সম্পাদকীয়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কখনোই ভাবেননি যে ঢাকায় আসতে হলে এত কাঠখড় পোড়াতে হবে তাঁকে। আগে যখন এসেছেন, তখন এয়ারপোর্টে কেউ তাঁকে আটকে রাখেনি। ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন অন্যরা যেভাবে পার হয়, সেভাবেই। কিন্তু ১৯৮৭ সালে এয়ারপোর্টে নেমে বিপদে পড়লেন তিনি।
সে সময় জেনারেল এরশাদের শাসনামল। সুনীল একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক, তাঁর হাতে দেশভ্রমণের সব বৈধ কাগজপত্র আছে, কিন্তু ঢাকার এয়ারপোর্টে তাঁকে আটকে রাখা হলো পাক্কা ছয় ঘণ্টা। এ কথা অনেকেই জানেন, সুনীলের জন্ম বাংলাদেশেরই ফরিদপুরে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অন্য অনেকের মতোই তিনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। অথচ এয়ারপোর্টে তাঁকে যেন কেউ চেনেই না। অথবা চেনে বলেই তাঁকে যথেষ্ট হেনস্তা করা হচ্ছে। পরিহাসের ব্যাপার হলো, সে সময় পাকিস্তানের তাঁবেদার গোলাম আযম পাকিস্তানের নাগরিক হয়েও বহাল তবিয়তে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। তাঁর এই বেআইনি অবস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এরশাদও সেটা বহাল রেখেছিলেন। এরপর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়েছিল সে ইতিহাস। সে কথা এখানে নয়।
সুনীল ছাড়া পেলেন ঢাকায় থাকা বন্ধুদের সহায়তায়। স্থপতি রবিউল হুসাইন ফোন করলেন মওদুদ আহমদকে। বিমানবন্দরে ছুটে গেলেন বেলাল চৌধুরী, রফিক আজাদ, রবিউল হুসাইন প্রমুখ। আমাদের সংকীর্ণতা আর হীনম্মন্যতার শিকল থেকে ছাড়িয়ে আনলেন সুনীলকে। ঢাকার বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হলেন সুনীল। আড্ডা দিলেন।
এরপরও অনেকবার ঢাকায় এসেছেন সুনীল। এয়ারপোর্টে হেনস্তার কথা কোথাও উল্লেখ করেননি। তবে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের গদ্যশিল্পী রশীদ করীমকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমি ঢাকায় যাই, তুমি, শামসুর রাহমান, বেলাল, রফিক এই রকম কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও আমার নিশ্চিত নাড়ির টান রয়েছে।…এখন শুনছি আমার ঢাকা যাওয়াটা অনেকে ভালো চোখে দেখেন না।
তা যদি হয়, তাহলে আর যাব না। তোমরা এসো কলকাতায়, এখানেই আড্ডা হবে।’
সূত্র: ইকবাল হাসান, দূরের মানুষ, কাছের মানুষ, পৃষ্ঠা ২৫-২৭
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কখনোই ভাবেননি যে ঢাকায় আসতে হলে এত কাঠখড় পোড়াতে হবে তাঁকে। আগে যখন এসেছেন, তখন এয়ারপোর্টে কেউ তাঁকে আটকে রাখেনি। ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন অন্যরা যেভাবে পার হয়, সেভাবেই। কিন্তু ১৯৮৭ সালে এয়ারপোর্টে নেমে বিপদে পড়লেন তিনি।
সে সময় জেনারেল এরশাদের শাসনামল। সুনীল একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক, তাঁর হাতে দেশভ্রমণের সব বৈধ কাগজপত্র আছে, কিন্তু ঢাকার এয়ারপোর্টে তাঁকে আটকে রাখা হলো পাক্কা ছয় ঘণ্টা। এ কথা অনেকেই জানেন, সুনীলের জন্ম বাংলাদেশেরই ফরিদপুরে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অন্য অনেকের মতোই তিনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। অথচ এয়ারপোর্টে তাঁকে যেন কেউ চেনেই না। অথবা চেনে বলেই তাঁকে যথেষ্ট হেনস্তা করা হচ্ছে। পরিহাসের ব্যাপার হলো, সে সময় পাকিস্তানের তাঁবেদার গোলাম আযম পাকিস্তানের নাগরিক হয়েও বহাল তবিয়তে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। তাঁর এই বেআইনি অবস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এরশাদও সেটা বহাল রেখেছিলেন। এরপর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়েছিল সে ইতিহাস। সে কথা এখানে নয়।
সুনীল ছাড়া পেলেন ঢাকায় থাকা বন্ধুদের সহায়তায়। স্থপতি রবিউল হুসাইন ফোন করলেন মওদুদ আহমদকে। বিমানবন্দরে ছুটে গেলেন বেলাল চৌধুরী, রফিক আজাদ, রবিউল হুসাইন প্রমুখ। আমাদের সংকীর্ণতা আর হীনম্মন্যতার শিকল থেকে ছাড়িয়ে আনলেন সুনীলকে। ঢাকার বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হলেন সুনীল। আড্ডা দিলেন।
এরপরও অনেকবার ঢাকায় এসেছেন সুনীল। এয়ারপোর্টে হেনস্তার কথা কোথাও উল্লেখ করেননি। তবে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের গদ্যশিল্পী রশীদ করীমকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমি ঢাকায় যাই, তুমি, শামসুর রাহমান, বেলাল, রফিক এই রকম কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও আমার নিশ্চিত নাড়ির টান রয়েছে।…এখন শুনছি আমার ঢাকা যাওয়াটা অনেকে ভালো চোখে দেখেন না।
তা যদি হয়, তাহলে আর যাব না। তোমরা এসো কলকাতায়, এখানেই আড্ডা হবে।’
সূত্র: ইকবাল হাসান, দূরের মানুষ, কাছের মানুষ, পৃষ্ঠা ২৫-২৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে