সম্পাদকীয়
গুলজার তৈরি করবেন ‘মীরা’কে নিয়ে সিনেমা। মীরার গানগুলো গাইবেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু লতা তখন হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সঙ্গে একটা চলচ্চিত্রের বাইরের গান নিয়ে অ্যালবাম করছেন। তিনি এ সময় ‘মীরা’ ছবিতে গাইতে পারবেন না। এ কথা শুনে সিনেমার সুরকার লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলালও বেঁকে বসলেন। লতা না গাইলে তিনি সুর দেবেন না। বন্ধু রাহুল দেববর্মনের শরণাপন্ন হলেন গুলজার। রাহুল গান করালে তো স্ত্রী আশাকে দিয়েই করাবেন। কিন্তু রাহুল বললেন, ‘গুল্লু, তুই আমার বন্ধু, কিন্তু লতাদি গাইছে না, আমার সুরে আশা গাইলে কনট্রোভার্সি বাড়বে।’
তাহলে এমন কাউকে দিয়ে সুর করাতে হবে, যিনি সব কনট্রোভার্সির ঊর্ধ্বে। মনে পড়ল রবিশঙ্করের কথা।
রবিশঙ্কর তখন নিউইয়র্কে। রবিশঙ্করের আপনজন কমলার মাধ্যমে যোগাযোগ হলো। রবিশঙ্কর বললেন, স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে সুর করবেন। গুলজার নিজেই নিউইয়র্ক গিয়ে স্ক্রিপ্ট শুনিয়ে আসতে চাইলেন। রাজি হলেন রবিশঙ্কর।
এরপর গুলজার আবদার করলেন সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গান রেকর্ড করে দিতে হবে।
কে গাইবেন মীরার গান? রবিশঙ্করই প্রস্তাব করলেন বাণী জয়রামের নাম। খুব খুশি হলেন গুলজার। রবিশঙ্করের বেশ কয়েকটি কনসার্ট ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। গুলজার সেই কনসার্টগুলোর ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা করে নিলেন।
সেপ্টেম্বরে রবিশঙ্কর এলেন ভারতবর্ষে। গান তৈরি। রেকর্ডিং হবে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিফট। পুরোদমে কাজ চলছে। তিন-চার দিনের মাথায় দেখা গেল রবিশঙ্কর নেতিয়ে পড়েছেন। বিষাদাক্রান্ত তিনি। চতুর্থ দিন রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর রবিশঙ্কর বললেন, ‘আমরা কি কাল দুপুর দুটো নাগাদ রেকর্ডিং রাখতে পারি?’ গুলজার বললেন, ‘নিশ্চয়ই!’
পরদিন দুপুরে দেখা গেল অন্য এক রবিশঙ্করকে। মুখে একরাশ হাসি, প্রচুর ফুর্তি করছেন, গোটা স্টুডিও তাঁর আলোকে আলোকময় হয়ে উঠেছে। হতবাক গুলজারকে বললেন রবিশঙ্কর, ‘গত চার দিন আমি সেতারে হাত দিইনি। রেওয়াজ না করলে আমার মনে হয় নাড়ি থেকে কী যেন ছিঁড়ে গেছে। আহ সকাল চারটে থেকে বারোটা সেই ঘাটতি কিছুটা মেটালাম। মনে হচ্ছিল, অনেক দিন খাইনি। অভুক্ত ছিলাম।’
সূত্র: গুলজার, পান্তাভাতে, পৃষ্ঠা ৬৮-৭১
গুলজার তৈরি করবেন ‘মীরা’কে নিয়ে সিনেমা। মীরার গানগুলো গাইবেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু লতা তখন হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সঙ্গে একটা চলচ্চিত্রের বাইরের গান নিয়ে অ্যালবাম করছেন। তিনি এ সময় ‘মীরা’ ছবিতে গাইতে পারবেন না। এ কথা শুনে সিনেমার সুরকার লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলালও বেঁকে বসলেন। লতা না গাইলে তিনি সুর দেবেন না। বন্ধু রাহুল দেববর্মনের শরণাপন্ন হলেন গুলজার। রাহুল গান করালে তো স্ত্রী আশাকে দিয়েই করাবেন। কিন্তু রাহুল বললেন, ‘গুল্লু, তুই আমার বন্ধু, কিন্তু লতাদি গাইছে না, আমার সুরে আশা গাইলে কনট্রোভার্সি বাড়বে।’
তাহলে এমন কাউকে দিয়ে সুর করাতে হবে, যিনি সব কনট্রোভার্সির ঊর্ধ্বে। মনে পড়ল রবিশঙ্করের কথা।
রবিশঙ্কর তখন নিউইয়র্কে। রবিশঙ্করের আপনজন কমলার মাধ্যমে যোগাযোগ হলো। রবিশঙ্কর বললেন, স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে সুর করবেন। গুলজার নিজেই নিউইয়র্ক গিয়ে স্ক্রিপ্ট শুনিয়ে আসতে চাইলেন। রাজি হলেন রবিশঙ্কর।
এরপর গুলজার আবদার করলেন সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গান রেকর্ড করে দিতে হবে।
কে গাইবেন মীরার গান? রবিশঙ্করই প্রস্তাব করলেন বাণী জয়রামের নাম। খুব খুশি হলেন গুলজার। রবিশঙ্করের বেশ কয়েকটি কনসার্ট ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। গুলজার সেই কনসার্টগুলোর ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা করে নিলেন।
সেপ্টেম্বরে রবিশঙ্কর এলেন ভারতবর্ষে। গান তৈরি। রেকর্ডিং হবে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিফট। পুরোদমে কাজ চলছে। তিন-চার দিনের মাথায় দেখা গেল রবিশঙ্কর নেতিয়ে পড়েছেন। বিষাদাক্রান্ত তিনি। চতুর্থ দিন রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর রবিশঙ্কর বললেন, ‘আমরা কি কাল দুপুর দুটো নাগাদ রেকর্ডিং রাখতে পারি?’ গুলজার বললেন, ‘নিশ্চয়ই!’
পরদিন দুপুরে দেখা গেল অন্য এক রবিশঙ্করকে। মুখে একরাশ হাসি, প্রচুর ফুর্তি করছেন, গোটা স্টুডিও তাঁর আলোকে আলোকময় হয়ে উঠেছে। হতবাক গুলজারকে বললেন রবিশঙ্কর, ‘গত চার দিন আমি সেতারে হাত দিইনি। রেওয়াজ না করলে আমার মনে হয় নাড়ি থেকে কী যেন ছিঁড়ে গেছে। আহ সকাল চারটে থেকে বারোটা সেই ঘাটতি কিছুটা মেটালাম। মনে হচ্ছিল, অনেক দিন খাইনি। অভুক্ত ছিলাম।’
সূত্র: গুলজার, পান্তাভাতে, পৃষ্ঠা ৬৮-৭১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে