নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার অবাস্তব নয়। তবে বাজেটে রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্য, তা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গতকাল শনিবার বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে নানা সংকট চলছে। প্রায় সব সূচকই নিম্নমুখী, কিন্তু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ সংকট কাটাতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। এ সময় ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার, এফবিসিসিআই সহসভাপতি আমিন হেলালী, হাবিবুল্লাহ ডন, পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এ বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত চাপের মুখে আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি আছে। বছর শেষে ঘাটতি ৭০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা যথাযথ নয়। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে এনবিআরের দীর্ঘসূত্রতা এবং শিথিলতাই কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা।
বিনিয়োগ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের এখন যে অবস্থা তাতে বিনিয়োগ লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আশা দেখছি না। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি তো নতুন বিনিয়োগ করছি না। এ বছর মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি প্রায় ৩১ শতাংশ কমেছে। পরিস্থিতি ঠিক না হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৭ শতাংশে উত্তীর্ণ করা সম্ভব না।’
বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছে এফবিসিসিআই। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, রিজার্ভ বাড়ানো, অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ এবং জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা।
ডলার সংকট ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ—সবকিছুর গতি নিম্নমুখী। অথচ মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ সংকটের সময় সবচেয়ে বড় কথা হলো, ডলার লাগবে। এ জন্য ডলারের প্রধান দুই উৎস রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের নীতি সহায়তা দিতে হবে। এ ছাড়া মুদ্রা পাচার রোধ, ডলারের বিকল্প মুদ্রাসহ সংবেদনশীল বিষয়গুলোর ওপর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলে মনে করে এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ী সংগঠনটির সভাপতি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সরকারি ব্যয় তদারকির জন্য আইএমইডিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।
জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশও করেছে এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে করমুক্তসীমায় থাকার পর আবার ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর চাপিয়ে দেওয়া যৌক্তিক কি না তা ভেবে দেখতে বলেছে সংগঠনটি।
শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তাঁর এ কথার কিছুক্ষণ পরই অনুষ্ঠানস্থলে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর জেনারেটর চালু করে আবার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর জেনারেটরও বন্ধ হয়ে গেলে সংবাদ সম্মেলনের বাকি অংশ প্রায় অন্ধকার ঘরেই শেষ করা হয়।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুতের গুরুত্বের কথা কেন বলেছি, বুঝতে পেরেছেন। আপনারাই বলেন, এটা ছাড়া কী অবস্থা দাঁড়ায়।’
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার অবাস্তব নয়। তবে বাজেটে রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্য, তা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গতকাল শনিবার বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে নানা সংকট চলছে। প্রায় সব সূচকই নিম্নমুখী, কিন্তু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ সংকট কাটাতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। এ সময় ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার, এফবিসিসিআই সহসভাপতি আমিন হেলালী, হাবিবুল্লাহ ডন, পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এ বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত চাপের মুখে আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি আছে। বছর শেষে ঘাটতি ৭০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা যথাযথ নয়। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে এনবিআরের দীর্ঘসূত্রতা এবং শিথিলতাই কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা।
বিনিয়োগ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের এখন যে অবস্থা তাতে বিনিয়োগ লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আশা দেখছি না। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি তো নতুন বিনিয়োগ করছি না। এ বছর মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি প্রায় ৩১ শতাংশ কমেছে। পরিস্থিতি ঠিক না হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৭ শতাংশে উত্তীর্ণ করা সম্ভব না।’
বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছে এফবিসিসিআই। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, রিজার্ভ বাড়ানো, অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ এবং জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা।
ডলার সংকট ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ—সবকিছুর গতি নিম্নমুখী। অথচ মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ সংকটের সময় সবচেয়ে বড় কথা হলো, ডলার লাগবে। এ জন্য ডলারের প্রধান দুই উৎস রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের নীতি সহায়তা দিতে হবে। এ ছাড়া মুদ্রা পাচার রোধ, ডলারের বিকল্প মুদ্রাসহ সংবেদনশীল বিষয়গুলোর ওপর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলে মনে করে এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ী সংগঠনটির সভাপতি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সরকারি ব্যয় তদারকির জন্য আইএমইডিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।
জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশও করেছে এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে করমুক্তসীমায় থাকার পর আবার ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর চাপিয়ে দেওয়া যৌক্তিক কি না তা ভেবে দেখতে বলেছে সংগঠনটি।
শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তাঁর এ কথার কিছুক্ষণ পরই অনুষ্ঠানস্থলে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর জেনারেটর চালু করে আবার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর জেনারেটরও বন্ধ হয়ে গেলে সংবাদ সম্মেলনের বাকি অংশ প্রায় অন্ধকার ঘরেই শেষ করা হয়।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুতের গুরুত্বের কথা কেন বলেছি, বুঝতে পেরেছেন। আপনারাই বলেন, এটা ছাড়া কী অবস্থা দাঁড়ায়।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪