স্বপ্না রেজা
তাঁর নাম আশরাফুল আলম। সবাই তাঁকে হিরো আলম বলেই চেনে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুচির দুর্ভিক্ষের দৃষ্টান্ত হিসেবে হিরো আলমকে চিহ্নিত করে মহাবিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। মানবমর্যাদা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। সংগীত নিজের মতো করে পরিবেশন করায় তাঁকে ডিবি অফিসে গিয়েও মুচলেকা দিতে হয়েছিল।
সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির কাছেই তিনি নিন্দিত হয়েছেন। সেই হিরো আলম এখন অন্য রকম আলোচনায় উজ্জ্বল এবং তা দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে! তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাঁর সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। দেশের সীমা ছাড়িয়ে হিরো আলম এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বাহ! কারণ তো আছেই এমনটি ঘটার। যা অনেকে করতে পারে না, তা কিন্তু একজন হিরো আলম করে দেখান। তিনি অনেকের মতো শিক্ষিত ও গুছিয়ে কথা না বলতে পারলেও যে স্বপ্ন দেখেন, তা কিন্তু শেষ অবধি ঘটিয়ে ছাড়েন এবং তা যথেষ্ট সাহসিকতায়।
তাঁকে যে কেউ ছোট করে দেখতে পারেন। এটা যিনি দেখছেন, তার বিবেচনার ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্কের পর ইউটিউবের সীমা ছাড়িয়ে আলম এখন আরও বড় জায়গায় পৌঁছে গেছেন। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কেউ কেউ এর পেছনে অদৃশ্য কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন, ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফলে তাঁকে কিন্তু হোয়াইটওয়াশ হতে দেখা যায়নি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬০৯টি। অর্থাৎ, ৫ হাজার ৬০৯ জন ব্যক্তি তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত ছাড়া যেখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই পরিমাণ ভোট পাননি। অবাক কাণ্ড হলেও সত্য, বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এই হিরো। জানা গেছে, দু-একটি কেন্দ্রে তিনি আরাফাতের চেয়ে এগিয়ে। কারা তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তার ভিডিও ফুটেজ বা ছবি দেখলে বোঝা সম্ভব হতো, মানুষটি আদতে কাদের মন জয় করেছেন। কারাইবা তাঁকে নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জায়গা পাইয়ে দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। বগুড়া থেকে সরাসরি ঢাকার আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনেকের কাছেই মিশ্র রাজনৈতিক ধারণার জন্ম দিয়েছে। তবে যেটাই হোক, আলম এখন সুপার হিরো।
তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটালে তিনি হিরো থেকে সুপার হিরো হয়ে ওঠেন। একজন রসিকতা করে বলছিলেন, মানবাধিকারের অজুহাতে হিরো চাইলেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যাবেন। আমেরিকান পাসপোর্টও হতে পারে। যদিও সেই দেশে প্রায়ই বন্দুক হামলায় প্রাণহানি ঘটে। সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই অনেকের অভিযোগ। আবার কতিপয় ব্যক্তি অনুমানে বলছেন, এই হামলা আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের কাজ। হিরো তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, এটা কী করে সম্ভব? মানা যায়নি, তাই হামলা হয়েছে। অন্য দল বলছে, এটা বিএনপির সমর্থকদেরই কাজ।
তারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে যে, আওয়ামী লীগ হিরো আলমকেও সইতে পারছে না। আবার আরেক দল বলছে, এটা হিরো আলমের সমর্থকদেরই কাজ। যদিও তাঁকে রাস্তায় যেভাবে ফেলে পেটানো হয়েছে, তাতে মনে হয় না তাঁর সমর্থকেরা এমন কাজ করবে। তবে কেউই দাবি করেননি যে, হিরো আলম ভোট কারচুপি করেছেন।
হামলা যে-ই করে থাকুক, জয়টা কিন্তু হিরো আলমেরই। কীভাবে? পরিষ্কার, তাঁর পরিচিতি বিশ্বময় হয়েছে। জাতিসংঘ একজন হিরো আলমের নাম জেনে গেছে। একটা সময়ে মুচলেকা দিতে হলেও সেই হিরো আলমের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গোয়েন লুইসকে আশ্বস্ত করেছে বলে পত্রিকান্তরে জানা যায়। হামলাকারীদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যে ধরা হয়েছে, বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
সাতজনের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সরকারের উচিৎ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা। একটা কথা মনে রাখতে হবে, হিরো আলম উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থী এবং বিজয়ীর নিকটতম প্রার্থী। ইউটিউবের সেই হিরো আলমকে নয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থী হিসেবে তাঁর ন্যায্যবিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর দশজন প্রার্থী যতটা সমাদর ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন, তাঁকেও সেটা দিতে হবে।
যা হোক, উপনির্বাচনের ফলাফলে কেউ কিন্তু বলেনি রাজনীতিতে রুচির দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে, যার জন্য দায়ী একজন হিরো আলম, সুতরাং আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তেমন কথা বলার সুযোগ হিরো আলম নিজেই শেষ করেছেন। তাঁকে নিয়ে যারা হাসি-ঠাট্টা করত, বিব্রত বোধ করত, তারা কী ভাবছে, সেটা জানার কৌতূহল তো থাকেই। টিভিতে দেখলাম, তিনি যেভাবে মার খাচ্ছেন, প্রতিহত করার শক্তিও তাঁর নেই। তাকে প্রতিশোধপরায়ণ হতে দেখা যায়নি। কেউ দেখেছে কি না, তা আমার জানা নেই।
কারা এভাবে তাঁকে পেটাল, সেটা যদি বের করা সম্ভব না হয়, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার সুযোগ থেকে যাবে।একশ্রেণির মানুষের ধারণা, ৫ হাজার ৬০৯টি ভোট ভিন্ন বার্তা এনে দিয়েছে। সময় এসেছে সেই ভিন্ন বার্তা খতিয়ে দেখার। উন্নত দেশগুলোর মানবাধিকার বিষয়ে অতি মনোযোগের কারণে একজন হিরো আলমকে নিয়ে বৈশ্বিক কোনো বিপ্লব ঘটে যায় কি না শেষমেশ, সেই চিন্তা কিন্তু থাকছেই।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক
তাঁর নাম আশরাফুল আলম। সবাই তাঁকে হিরো আলম বলেই চেনে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুচির দুর্ভিক্ষের দৃষ্টান্ত হিসেবে হিরো আলমকে চিহ্নিত করে মহাবিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। মানবমর্যাদা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। সংগীত নিজের মতো করে পরিবেশন করায় তাঁকে ডিবি অফিসে গিয়েও মুচলেকা দিতে হয়েছিল।
সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির কাছেই তিনি নিন্দিত হয়েছেন। সেই হিরো আলম এখন অন্য রকম আলোচনায় উজ্জ্বল এবং তা দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে! তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাঁর সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। দেশের সীমা ছাড়িয়ে হিরো আলম এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বাহ! কারণ তো আছেই এমনটি ঘটার। যা অনেকে করতে পারে না, তা কিন্তু একজন হিরো আলম করে দেখান। তিনি অনেকের মতো শিক্ষিত ও গুছিয়ে কথা না বলতে পারলেও যে স্বপ্ন দেখেন, তা কিন্তু শেষ অবধি ঘটিয়ে ছাড়েন এবং তা যথেষ্ট সাহসিকতায়।
তাঁকে যে কেউ ছোট করে দেখতে পারেন। এটা যিনি দেখছেন, তার বিবেচনার ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্কের পর ইউটিউবের সীমা ছাড়িয়ে আলম এখন আরও বড় জায়গায় পৌঁছে গেছেন। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কেউ কেউ এর পেছনে অদৃশ্য কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন, ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফলে তাঁকে কিন্তু হোয়াইটওয়াশ হতে দেখা যায়নি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬০৯টি। অর্থাৎ, ৫ হাজার ৬০৯ জন ব্যক্তি তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত ছাড়া যেখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই পরিমাণ ভোট পাননি। অবাক কাণ্ড হলেও সত্য, বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এই হিরো। জানা গেছে, দু-একটি কেন্দ্রে তিনি আরাফাতের চেয়ে এগিয়ে। কারা তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তার ভিডিও ফুটেজ বা ছবি দেখলে বোঝা সম্ভব হতো, মানুষটি আদতে কাদের মন জয় করেছেন। কারাইবা তাঁকে নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জায়গা পাইয়ে দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। বগুড়া থেকে সরাসরি ঢাকার আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনেকের কাছেই মিশ্র রাজনৈতিক ধারণার জন্ম দিয়েছে। তবে যেটাই হোক, আলম এখন সুপার হিরো।
তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটালে তিনি হিরো থেকে সুপার হিরো হয়ে ওঠেন। একজন রসিকতা করে বলছিলেন, মানবাধিকারের অজুহাতে হিরো চাইলেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যাবেন। আমেরিকান পাসপোর্টও হতে পারে। যদিও সেই দেশে প্রায়ই বন্দুক হামলায় প্রাণহানি ঘটে। সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই অনেকের অভিযোগ। আবার কতিপয় ব্যক্তি অনুমানে বলছেন, এই হামলা আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের কাজ। হিরো তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, এটা কী করে সম্ভব? মানা যায়নি, তাই হামলা হয়েছে। অন্য দল বলছে, এটা বিএনপির সমর্থকদেরই কাজ।
তারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে যে, আওয়ামী লীগ হিরো আলমকেও সইতে পারছে না। আবার আরেক দল বলছে, এটা হিরো আলমের সমর্থকদেরই কাজ। যদিও তাঁকে রাস্তায় যেভাবে ফেলে পেটানো হয়েছে, তাতে মনে হয় না তাঁর সমর্থকেরা এমন কাজ করবে। তবে কেউই দাবি করেননি যে, হিরো আলম ভোট কারচুপি করেছেন।
হামলা যে-ই করে থাকুক, জয়টা কিন্তু হিরো আলমেরই। কীভাবে? পরিষ্কার, তাঁর পরিচিতি বিশ্বময় হয়েছে। জাতিসংঘ একজন হিরো আলমের নাম জেনে গেছে। একটা সময়ে মুচলেকা দিতে হলেও সেই হিরো আলমের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গোয়েন লুইসকে আশ্বস্ত করেছে বলে পত্রিকান্তরে জানা যায়। হামলাকারীদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যে ধরা হয়েছে, বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
সাতজনের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সরকারের উচিৎ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা। একটা কথা মনে রাখতে হবে, হিরো আলম উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থী এবং বিজয়ীর নিকটতম প্রার্থী। ইউটিউবের সেই হিরো আলমকে নয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একজন প্রার্থী হিসেবে তাঁর ন্যায্যবিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর দশজন প্রার্থী যতটা সমাদর ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন, তাঁকেও সেটা দিতে হবে।
যা হোক, উপনির্বাচনের ফলাফলে কেউ কিন্তু বলেনি রাজনীতিতে রুচির দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে, যার জন্য দায়ী একজন হিরো আলম, সুতরাং আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তেমন কথা বলার সুযোগ হিরো আলম নিজেই শেষ করেছেন। তাঁকে নিয়ে যারা হাসি-ঠাট্টা করত, বিব্রত বোধ করত, তারা কী ভাবছে, সেটা জানার কৌতূহল তো থাকেই। টিভিতে দেখলাম, তিনি যেভাবে মার খাচ্ছেন, প্রতিহত করার শক্তিও তাঁর নেই। তাকে প্রতিশোধপরায়ণ হতে দেখা যায়নি। কেউ দেখেছে কি না, তা আমার জানা নেই।
কারা এভাবে তাঁকে পেটাল, সেটা যদি বের করা সম্ভব না হয়, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার সুযোগ থেকে যাবে।একশ্রেণির মানুষের ধারণা, ৫ হাজার ৬০৯টি ভোট ভিন্ন বার্তা এনে দিয়েছে। সময় এসেছে সেই ভিন্ন বার্তা খতিয়ে দেখার। উন্নত দেশগুলোর মানবাধিকার বিষয়ে অতি মনোযোগের কারণে একজন হিরো আলমকে নিয়ে বৈশ্বিক কোনো বিপ্লব ঘটে যায় কি না শেষমেশ, সেই চিন্তা কিন্তু থাকছেই।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে