রুশা চৌধুরী
রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতায় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে চিঠিতে লিখেছিল...
‘জেনো, বাসনার সেরা বাসা রসনায়!’
সত্যিই কি মানুষের জীবনে এতটা গুরুত্ব রসনার? গুরুদেবের কথা শিরোধার্য না হলেও বাঙালির হৃদয়ে ধার্য তো বটে। মানুষের জীবনে সবকিছুর সঙ্গেই তার প্রিয়জনের যোগাযোগ থাকে। প্রিয় মানেই আনন্দ আর আনন্দের সঙ্গেই তো মিশে থাকে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসায় কত না রং আর কতই না মধুর নাম! এই রং আর নামে বাসনার সঙ্গে রসনাও এসে যায় বারেবারে।
এইখানে কেউ যদি ছেলেমেয়ে, মানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ দেখাতে চায়, তাকে বা তাদের এক্কেবারে অগ্রাহ্য করতে হবে, কারণ বাসনায় যেমন ভেদাভেদ নেই, তেমনি রসনার মাঝেও নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। সত্যি কথা বললে, রান্না হচ্ছে সেই শিল্প, যাকে আমরা ভালো না বাসলে সে শুধু আমাদের পেট ভরাবে আর মেদ বাড়াবে কিন্তু মন আর হৃদয় ভরাবে না। এ জন্যই রান্নাশিল্প আর যারা এই বোধ হৃদয়ে ধারণ করে আর রাঁধতেও জানে, তাদের শুধু রাঁধুনি নয় আদর করে ‘রন্ধনশিল্পী’ বলা হয়।
সবার জীবনে প্রথম রান্না করার স্মৃতি প্রথম প্রেমে পড়ার মতো মধুময় না হলেও জীবন প্রেমময় করে রাখতে ‘হেঁশেল’ বা ‘রান্নাঘর’ এক অবশ্যম্ভাবী জায়গা। নিজেকে আদ্যোপান্ত রোমান্টিক মনে করা প্রত্যেক বাঙালির কাছে ‘রান্না করে খাওয়ানো’ তাই ভালোবাসা প্রকাশের অন্য নাম। প্রিয় মানুষের প্রিয় খাবার রান্না করা তাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতা পাঠ বা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘অর্কেস্ট্রা’ কবিতা পাঠের থেকে কম রোমাঞ্চকর হওয়ার কথা নয়। যারা কবিতা তেমন বোঝে না তারা তাদের নিত্যকার প্রিয় অভ্যাসেই রসনার সঙ্গে বাসনাকে মিলিয়ে নিতে পারে।
এখন যাঁরা আমাকে ‘আঁতেল’ ভাবছেন বা ‘ঢংগী’ বলতে চাইছেন, তাঁদের জন্য বলতে হবে, এই সব কঠিন কথার মানে হলো রান্নায় নুন-হলুদ-লংকা-মসলার সঙ্গে খুব খুব খুব করে যে ফোড়নটির দরকার হয়, তার নাম ‘ভালোবাসা’!
এ আমার আবিষ্কার নয়, নিজের মনের ভেতরে ডুব দিলেই মনটা ‘টিকটিক’ বলে সমর্থন জানিয়ে দেবে। সত্যি বলছি, এই শেষ উপকরণটি, মানে ভালোবাসাই রান্নার আসল রহস্য, যার উৎস কোনো রেসিপি বুক বা বেস্ট শেফের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে না, এর উৎস হচ্ছে রাঁধুনি ঠাকুরের হৃদয়!
‘কেক’ বা ‘মিষ্টি’ ছাড়া রান্নায় সত্যিকারের কোনো ‘একচুল নড়চড় হবে না’ টাইপ রেসিপি আসলে কোনোকালেই হয়তো ছিল না। বিশেষ করে সেইসব মানুষ যারা প্রতিদিন একইভাবে রান্না করে যান, এইসব রাঁধুনির কাছে নুনের মাপ তো দূরের কথা, চেখে দেখাও দরকার হয় না। তাঁদের রান্নায় থাকে শুধু ভালোবাসার মানুষের মুখের পরিতৃপ্ত হাসি। আর যা থাকে তা প্রকাশ করতে পারবে না কেউ।
প্রিয় মানুষেরা যখন যা খেতে চায় তাদের জন্য বাঙালি রাঁধুনি সব করে ফেলতে পারে। জীবনে কখনো যে হেঁশেলে যায়নি সে-ও একদিন চমৎকার খাবার রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তার প্রিয়জনকে। সেই রান্না ‘শাপলা ফুলের ডাঁটা’ ভাজি হোক অথবা ‘বিফ শ্যাংক’ রান্না। আর যারা সত্যি সত্যি সেই খাবার খায়, তাদের পাকস্থলী তখন মুগ্ধতা নিয়ে হৃদয়ের রন্ধ্রের সঙ্গে মিতালি করে। যারা কোনো কারণে খেতে না পারে, তারা মনে মনে স্বাদ বুঝে নিতে চেষ্টা করে। এটাও এক রহস্য, তাই না?
যদি বলি, রান্নার রেসিপি রহস্য আসলে সবটা একই রকম প্রায়, শুধু রান্নার কোনো এক পর্যায়ে হঠাৎ কেউ একজন মন থেকে বলে উঠবে, ‘লবঙ্গ দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিয়ো’, অথবা ‘শুকনো লাল মরিচ গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে একটু টেলে নিয়ো’...কোনটা কোথায় দিতে হবে, সেটা বুঝতে একটু ‘আলাদা রকম একটা মন’ থাকা চাই। এর জন্য প্রবল ‘ইচ্ছাশক্তি’, ‘মানুষের অসাধ্য কিছু নেই’ বোধ, ‘শুদ্ধ ভালোবাসা’ ছাড়া আর যা সাহায্য করবে তা হচ্ছে মানুষের ‘পঞ্চ ইন্দ্রিয়’! অন্য সব শিল্পের মতো রন্ধনশিল্পেরও আসল রহস্য চোখ, নাক, কান, জিহ্বা আর ত্বক...সৎ আর সুন্দর করে এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়র প্রতিটা ইন্দ্রিয়র সুষম ব্যবহার।
চোখ বন্ধ করে নিজেকে কোনো ‘অচেনা শেফ’ কল্পনা করে নেওয়া আর কোনো প্রিয় মুখ... এটুকুতেই একদম নিজস্ব রেসিপিতে রান্না করে ফেলা যাবে। সেই রান্নাটা হয়ে যাবে রাঁধুনির জীবনের প্রথম অথবা একমাত্র মস্তিষ্ক নয়, হৃদয়প্রসূত ‘চমকপ্রদ’ কোনো খাবার। ‘ঘ্রাণটা বুঝে নাও, রংটা দেখো, একবিন্দুও মুখে দেওয়া লাগবে না। তোমার কল্পনার রাজ্য থেকে পাওয়া রেসিপিতেই রান্নার নুন-ঝাল-তেল ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
আর যার কথায় রান্না হলো সে? ঘ্রাণে ‘অর্ধভোজন’ হলে শুধু দর্শনে কি হবে? ‘সিকি’ নাকি ‘পূর্ণ ভোজন’? এত কথার অর্থ রাঁধুনির ঢোল পেটানো বা তাকে শিল্পী প্রমাণ নয়, শুধু এটুকু বলা, মাঝেমধ্যেই আমাদের মানুষদের কিছু অকালবোধন হয়, এই রান্নাটাও তেমনি। এই এত বছর পরে খুব করে বোঝা হলো রান্নাটাতেও খুব করে ভালোবাসা আর আবেগ দরকার, যার নাম হয়তো সেই রবিঠাকুরের ‘বাসনা’-এর সঙ্গে ‘পঞ্চ ইন্দ্রিয়’ মিলিয়ে নিতে পারে বলেই বাঙালি আজও ‘অতিথিপরায়ণ’ আর অবশ্যই ‘রন্ধনপটীয়সী’।
লেখক: রুশা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী
রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতায় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে চিঠিতে লিখেছিল...
‘জেনো, বাসনার সেরা বাসা রসনায়!’
সত্যিই কি মানুষের জীবনে এতটা গুরুত্ব রসনার? গুরুদেবের কথা শিরোধার্য না হলেও বাঙালির হৃদয়ে ধার্য তো বটে। মানুষের জীবনে সবকিছুর সঙ্গেই তার প্রিয়জনের যোগাযোগ থাকে। প্রিয় মানেই আনন্দ আর আনন্দের সঙ্গেই তো মিশে থাকে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসায় কত না রং আর কতই না মধুর নাম! এই রং আর নামে বাসনার সঙ্গে রসনাও এসে যায় বারেবারে।
এইখানে কেউ যদি ছেলেমেয়ে, মানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ দেখাতে চায়, তাকে বা তাদের এক্কেবারে অগ্রাহ্য করতে হবে, কারণ বাসনায় যেমন ভেদাভেদ নেই, তেমনি রসনার মাঝেও নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। সত্যি কথা বললে, রান্না হচ্ছে সেই শিল্প, যাকে আমরা ভালো না বাসলে সে শুধু আমাদের পেট ভরাবে আর মেদ বাড়াবে কিন্তু মন আর হৃদয় ভরাবে না। এ জন্যই রান্নাশিল্প আর যারা এই বোধ হৃদয়ে ধারণ করে আর রাঁধতেও জানে, তাদের শুধু রাঁধুনি নয় আদর করে ‘রন্ধনশিল্পী’ বলা হয়।
সবার জীবনে প্রথম রান্না করার স্মৃতি প্রথম প্রেমে পড়ার মতো মধুময় না হলেও জীবন প্রেমময় করে রাখতে ‘হেঁশেল’ বা ‘রান্নাঘর’ এক অবশ্যম্ভাবী জায়গা। নিজেকে আদ্যোপান্ত রোমান্টিক মনে করা প্রত্যেক বাঙালির কাছে ‘রান্না করে খাওয়ানো’ তাই ভালোবাসা প্রকাশের অন্য নাম। প্রিয় মানুষের প্রিয় খাবার রান্না করা তাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতা পাঠ বা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘অর্কেস্ট্রা’ কবিতা পাঠের থেকে কম রোমাঞ্চকর হওয়ার কথা নয়। যারা কবিতা তেমন বোঝে না তারা তাদের নিত্যকার প্রিয় অভ্যাসেই রসনার সঙ্গে বাসনাকে মিলিয়ে নিতে পারে।
এখন যাঁরা আমাকে ‘আঁতেল’ ভাবছেন বা ‘ঢংগী’ বলতে চাইছেন, তাঁদের জন্য বলতে হবে, এই সব কঠিন কথার মানে হলো রান্নায় নুন-হলুদ-লংকা-মসলার সঙ্গে খুব খুব খুব করে যে ফোড়নটির দরকার হয়, তার নাম ‘ভালোবাসা’!
এ আমার আবিষ্কার নয়, নিজের মনের ভেতরে ডুব দিলেই মনটা ‘টিকটিক’ বলে সমর্থন জানিয়ে দেবে। সত্যি বলছি, এই শেষ উপকরণটি, মানে ভালোবাসাই রান্নার আসল রহস্য, যার উৎস কোনো রেসিপি বুক বা বেস্ট শেফের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে না, এর উৎস হচ্ছে রাঁধুনি ঠাকুরের হৃদয়!
‘কেক’ বা ‘মিষ্টি’ ছাড়া রান্নায় সত্যিকারের কোনো ‘একচুল নড়চড় হবে না’ টাইপ রেসিপি আসলে কোনোকালেই হয়তো ছিল না। বিশেষ করে সেইসব মানুষ যারা প্রতিদিন একইভাবে রান্না করে যান, এইসব রাঁধুনির কাছে নুনের মাপ তো দূরের কথা, চেখে দেখাও দরকার হয় না। তাঁদের রান্নায় থাকে শুধু ভালোবাসার মানুষের মুখের পরিতৃপ্ত হাসি। আর যা থাকে তা প্রকাশ করতে পারবে না কেউ।
প্রিয় মানুষেরা যখন যা খেতে চায় তাদের জন্য বাঙালি রাঁধুনি সব করে ফেলতে পারে। জীবনে কখনো যে হেঁশেলে যায়নি সে-ও একদিন চমৎকার খাবার রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তার প্রিয়জনকে। সেই রান্না ‘শাপলা ফুলের ডাঁটা’ ভাজি হোক অথবা ‘বিফ শ্যাংক’ রান্না। আর যারা সত্যি সত্যি সেই খাবার খায়, তাদের পাকস্থলী তখন মুগ্ধতা নিয়ে হৃদয়ের রন্ধ্রের সঙ্গে মিতালি করে। যারা কোনো কারণে খেতে না পারে, তারা মনে মনে স্বাদ বুঝে নিতে চেষ্টা করে। এটাও এক রহস্য, তাই না?
যদি বলি, রান্নার রেসিপি রহস্য আসলে সবটা একই রকম প্রায়, শুধু রান্নার কোনো এক পর্যায়ে হঠাৎ কেউ একজন মন থেকে বলে উঠবে, ‘লবঙ্গ দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিয়ো’, অথবা ‘শুকনো লাল মরিচ গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে একটু টেলে নিয়ো’...কোনটা কোথায় দিতে হবে, সেটা বুঝতে একটু ‘আলাদা রকম একটা মন’ থাকা চাই। এর জন্য প্রবল ‘ইচ্ছাশক্তি’, ‘মানুষের অসাধ্য কিছু নেই’ বোধ, ‘শুদ্ধ ভালোবাসা’ ছাড়া আর যা সাহায্য করবে তা হচ্ছে মানুষের ‘পঞ্চ ইন্দ্রিয়’! অন্য সব শিল্পের মতো রন্ধনশিল্পেরও আসল রহস্য চোখ, নাক, কান, জিহ্বা আর ত্বক...সৎ আর সুন্দর করে এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়র প্রতিটা ইন্দ্রিয়র সুষম ব্যবহার।
চোখ বন্ধ করে নিজেকে কোনো ‘অচেনা শেফ’ কল্পনা করে নেওয়া আর কোনো প্রিয় মুখ... এটুকুতেই একদম নিজস্ব রেসিপিতে রান্না করে ফেলা যাবে। সেই রান্নাটা হয়ে যাবে রাঁধুনির জীবনের প্রথম অথবা একমাত্র মস্তিষ্ক নয়, হৃদয়প্রসূত ‘চমকপ্রদ’ কোনো খাবার। ‘ঘ্রাণটা বুঝে নাও, রংটা দেখো, একবিন্দুও মুখে দেওয়া লাগবে না। তোমার কল্পনার রাজ্য থেকে পাওয়া রেসিপিতেই রান্নার নুন-ঝাল-তেল ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
আর যার কথায় রান্না হলো সে? ঘ্রাণে ‘অর্ধভোজন’ হলে শুধু দর্শনে কি হবে? ‘সিকি’ নাকি ‘পূর্ণ ভোজন’? এত কথার অর্থ রাঁধুনির ঢোল পেটানো বা তাকে শিল্পী প্রমাণ নয়, শুধু এটুকু বলা, মাঝেমধ্যেই আমাদের মানুষদের কিছু অকালবোধন হয়, এই রান্নাটাও তেমনি। এই এত বছর পরে খুব করে বোঝা হলো রান্নাটাতেও খুব করে ভালোবাসা আর আবেগ দরকার, যার নাম হয়তো সেই রবিঠাকুরের ‘বাসনা’-এর সঙ্গে ‘পঞ্চ ইন্দ্রিয়’ মিলিয়ে নিতে পারে বলেই বাঙালি আজও ‘অতিথিপরায়ণ’ আর অবশ্যই ‘রন্ধনপটীয়সী’।
লেখক: রুশা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে