সম্পাদকীয়
১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন দুর্বার হয়ে উঠলে ৮ মে গভীর রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি পুলিশ। ৭ জুন সরকারবিরোধী হরতালের সময় মনু মিয়াসহ ১১ জন নিহত হন। সে সময় আইয়ুবী নির্যাতনের খড়্গ নেমে এসেছিল এ দেশে। আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল।
ইত্তেফাক তখন আওয়ামী লীগের ছয় দফা প্রচারের দায়িত্বও নিয়েছে। তাই ইত্তেফাকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি পড়ল আইয়ুব খানের। তিনি পত্রিকাটি বন্ধ করে দিলেন ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন। পত্রিকা বন্ধ করে দিলে সাংবাদিক ও কর্মীরা বেকার হয়ে যান। তখন কষ্টেসৃষ্টে অনুবাদ করে সংসার চালাচ্ছিলেন ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন।
কিছুদিন পর আইয়ুব খানের তাঁবেদারি করার জন্য একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করার ঘোষণা দেয় প্রেস ট্রাস্ট। দৈনিক বাংলা আর বাংলাদেশ টাইমস ছিল পত্রিকা দুটির নাম। অনেক নামকরা সাংবাদিকের সামনেই মোটা বেতনের চাকরির কলা ঝুলিয়ে দেন আইয়ুব খান এবং একে একে অনেক মেধাবী সাংবাদিক যোগ দেন ট্রাস্টের পত্রিকায়।
সিরাজুদ্দীন হোসেন যে এ সময়ের সবচেয়ে সাহসী ও বিচক্ষণ বার্তা সম্পাদক, সেটা জানত আইয়ুব সরকার। তিনি যে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মানিক মিয়ার স্নেহধন্য এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সেটাও তাদের অজানা ছিল না। তাই তাঁর মুখ বন্ধ করার প্রজেক্ট নিয়ে এগোলেন আইয়ুবের লোকেরা। তথ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো সিরাজুদ্দীন হোসেনের কাছে। যে বেতন পেতেন ইত্তেফাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি বেতন এবং গাড়ির টোপ দেওয়া হলো। সিরাজুদ্দীন হোসেন রাজি হলেন না।
অনুবাদের টাকা দিয়েই কায়ক্লেশে সংসার চালাতে লাগলেন। পিছু ছাড়লেন না সরকারি কর্মকর্তারা। শেষে একদিন তাঁদের চোখে চোখ রেখে সিরাজুদ্দীন হোসেন বললেন, ‘তোমাদের আইয়ুব কি পূর্ব বাংলার সব মানুষের মাথা কিনতে চায়? তাকে বলে দিয়ো, সব মানুষের মাথা কেনা যায় না।’ সিরাজুদ্দীন হোসেন সরকারি পত্রিকায় যোগ দেননি।
সূত্র: কাজী দিশু, বারুচ দ্য স্পিনোজা, পৃষ্ঠা ৭২-৭৩
১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন দুর্বার হয়ে উঠলে ৮ মে গভীর রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি পুলিশ। ৭ জুন সরকারবিরোধী হরতালের সময় মনু মিয়াসহ ১১ জন নিহত হন। সে সময় আইয়ুবী নির্যাতনের খড়্গ নেমে এসেছিল এ দেশে। আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল।
ইত্তেফাক তখন আওয়ামী লীগের ছয় দফা প্রচারের দায়িত্বও নিয়েছে। তাই ইত্তেফাকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি পড়ল আইয়ুব খানের। তিনি পত্রিকাটি বন্ধ করে দিলেন ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন। পত্রিকা বন্ধ করে দিলে সাংবাদিক ও কর্মীরা বেকার হয়ে যান। তখন কষ্টেসৃষ্টে অনুবাদ করে সংসার চালাচ্ছিলেন ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন।
কিছুদিন পর আইয়ুব খানের তাঁবেদারি করার জন্য একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করার ঘোষণা দেয় প্রেস ট্রাস্ট। দৈনিক বাংলা আর বাংলাদেশ টাইমস ছিল পত্রিকা দুটির নাম। অনেক নামকরা সাংবাদিকের সামনেই মোটা বেতনের চাকরির কলা ঝুলিয়ে দেন আইয়ুব খান এবং একে একে অনেক মেধাবী সাংবাদিক যোগ দেন ট্রাস্টের পত্রিকায়।
সিরাজুদ্দীন হোসেন যে এ সময়ের সবচেয়ে সাহসী ও বিচক্ষণ বার্তা সম্পাদক, সেটা জানত আইয়ুব সরকার। তিনি যে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মানিক মিয়ার স্নেহধন্য এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সেটাও তাদের অজানা ছিল না। তাই তাঁর মুখ বন্ধ করার প্রজেক্ট নিয়ে এগোলেন আইয়ুবের লোকেরা। তথ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো সিরাজুদ্দীন হোসেনের কাছে। যে বেতন পেতেন ইত্তেফাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি বেতন এবং গাড়ির টোপ দেওয়া হলো। সিরাজুদ্দীন হোসেন রাজি হলেন না।
অনুবাদের টাকা দিয়েই কায়ক্লেশে সংসার চালাতে লাগলেন। পিছু ছাড়লেন না সরকারি কর্মকর্তারা। শেষে একদিন তাঁদের চোখে চোখ রেখে সিরাজুদ্দীন হোসেন বললেন, ‘তোমাদের আইয়ুব কি পূর্ব বাংলার সব মানুষের মাথা কিনতে চায়? তাকে বলে দিয়ো, সব মানুষের মাথা কেনা যায় না।’ সিরাজুদ্দীন হোসেন সরকারি পত্রিকায় যোগ দেননি।
সূত্র: কাজী দিশু, বারুচ দ্য স্পিনোজা, পৃষ্ঠা ৭২-৭৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে