সম্পাদকীয়
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ছেলেবেলা থেকেই ভিন্ন গোত্রের মানুষ ছিলেন। নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়েই তা প্রমাণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন হিন্দু-
মুসলিম মিলনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা।
এই ক্ষণজন্মা মানুষটি ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কলকাতার পটলডাঙা স্ট্রিটের এক বাড়িতে। আদিবাড়ি বিক্রমপুরের তেলিরবাগ। সেই অর্থে নিজেকে ‘বিক্রমপুরবাসী’ বলেছেন আজীবন।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাকে অখণ্ড রেখে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে হলে, হিন্দু-মুসলমানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতার প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের। তাই তিনি ১৯২৩ সালে তাঁর বিখ্যাত হিন্দু-মুসলিম চুক্তি ‘বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তি’ সম্পাদন করেন।
এই নেতা রাজনীতি করতে গিয়ে ব্রিটিশদের রোষানলে পড়ে বহুবার জেল খেটেছেন। ১৮৯৩ সালে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে দেশে ফিরে আইন পেশায় যুক্ত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি গোপনে বিপ্লবী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯০৩ সালে কলকাতায় প্রমথ মিত্র ও তিনি মিলে অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি এর সহসভাপতি ছিলেন। অরবিন্দ ঘোষের ‘বন্দে মাতরম’ পত্রিকার সঙ্গেও তাঁর যুক্ততা ছিল।
১৯০৬ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। একসময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে স্বরাজ্য দল প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্বরাজ্য দলের প্রার্থী হয়েই ১৯২৪ সালে কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন।
ওকালতি করে যে দেশপ্রেমের পরিচয় দেওয়া যায়, তা তিনি করেছেন। যেসব রাজনৈতিক বন্দীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠত, তাঁদের তিনি মুক্ত করে আনতেন অসাধারণ মেধার গুণে। শুধু আইনের জগতে নয়, সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।
৫৪ বছর বয়সে দেশবন্ধু মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর পৈতৃক বসতবাড়িটি জনসাধারণের জন্য দান করে যান। সেখানে চিত্তরঞ্জন সেবাসদন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে বরীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/ মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান’। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর পর জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্মরণে ‘দেশবন্ধুর প্রয়াণে’ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ছেলেবেলা থেকেই ভিন্ন গোত্রের মানুষ ছিলেন। নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়েই তা প্রমাণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন হিন্দু-
মুসলিম মিলনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা।
এই ক্ষণজন্মা মানুষটি ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কলকাতার পটলডাঙা স্ট্রিটের এক বাড়িতে। আদিবাড়ি বিক্রমপুরের তেলিরবাগ। সেই অর্থে নিজেকে ‘বিক্রমপুরবাসী’ বলেছেন আজীবন।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাকে অখণ্ড রেখে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে হলে, হিন্দু-মুসলমানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতার প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের। তাই তিনি ১৯২৩ সালে তাঁর বিখ্যাত হিন্দু-মুসলিম চুক্তি ‘বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তি’ সম্পাদন করেন।
এই নেতা রাজনীতি করতে গিয়ে ব্রিটিশদের রোষানলে পড়ে বহুবার জেল খেটেছেন। ১৮৯৩ সালে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে দেশে ফিরে আইন পেশায় যুক্ত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি গোপনে বিপ্লবী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯০৩ সালে কলকাতায় প্রমথ মিত্র ও তিনি মিলে অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি এর সহসভাপতি ছিলেন। অরবিন্দ ঘোষের ‘বন্দে মাতরম’ পত্রিকার সঙ্গেও তাঁর যুক্ততা ছিল।
১৯০৬ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। একসময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে স্বরাজ্য দল প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্বরাজ্য দলের প্রার্থী হয়েই ১৯২৪ সালে কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন।
ওকালতি করে যে দেশপ্রেমের পরিচয় দেওয়া যায়, তা তিনি করেছেন। যেসব রাজনৈতিক বন্দীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠত, তাঁদের তিনি মুক্ত করে আনতেন অসাধারণ মেধার গুণে। শুধু আইনের জগতে নয়, সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।
৫৪ বছর বয়সে দেশবন্ধু মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর পৈতৃক বসতবাড়িটি জনসাধারণের জন্য দান করে যান। সেখানে চিত্তরঞ্জন সেবাসদন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে বরীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/ মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান’। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর পর জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্মরণে ‘দেশবন্ধুর প্রয়াণে’ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে