁড়ি-পাতিল, আসবাব নিরাপদ জায়গায় রেখে আসতে পারে। মনাদা একটা আবেদন করলেন স্কুলের হেডমাস্টার বরাবর। হেডমাস্টার সাহেব খুব খুশি হলেন। ক্লাসে ক্লাসে প্রচার করার হুকুম দিলেন তিনি। স্কুলের ছেলেরা দলে দলে সাহায্য করতে ছুটল।
ফরিদপুরের দুই প্রসিদ্ধ উকিল বাবু পূর্ণচন্দ্র মৈত্র আর মথারানাথ মৈত্রের চোখে তা ভালো লাগল না। তাঁরা দুজন চিঠি লিখলেন হেডমাস্টার বরাবর, বললেন, ‘নদীভাঙনের লোকদিগকে ছেলেরা যে সাহায্য করিতে যাইতেছে, তাহারা যদি জলে ডুবিয়া মরে, সে জন্য কে দায়ী হইবে?’ হেডমাস্টার পরদিন থেকে ছাত্রদের আর সাহায্যে যেতে অনুমতি দিলেন না।
তখন মনাদা উকিল দুজনের নামে অনামী পত্র লিখলেন। এই দুই উকিল এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তাই চিঠিতে মনাদা লিখলেন, ‘তাঁরা দুজন কোন অধিকারে পূর্ববঙ্গের ছেলেদের অভিভাবক হইয়া বসিলেন? অসহায় গ্রামবাসীদের দুঃখে পূর্ববঙ্গের ছেলেদের সেবাকার্যে যদি তাহারা সত্য সত্যই বাধা হইয়া দাঁড়ান, তবে ইহার প্রতিকার পূর্ববঙ্গের ছেলেরাই করিবে।’
এটি লাইব্রেরির নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিলেন মনাদা আর জসীম। নোটিশখানি পড়ে অন্য সব উকিল ওই দুই উকিলের নামে ছি ছি করতে লাগলেন। আর মৈত্রদ্বয় ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। তাঁরা ভাবলেন এ বিপ্লবীদের কাজ। তাঁরা নিজেদের চিঠি প্রত্যাহার করে নিলেন। ছেলেরা আবার অসহায় মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে শুরু করল।
সূত্র: জসীমউদ্দীন, জীবনকথা, পৃষ্ঠা ২৩০-২৩২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে