Ajker Patrika

উত্তমকুমার

সম্পাদকীয়
উত্তমকুমার

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম উত্তমকুমার। টালিউডের নায়ক হলেও তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলা ও পরে স্বাধীন বাংলাদেশেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। তাঁর সাবলীল অভিনয়, মনভোলানো হাসি এখনো দর্শককে মুগ্ধ করে।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন উত্তমকুমার। তাঁর জন্মের মাস চারেক পরের একটা কথা মনে করে দারুণ হাসতেন মা চপলা দেবী। উত্তম শুনতে চাইতেন ঘটনাটা। মা বললেন, ‘যখন তুই জন্মালি, তখন তোর চোখের মণিজোড়া সামান্য ট্যারা। লক্ষ্মীট্যারা।’এটা দেখে উত্তমের দাদামশাই বললেন, ‘চপলা শোন, আমি তোর ছেলের নাম রাখলুম উত্তম।’ তাতে চপলা দেবী খুব খুশি হননি। বাবার ওপর রেগেই গিয়েছিলেন। কিন্তু বাবার মুখের ওপর কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর।

এরপর একদিন এলেন গুরুকুল দেব। তিনি দেখতে চাইলেন চপলার ছেলেকে। দোলনায় উত্তম ঘুমাচ্ছিলেন। গুরুদেব তাঁর দিকে তাকাতেই ঘুম ভেঙে গেল উত্তমের। আর তাঁর মুখে একগাল হাসি। তাই দেখে গুরুদেব বললেন, ‘মা, এই হাসিতে তোর ছেলে একদিন তোদের সবাইকে ভোলাবে। গোটা বাংলা দেশ মাতাবে। আর তোর বাবার দেওয়া নামের জন্য তোর মনে যে দুঃখ আছে, তা থাকবে না। দেখিস, এই নামেই ও একদিন সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাবে।’

সেই ছেলেটাই একটু বড় হয়ে যাত্রা থিয়েটারের প্রতি আকৃষ্ট হলো। লুকিয়ে যাত্রা দেখতে যেতেন, লুকিয়ে লুকিয়ে সংলাপ আওড়াতেন। নাটকও করলেন। একটু বড় হয়ে শিশির ভাদুড়ীর ভক্ত হয়ে গেলেন। তারপর একসময় নামলেন সিনেমায়। দৈনিক পাঁচ সিকা পারিশ্রমিকে এক্সট্রার মর্যাদাসম্পন্ন অভিনেতা। এ কারণেই উত্তমকুমার সব সময় যাঁরা ছবির পর্দায় নামমাত্র অংশগ্রহণ করতেন, তাঁদের অন্তর দিয়ে ভালোবাসতেন।

এরপর তো সব ইতিহাস। সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবিটির কথা বললেই কি হবে। ‘হারানো সুর’, ‘সবার উপরে’, ‘ওরা থাকে ওধারে’ ধরনের সিনেমার কথাও তো বলতে হবে। আজকের এই দিনে তিনি মারা গিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

বাংলাদেশে-ভারত সম্পর্কের অবনতিতে দায়ী মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা: কংগ্রেস

তখন অন্য একটা সংগঠন করতাম, এখন বলতে লজ্জা হয়: জামায়াতের আমির

কুতুবদিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে ২ ছাত্রদল নেতা আহত

আইসিসির শাস্তি নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল নিউজিল্যান্ড

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত