সম্পাদকীয়
যখন কৃত্তিবাস পত্রিকা প্রকাশিত হলো, তখন দেখা গেল প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় যে মানুষটির কবিতা ছাপা হয়েছে, তাঁর নাম শঙ্খ ঘোষ। শঙ্খ ঘোষ ঠিক কৃত্তিবাসের তরুণ কবিদের মতো ছিলেন না। রাতবিরাতে কলকাতা শাসন করার মতো কোনো ইচ্ছাই তাঁর জাগেনি কোনোকালে। কিন্তু তিনি কৃত্তিবাসীদের একজন হয়ে উঠতে পেরেছিলেন এবং কৃত্তিবাসের কবি সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পেরেছিলেন।
এ কথা অনেকেই জানেন, শঙ্খ ঘোষ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ছাত্র। পরিচয় ও অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় তখন শঙ্খ ঘোষের কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে এবং তা দারুণ প্রশংসিত হয়েছে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রা কৃত্তিবাস প্রকাশের আগেই ঠিক করেছিলেন, এই পত্রিকা হবে তরুণদের মুখপত্র। প্রবীণদের জন্য এখানে জায়গা থাকবে শুধু প্রবন্ধের। সুনীলদের অনুরোধেই শঙ্খ ঘোষ তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি কবিতার খাতা। তাতেই ছিল সেই দীর্ঘ কবিতাটি—দিনগুলি রাতগুলি। এ কবিতাটির জন্য কৃত্তিবাস অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
খুঁতখুঁতে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বুদ্ধদেব বসুদের ‘কবিতা’ পত্রিকার কবি ছিলেন না। কবিতা ভবনের বিখ্যাত আড্ডায় তাঁকে দেখা যেত না।যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তখন কেউ একজন তাঁকে জানালেন, কবিতা পত্রিকায় তাঁর একটি কবিতা ছাপা হয়েছে। শঙ্খ ঘোষ প্রায় ছুটতে ছুটতে বোলপুরের স্টলে গিয়ে একটি কপি সংগ্রহ করলেন। দেখলেন, পত্রিকার সম্পাদক কিছু পরিবর্তন করেছেন কবিতার, কিছু শব্দ বদলে দিয়েছেন। সেই অভিমানে শঙ্খ ঘোষ আর কখনোই বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কোনো কবিতা পাঠাননি।
শঙ্খ ঘোষের ‘তুমি তো তেমন গৌরী নও’ বইটিতে রয়েছে সাতাশটি কবিতা। সদ্য প্রকাশিত বইটি হাতে পেয়ে তিনি দেখলেন, সূচিপত্রে ‘ভিখারি’ বানানটা ছাপা হয়েছে ‘ভিখারী’। তিনি তখনই ‘রী’ কেটে ‘রি’ করে দিলেন। প্রকাশক সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁকে কোনো কটু কথা বললেন না। মুখের প্রসন্নতারও কোনো হেরফের হলো না। তারপর সে বইটি উপহার দিলেন অপর্ণা ও অমিত্রসূদনকে। বললেন মৃদু হেসে, ‘জানি না, টর্চার করলাম কি না।’
সূত্র: অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য, কৃত্তিবাস, জুন, ২০২১
যখন কৃত্তিবাস পত্রিকা প্রকাশিত হলো, তখন দেখা গেল প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় যে মানুষটির কবিতা ছাপা হয়েছে, তাঁর নাম শঙ্খ ঘোষ। শঙ্খ ঘোষ ঠিক কৃত্তিবাসের তরুণ কবিদের মতো ছিলেন না। রাতবিরাতে কলকাতা শাসন করার মতো কোনো ইচ্ছাই তাঁর জাগেনি কোনোকালে। কিন্তু তিনি কৃত্তিবাসীদের একজন হয়ে উঠতে পেরেছিলেন এবং কৃত্তিবাসের কবি সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পেরেছিলেন।
এ কথা অনেকেই জানেন, শঙ্খ ঘোষ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ছাত্র। পরিচয় ও অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় তখন শঙ্খ ঘোষের কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে এবং তা দারুণ প্রশংসিত হয়েছে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রা কৃত্তিবাস প্রকাশের আগেই ঠিক করেছিলেন, এই পত্রিকা হবে তরুণদের মুখপত্র। প্রবীণদের জন্য এখানে জায়গা থাকবে শুধু প্রবন্ধের। সুনীলদের অনুরোধেই শঙ্খ ঘোষ তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি কবিতার খাতা। তাতেই ছিল সেই দীর্ঘ কবিতাটি—দিনগুলি রাতগুলি। এ কবিতাটির জন্য কৃত্তিবাস অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
খুঁতখুঁতে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বুদ্ধদেব বসুদের ‘কবিতা’ পত্রিকার কবি ছিলেন না। কবিতা ভবনের বিখ্যাত আড্ডায় তাঁকে দেখা যেত না।যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, তখন কেউ একজন তাঁকে জানালেন, কবিতা পত্রিকায় তাঁর একটি কবিতা ছাপা হয়েছে। শঙ্খ ঘোষ প্রায় ছুটতে ছুটতে বোলপুরের স্টলে গিয়ে একটি কপি সংগ্রহ করলেন। দেখলেন, পত্রিকার সম্পাদক কিছু পরিবর্তন করেছেন কবিতার, কিছু শব্দ বদলে দিয়েছেন। সেই অভিমানে শঙ্খ ঘোষ আর কখনোই বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় কোনো কবিতা পাঠাননি।
শঙ্খ ঘোষের ‘তুমি তো তেমন গৌরী নও’ বইটিতে রয়েছে সাতাশটি কবিতা। সদ্য প্রকাশিত বইটি হাতে পেয়ে তিনি দেখলেন, সূচিপত্রে ‘ভিখারি’ বানানটা ছাপা হয়েছে ‘ভিখারী’। তিনি তখনই ‘রী’ কেটে ‘রি’ করে দিলেন। প্রকাশক সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁকে কোনো কটু কথা বললেন না। মুখের প্রসন্নতারও কোনো হেরফের হলো না। তারপর সে বইটি উপহার দিলেন অপর্ণা ও অমিত্রসূদনকে। বললেন মৃদু হেসে, ‘জানি না, টর্চার করলাম কি না।’
সূত্র: অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য, কৃত্তিবাস, জুন, ২০২১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে