বরিশাল প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা রোধে বরিশালবাসীকে গণটিকার আওতায় আনতে বাড়ি বাড়ি সার্সিং চলছে। নগরসহ বিভাগের ৬ জেলায় আজ শনিবার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এক বিশেষ ঘোষণায় জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অবশ্য এখন পর্যন্ত বিভাগে প্রায় ২০ লাখ মানুষ টিকার আওতার বাইরে রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় ঘোষণা থেকে সরে এসে নানা উপায়ে প্রথম ডোজ অব্যাহত থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হুমায়ুন শাহিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় গণটিকা দেওয়ার টার্গেট ৫ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে। এ ছাড়া নগরে গণটিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৫ হাজার জনকে। যদিও নগরে ইতিমধ্যে ৯৮ ভাগ নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ডা. হুমায়ুন বলেন, ‘বিভাগে এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ মানুষের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগে প্রায় ২০ লাখ জনগোষ্ঠী এখনো টিকার আওতার বাইরে। শনিবার আরও ৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হলেও বিভাগে অবশিষ্ট ১৫ লাখ মানুষ টিকার আওতার বাইরে থাকবে।’ এরপর আর টিকার প্রথম ডোজ না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হয়তো কোনো প্রক্রিয়ায় এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিচালক জানান, অনেকেই এখনো ভ্রান্ত ধারণায় আছেন। এসব ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আসতে হবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরীতে ঘুরে ঘুরে করোনা প্রতিষেধক টিকা দিয়েছে বিসিসির ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র। ১০টি মাইক্রোবাসে ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। এ জন্য নগরে ১০টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নগরবাসীকে টিকা নিতে আরও আগ্রহী করে তুলতে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা আর দেওয়া হবে না। সূত্রমতে, ১০টি ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্রের প্রতিটিতে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২ জন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী রয়েছেন। কেন্দ্রগুলো থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে টিকা গ্রহণে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। বিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার শুভ্র জানিয়েছেন, শনিবার ২০ কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে নগরের সুধীসমাজ ও ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।
তবে গ্রামগঞ্জে গণটিকা দেওয়ার জন্য প্রচারে ঘাটতি থাকায় সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে অনেকটাই অন্ধকারে।
বাকেরগঞ্জের চরামদ্দির বাসিন্দা শিক্ষক সালমান আজিম জানান, এ ধরনের প্রচার তাঁর চোখে পড়েনি। মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাটের বাসিন্দা মশিউর দিপু বলেন, গণটিকার প্রচারে ঘাটতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণটিকা দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বুথ, টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলছে প্রচারের পাশাপাশি টিকা না দেওয়াদের বাড়ি বাড়ি সার্সিং। জেলার ৮৭টি ইউনিয়নে ৮৭টি কেন্দ্র থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি দল সার্বক্ষণিক টিকা দিতে প্রস্তুত থাকছে। বরিশাল নগরসহ জেলার ১০ উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। তবে এখনো বাকি রয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। ওই সংখ্যককেই শনিবার গণটিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না, ঠিক এমনটা নয়। অবশ্য নিজ থেকে সচেতন হয়ে টিকার আওতায় আসা জরুরি।’
প্রাণঘাতী করোনা রোধে বরিশালবাসীকে গণটিকার আওতায় আনতে বাড়ি বাড়ি সার্সিং চলছে। নগরসহ বিভাগের ৬ জেলায় আজ শনিবার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এক বিশেষ ঘোষণায় জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অবশ্য এখন পর্যন্ত বিভাগে প্রায় ২০ লাখ মানুষ টিকার আওতার বাইরে রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় ঘোষণা থেকে সরে এসে নানা উপায়ে প্রথম ডোজ অব্যাহত থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হুমায়ুন শাহিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় গণটিকা দেওয়ার টার্গেট ৫ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে। এ ছাড়া নগরে গণটিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৫ হাজার জনকে। যদিও নগরে ইতিমধ্যে ৯৮ ভাগ নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ডা. হুমায়ুন বলেন, ‘বিভাগে এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ মানুষের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগে প্রায় ২০ লাখ জনগোষ্ঠী এখনো টিকার আওতার বাইরে। শনিবার আরও ৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হলেও বিভাগে অবশিষ্ট ১৫ লাখ মানুষ টিকার আওতার বাইরে থাকবে।’ এরপর আর টিকার প্রথম ডোজ না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হয়তো কোনো প্রক্রিয়ায় এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিচালক জানান, অনেকেই এখনো ভ্রান্ত ধারণায় আছেন। এসব ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আসতে হবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরীতে ঘুরে ঘুরে করোনা প্রতিষেধক টিকা দিয়েছে বিসিসির ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র। ১০টি মাইক্রোবাসে ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। এ জন্য নগরে ১০টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নগরবাসীকে টিকা নিতে আরও আগ্রহী করে তুলতে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা আর দেওয়া হবে না। সূত্রমতে, ১০টি ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্রের প্রতিটিতে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ২ জন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী রয়েছেন। কেন্দ্রগুলো থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে টিকা গ্রহণে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। বিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার শুভ্র জানিয়েছেন, শনিবার ২০ কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে নগরের সুধীসমাজ ও ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।
তবে গ্রামগঞ্জে গণটিকা দেওয়ার জন্য প্রচারে ঘাটতি থাকায় সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে অনেকটাই অন্ধকারে।
বাকেরগঞ্জের চরামদ্দির বাসিন্দা শিক্ষক সালমান আজিম জানান, এ ধরনের প্রচার তাঁর চোখে পড়েনি। মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাটের বাসিন্দা মশিউর দিপু বলেন, গণটিকার প্রচারে ঘাটতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণটিকা দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বুথ, টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলছে প্রচারের পাশাপাশি টিকা না দেওয়াদের বাড়ি বাড়ি সার্সিং। জেলার ৮৭টি ইউনিয়নে ৮৭টি কেন্দ্র থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি দল সার্বক্ষণিক টিকা দিতে প্রস্তুত থাকছে। বরিশাল নগরসহ জেলার ১০ উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। তবে এখনো বাকি রয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। ওই সংখ্যককেই শনিবার গণটিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না, ঠিক এমনটা নয়। অবশ্য নিজ থেকে সচেতন হয়ে টিকার আওতায় আসা জরুরি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে