বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বাংলা নববর্ষ ঘিরে উৎসবে মেতেছে পার্বত্য তিন অঞ্চল। গতকাল ছিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব। এ উপলক্ষে বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে বহুমাত্রিক উদ্যাপন। করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত উদ্যাপনের পর এবার যেন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে সবার। এ উৎসবের মূল আকর্ষণ জলকেলি বা পানি উৎসব দেখতে এবার পাহাড়ে সমাগম ঘটেছে বিপুল পর্যটকেরও।
বান্দরবান: নববর্ষ উপলক্ষে বান্দরবানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দারা নিজ নিজ প্রথা অনুযায়ী বৈসু-বৈসুক, বিজু, সাংগ্রাই—সব ধরনের উৎসবেরই আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু মারমাপ্রধান এই জেলায় আলাদা মর্যাদা পায় সাংগ্রাই। নানা আনুষ্ঠানিকতার পরও শেষ পর্যন্ত সাংগ্রাই হয়ে ওঠে বান্দরবানের প্রধান উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রথা অনুযায়ী এবারও বাংলা বছরের শেষ দিন থেকে শুরু হয়েছে সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এটি মূলত মারমাদের উৎসব হলেও তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, ত্রিপুরা, খুমিসহ ১১টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকও মেতেছে এই উৎসবে। বাঙালিরাও উৎসাহভরে অংশ নিচ্ছেন এসব আনন্দ আয়োজনে।
সাংগ্রাই উপলক্ষে এবার যৌথভাবে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন কমিটি ও উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই)। এসব অনুষ্ঠান ঘিরে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ হয়ে উঠেছে উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন পোশাক পরে সব বয়সী মানুষ গতকাল সকাল থেকে সমবেত হন রাজার মাঠে। সকাল ৮টায় বেলুন উড়িয়ে এ আয়োজন উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এরপর তাঁর নেতৃত্বে বের হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রাটি কেএসআই প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
উৎসব উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈটিং ওয়াই জানান, বাংলা নববর্ষে (আজ) দুপুরে বুদ্ধমূর্তিকে শহরের উজানীপাড়া ঘাটে সাঙ্গু নদীতে স্লান করানো হবে। এরপর শুরু হবে সাংগ্রাইয়ের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে সাঙ্গু নদীর পাড়ে মৈত্রী পানিবর্ষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ রয়েছে নানা আনন্দ আয়োজন। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে পিঠা উৎসব। চলবে ১৬ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। পরে এসব পিঠা বিহারে বিহারে বৌদ্ধ ভান্তে-ভিক্ষুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শহরের রাজার মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে গতকাল সকালে পানখাইয়া উন্নয়ন সংসদের মাঠ থেকে সাংগ্রাই উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এরপর শুরু হয় জলকেলি। এবার এ আয়োজনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘সকল দুঃখ গ্লানি মুছে যাক, সবখানে নব প্রাণ ফিরে পাক’। আগামীর দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনায় জলকেলিতে অংশ নেন মারমা সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী। দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার উৎসব নিয়ে উদ্দীপনাটাও ছিল বেশি।
মারমা ভাষার কবি চিংলামং চৌধুরী বলেন, মারমারা বিশ্বাস করেন, এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সব গ্লানি মুছে যাবে। সাংগ্রাই শুধু প্রধান সামাজিক উৎসব নয়, এর সঙ্গে মারমাদের ধর্মীয় যোগও রয়েছে।
বাংলা নববর্ষ ঘিরে উৎসবে মেতেছে পার্বত্য তিন অঞ্চল। গতকাল ছিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব। এ উপলক্ষে বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে বহুমাত্রিক উদ্যাপন। করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত উদ্যাপনের পর এবার যেন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে সবার। এ উৎসবের মূল আকর্ষণ জলকেলি বা পানি উৎসব দেখতে এবার পাহাড়ে সমাগম ঘটেছে বিপুল পর্যটকেরও।
বান্দরবান: নববর্ষ উপলক্ষে বান্দরবানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দারা নিজ নিজ প্রথা অনুযায়ী বৈসু-বৈসুক, বিজু, সাংগ্রাই—সব ধরনের উৎসবেরই আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু মারমাপ্রধান এই জেলায় আলাদা মর্যাদা পায় সাংগ্রাই। নানা আনুষ্ঠানিকতার পরও শেষ পর্যন্ত সাংগ্রাই হয়ে ওঠে বান্দরবানের প্রধান উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রথা অনুযায়ী এবারও বাংলা বছরের শেষ দিন থেকে শুরু হয়েছে সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এটি মূলত মারমাদের উৎসব হলেও তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, ত্রিপুরা, খুমিসহ ১১টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকও মেতেছে এই উৎসবে। বাঙালিরাও উৎসাহভরে অংশ নিচ্ছেন এসব আনন্দ আয়োজনে।
সাংগ্রাই উপলক্ষে এবার যৌথভাবে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন কমিটি ও উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই)। এসব অনুষ্ঠান ঘিরে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ হয়ে উঠেছে উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন পোশাক পরে সব বয়সী মানুষ গতকাল সকাল থেকে সমবেত হন রাজার মাঠে। সকাল ৮টায় বেলুন উড়িয়ে এ আয়োজন উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এরপর তাঁর নেতৃত্বে বের হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রাটি কেএসআই প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
উৎসব উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈটিং ওয়াই জানান, বাংলা নববর্ষে (আজ) দুপুরে বুদ্ধমূর্তিকে শহরের উজানীপাড়া ঘাটে সাঙ্গু নদীতে স্লান করানো হবে। এরপর শুরু হবে সাংগ্রাইয়ের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে সাঙ্গু নদীর পাড়ে মৈত্রী পানিবর্ষণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ রয়েছে নানা আনন্দ আয়োজন। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে পিঠা উৎসব। চলবে ১৬ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। পরে এসব পিঠা বিহারে বিহারে বৌদ্ধ ভান্তে-ভিক্ষুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শহরের রাজার মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে গতকাল সকালে পানখাইয়া উন্নয়ন সংসদের মাঠ থেকে সাংগ্রাই উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এরপর শুরু হয় জলকেলি। এবার এ আয়োজনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘সকল দুঃখ গ্লানি মুছে যাক, সবখানে নব প্রাণ ফিরে পাক’। আগামীর দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনায় জলকেলিতে অংশ নেন মারমা সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী। দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার উৎসব নিয়ে উদ্দীপনাটাও ছিল বেশি।
মারমা ভাষার কবি চিংলামং চৌধুরী বলেন, মারমারা বিশ্বাস করেন, এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সব গ্লানি মুছে যাবে। সাংগ্রাই শুধু প্রধান সামাজিক উৎসব নয়, এর সঙ্গে মারমাদের ধর্মীয় যোগও রয়েছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে