বকেয়া পরিশোধ না করলে আন্দোলন

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ১২
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৬

উৎপাদন বন্ধ করা রাষ্ট্রায়ত্ত খুলনার খালিশপুর ও দৌলতপুর জুটমিল, চট্টগ্রামের কেএফডি, আর আর এবং সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিল এই ৫টি মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে গত শুক্রবার মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কারখানা কমিটি এ কর্মসূচির ডাক দেয়। শুক্রবার বিকেল ৪টায় খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের পিপলস গোল চত্বর থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে নতুন রাস্তা ঘুরে গোল চত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, দৌলতপুর জুট মিলস কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জেল হোসেন, যশোর-খুলনা আঞ্চলিক বদলি কমিটির আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস হোসেন, সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, শ্রমিকনেতা মো. নুরুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সালের ৩০ জুন পাটকল বন্ধের পর থেকে পাটকল শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কর্মহীন শ্রমিকেরা আজ দারুণভাবে অবহেলিত। বর্তমান সরকার অভুক্ত এই শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। দীর্ঘ ১৭ মাস মজুরি না পেয়ে শ্রমিকদের পেটে ভাত নেই। স্ত্রী-সন্তানদের মুখে খাবার দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় বহু শ্রমিক অনৈতিক পেশায় যুক্ত হচ্ছে।

এমতাবস্থায় ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। শ্রমিক-কৃষকেরা এখন ধুঁকে ধুঁকে মরছে। অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

বক্তারা বলেন, সরকার হাজার-হাজার শ্রমিকের পেটে লাথি মেরে রাতের অন্ধকারে ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। পাট খাতে লোকসান করে সরকার, চুরি-দুর্নীতি-লুটপাট করে আমলা মন্ত্রীরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত