ডা. আলীম চৌধুরী
ডা. আলীম চৌধুরী বিশ্বাস করেছিলেন মাওলানা মান্নানকে। একাত্তরের জুলাই মাসে মাওলানা মান্নান এসে ঠাঁই নিয়েছিলেন ডা. আলীম চৌধুরীর বাড়ির নিচতলায়। পিডিএমের মতিন সাহেব এই মাওলানাকে নিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ভদ্রলোক খুব বিপদে পড়েছেন। তিনি নিরাশ্রয়। আলীম-জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রবল আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু আলীম চৌধুরী বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। মাওলানা তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে উঠলেন আলীম চৌধুরীর বাড়ির নিচতলায়।
মাওলানা মান্নান স্বরূপে ফিরে এলেন কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই। তাঁর বাড়িতে তখন পাকিস্তানি সেনাদের আনাগোনা। রাতভর হুল্লোড়। তাঁকে পাহারা দিত আলবদরের দল। মাওলানা প্রবোধ দিতেন আলীম চৌধুরীকে, ‘ডাক্তার সাহেব, আপনার উপকার আমি জীবনে ভুলব না।’
১৫ ডিসেম্বর আলীম চৌধুরী মিটফোর্ড হাসপাতালে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এই বাড়ি ছাড়ার কথা বললেন আলীম চৌধুরীকে। তিনি রাজি হলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে, আজ যাব। জায়গা ঠিক করে আসি।’
কারফিউ সরে গেলে গাড়ি নিয়ে বের হলেন তিনি। হাসপাতালে এমন ব্যস্ত ছিলেন যে সময়মতো ফিরতে পারলেন না। সবকিছু গোছানো হয়েছিল, কিন্তু রওনা হওয়া গেল না। বাড়িতে ফেরার পর হঠাৎ বাড়ির সামনে গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ। কাদালেপা একটা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। আলীম ভাবলেন, মাওলানার কাছে এসেছে ওরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই দরজায় করাঘাত। আলীম চৌধুরী মাওলানা মান্নানের বাড়ির দিকে রওনা হলেন। বলে গেলেন দরজা খুলে দিতে। মাওলানার দরজায় বারবার আঘাত করলেও মান্নান দরজা খোলেননি। শুধু বললেন, ‘আপনি যান, আমি আছি।’
মাওলানার কথায় আস্থা রেখেছিলেন ডা. আলীম চৌধুরী। উঠলেন কাদালেপা মাইক্রোবাসে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীকে মিথ্যা কথা বললেন মাওলানা, ‘ডাক্তার সাহেবকে আমার ছাত্ররা নিয়ে গেছে চোখের চিকিৎসা করাতে।’ শ্যামলী নাসরিন বুঝলেন, মাওলানা আগে থেকেই সব জানতেন। আলীম চৌধুরী আর ফেরেননি।
সূত্র: শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, পৃষ্ঠা ২৪৬-২৪৮
ডা. আলীম চৌধুরী বিশ্বাস করেছিলেন মাওলানা মান্নানকে। একাত্তরের জুলাই মাসে মাওলানা মান্নান এসে ঠাঁই নিয়েছিলেন ডা. আলীম চৌধুরীর বাড়ির নিচতলায়। পিডিএমের মতিন সাহেব এই মাওলানাকে নিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ভদ্রলোক খুব বিপদে পড়েছেন। তিনি নিরাশ্রয়। আলীম-জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রবল আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু আলীম চৌধুরী বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। মাওলানা তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে উঠলেন আলীম চৌধুরীর বাড়ির নিচতলায়।
মাওলানা মান্নান স্বরূপে ফিরে এলেন কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই। তাঁর বাড়িতে তখন পাকিস্তানি সেনাদের আনাগোনা। রাতভর হুল্লোড়। তাঁকে পাহারা দিত আলবদরের দল। মাওলানা প্রবোধ দিতেন আলীম চৌধুরীকে, ‘ডাক্তার সাহেব, আপনার উপকার আমি জীবনে ভুলব না।’
১৫ ডিসেম্বর আলীম চৌধুরী মিটফোর্ড হাসপাতালে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এই বাড়ি ছাড়ার কথা বললেন আলীম চৌধুরীকে। তিনি রাজি হলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে, আজ যাব। জায়গা ঠিক করে আসি।’
কারফিউ সরে গেলে গাড়ি নিয়ে বের হলেন তিনি। হাসপাতালে এমন ব্যস্ত ছিলেন যে সময়মতো ফিরতে পারলেন না। সবকিছু গোছানো হয়েছিল, কিন্তু রওনা হওয়া গেল না। বাড়িতে ফেরার পর হঠাৎ বাড়ির সামনে গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ। কাদালেপা একটা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। আলীম ভাবলেন, মাওলানার কাছে এসেছে ওরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই দরজায় করাঘাত। আলীম চৌধুরী মাওলানা মান্নানের বাড়ির দিকে রওনা হলেন। বলে গেলেন দরজা খুলে দিতে। মাওলানার দরজায় বারবার আঘাত করলেও মান্নান দরজা খোলেননি। শুধু বললেন, ‘আপনি যান, আমি আছি।’
মাওলানার কথায় আস্থা রেখেছিলেন ডা. আলীম চৌধুরী। উঠলেন কাদালেপা মাইক্রোবাসে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীকে মিথ্যা কথা বললেন মাওলানা, ‘ডাক্তার সাহেবকে আমার ছাত্ররা নিয়ে গেছে চোখের চিকিৎসা করাতে।’ শ্যামলী নাসরিন বুঝলেন, মাওলানা আগে থেকেই সব জানতেন। আলীম চৌধুরী আর ফেরেননি।
সূত্র: শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, পৃষ্ঠা ২৪৬-২৪৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে