সম্পাদকীয়
জীবন ধারণের জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। অথচ সেই পানি দেশের অনেক মানুষের কাছে দুর্লভ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশের অনেক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট না থাকলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এর ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। লবণাক্ততার কারণে এসব এলাকার মানুষ মিঠাপানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই গরমকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, সদর ও তালা উপজেলার একাংশে সুপেয় পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধু খাওয়ার পানি সংগ্রহেই প্রচুর সময় ব্যয় করছেন এসব এলাকার নারীরা। যাদের টাকা আছে, তারা পানি কিনে খেতে পারলেও গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে অপরিষ্কার পানি খাচ্ছে। দূষিত পানি পান করে নানা রোগে ভুগছে তারা। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় ‘সুপেয় পানির সংকটে বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পানিকে মানুষের অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। অথচ দেশের শহর, গ্রামের দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষ সুপেয় পানিপ্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এক গবেষণামতে, দেশের প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি খেতে পারে না। আর ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, সুপেয় পানির সুবিধাবঞ্চিতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
নিরাপদ পানি একটা বৈশ্বিক সমস্যা। কিন্তু আমাদের দেশে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভাবে উপকূলীয় এলাকা, বিশেষ করে সাতক্ষীরার সাধারণ জনগণ পানি থেকে বঞ্চিত। ওই এলাকার পানির সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের এই সমস্যা নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। কারণ এই এলাকার পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা অনেক বেশি। সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চল বলেই এটা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কি যথার্থ আছে?
সূত্রমতে, সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য এই জেলায় সরকারিভাবে ৬৫০টি পিএসএফ (পন্ড ওয়াটার ফিল্টারিং বাই স্যান্ড), ১৫ হাজার গভীর নলকূপ, ৮ হাজার রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার বসানো হয়েছে। পানি সরবরাহের জন্য এত কিছু আয়োজন থাকার পরেও কেন এ অবস্থা তৈরি হলো? এখানেই ফাঁকিটা ধরা পড়ে।
সরকারি উদ্যোগে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তদারকির কারণে সেই যন্ত্রগুলো এখন আর সচল নেই। সে কারণে সেখানে সুপেয় পানির আকাল দেখা দিয়েছে। আবার জেলার মোট জনসংখ্যার তুলনায় পানির যন্ত্রের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ওই জেলায় অনেক পুকুর থাকলেও শুধু আবর্জনার কারণে সেগুলো ব্যবহারের উপযোগী নয়।
বিশ্বের অনেক দেশে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এমনকি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও অপচয় রোধে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পালন করা হয়।
জনগণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। সাতক্ষীরায় পানির সংকট নিরসনে দ্রুত টিউবওয়েল স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া সাপ্লাই পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জীবন ধারণের জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। অথচ সেই পানি দেশের অনেক মানুষের কাছে দুর্লভ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশের অনেক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট না থাকলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এর ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। লবণাক্ততার কারণে এসব এলাকার মানুষ মিঠাপানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই গরমকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, সদর ও তালা উপজেলার একাংশে সুপেয় পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধু খাওয়ার পানি সংগ্রহেই প্রচুর সময় ব্যয় করছেন এসব এলাকার নারীরা। যাদের টাকা আছে, তারা পানি কিনে খেতে পারলেও গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে অপরিষ্কার পানি খাচ্ছে। দূষিত পানি পান করে নানা রোগে ভুগছে তারা। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় ‘সুপেয় পানির সংকটে বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
পানিকে মানুষের অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। অথচ দেশের শহর, গ্রামের দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষ সুপেয় পানিপ্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এক গবেষণামতে, দেশের প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি খেতে পারে না। আর ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, সুপেয় পানির সুবিধাবঞ্চিতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
নিরাপদ পানি একটা বৈশ্বিক সমস্যা। কিন্তু আমাদের দেশে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভাবে উপকূলীয় এলাকা, বিশেষ করে সাতক্ষীরার সাধারণ জনগণ পানি থেকে বঞ্চিত। ওই এলাকার পানির সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের এই সমস্যা নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। কারণ এই এলাকার পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা অনেক বেশি। সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চল বলেই এটা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কি যথার্থ আছে?
সূত্রমতে, সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য এই জেলায় সরকারিভাবে ৬৫০টি পিএসএফ (পন্ড ওয়াটার ফিল্টারিং বাই স্যান্ড), ১৫ হাজার গভীর নলকূপ, ৮ হাজার রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার বসানো হয়েছে। পানি সরবরাহের জন্য এত কিছু আয়োজন থাকার পরেও কেন এ অবস্থা তৈরি হলো? এখানেই ফাঁকিটা ধরা পড়ে।
সরকারি উদ্যোগে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তদারকির কারণে সেই যন্ত্রগুলো এখন আর সচল নেই। সে কারণে সেখানে সুপেয় পানির আকাল দেখা দিয়েছে। আবার জেলার মোট জনসংখ্যার তুলনায় পানির যন্ত্রের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ওই জেলায় অনেক পুকুর থাকলেও শুধু আবর্জনার কারণে সেগুলো ব্যবহারের উপযোগী নয়।
বিশ্বের অনেক দেশে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এমনকি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও অপচয় রোধে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পালন করা হয়।
জনগণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। সাতক্ষীরায় পানির সংকট নিরসনে দ্রুত টিউবওয়েল স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া সাপ্লাই পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে