বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ডলার-সংকট, মূল্যস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট—এতসব সমস্যায় জর্জরিত শিল্প খাত। এর সঙ্গে প্রতিবন্ধক রাজস্বনীতি ব্যবসা ও বিনিয়োগকে আরও কঠিন করে তুলছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরামর্শক সভা কমিটির সভায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। এই অবস্থায় আসছে বাজেটে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি প্রয়োজন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহের নেতাদের উপস্থিতিতে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবগুলোর যতটা পারা যায় আসছে বাজেটে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে মাহবুবুল আলম সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি, সুদের হার এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্বনীতির সংস্কার এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই জাতীয় অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আগামী বাজেটে এসব বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের করব্যবস্থা ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিপন্থী। অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের অভাবে করপোরেট করহার ১২ শতাংশে থাকছে না। সেটা বেড়ে প্রায় ৩০ শতাংশে চলে যাচ্ছে।
ডলার-সংকট, উচ্চ সুদের হার, বাড়তি বিদ্যুৎ-গ্যাসের বিল দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এখন একটা এক্সিট পলিসি দরকার।
গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি সুদের হার ডাবল ডিজিটে যাওয়ায় ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে বলে জানান বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ইএফডি মেশিনের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন মার্কেটে ইএফডি বসানো হয়েছে। ডিসকাউন্টে বিক্রি করলেও মূল টাকার ওপরই ভ্যাট দিতে হচ্ছে।’
রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমানো ও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এনবিআরকে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কসংক্রান্ত ৩৮১টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ থাকলে সেগুলো সমাধানে এনবিআর কাজ করবে। তবে রাজস্ব আয়ের স্বার্থে ধীরে ধীরে করছাড় তুলে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
ডলার-সংকট, মূল্যস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট—এতসব সমস্যায় জর্জরিত শিল্প খাত। এর সঙ্গে প্রতিবন্ধক রাজস্বনীতি ব্যবসা ও বিনিয়োগকে আরও কঠিন করে তুলছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরামর্শক সভা কমিটির সভায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। এই অবস্থায় আসছে বাজেটে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি প্রয়োজন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহের নেতাদের উপস্থিতিতে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবগুলোর যতটা পারা যায় আসছে বাজেটে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে মাহবুবুল আলম সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি, সুদের হার এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্বনীতির সংস্কার এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই জাতীয় অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আগামী বাজেটে এসব বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের করব্যবস্থা ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিপন্থী। অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের অভাবে করপোরেট করহার ১২ শতাংশে থাকছে না। সেটা বেড়ে প্রায় ৩০ শতাংশে চলে যাচ্ছে।
ডলার-সংকট, উচ্চ সুদের হার, বাড়তি বিদ্যুৎ-গ্যাসের বিল দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এখন একটা এক্সিট পলিসি দরকার।
গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি সুদের হার ডাবল ডিজিটে যাওয়ায় ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে বলে জানান বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ইএফডি মেশিনের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন মার্কেটে ইএফডি বসানো হয়েছে। ডিসকাউন্টে বিক্রি করলেও মূল টাকার ওপরই ভ্যাট দিতে হচ্ছে।’
রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমানো ও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এনবিআরকে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কসংক্রান্ত ৩৮১টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ থাকলে সেগুলো সমাধানে এনবিআর কাজ করবে। তবে রাজস্ব আয়ের স্বার্থে ধীরে ধীরে করছাড় তুলে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে