কক্সবাজার প্রতিনিধি
দেশের কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের মতো অসংক্রামক রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কোনো লক্ষণ ছাড়া এসব রোগ যেভাবে দেখা দিচ্ছে, তাতে দেশের সীমিত স্বাস্থ্য বাজেট দিয়ে ভবিষ্যতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
গতকাল শনিবার পর্যটন শহর কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অসংক্রামক ব্যাধির ওপর পরিচালিত সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আকতার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন, কক্সবাজার ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
জানা গেছে, বাংলাদেশে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, রক্তে চর্বির আধিক্যে আক্রান্তের হার এবং এর প্রকৃত কারণসমূহ খুঁজে বের করতে ২০২১ সালে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তিন মাসব্যাপী একটি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পরিচালনা করে। দেশের আটটি বিভাগের ১০ জেলায় একটি শহর ও একটি গ্রামে বৈজ্ঞানিক এ সমীক্ষা চালানো হয়।
অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, এই সমীক্ষা ভবিষ্যতে অসংক্রামক রোগনির্ণয় ও প্রতিরোধে সাহায্য করবে। আর এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে দেশব্যাপী সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
সমীক্ষার প্রতিবেদনে জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইতিমধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের অসংক্রামক রোগের কারণ ও হার নিয়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ নিয়ে আক্রান্তের হার এবং এর প্রকৃত কারণ নিয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছিল না।
২ হাজার ৪৬৮ জনের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে শহরে ১ হাজার ৩২০ ও গ্রামের ১ হাজার ১৪৮ জন।
তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে শহরে শতকরা ৮ জন। এ ছাড়া নারী আক্রান্তের হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের মধ্যে ৩০ এবং তদূর্ধ্ব শতকরা ২২ দশমিক ৫ জন রয়েছে। এদের মধ্যে শতকরা ৬১ জনের ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণই ছিল না।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের হার দেখা গেছে, গ্রামে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, শহরে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। বয়স অনুপাতে ৩০ এবং তদূর্ধ্ব আক্রান্তের হার বেশি। এ হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রেও ৬৮ দশমিক ১ শতাংশের কোনো উপসর্গ ছিল না।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থূলতার হার গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি। স্থূলতায় আক্রান্তদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মেটাবলিক সিনড্রোমের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। এ হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্তদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সংখ্যা বেশি। এ সংখ্যা শহর ও পুরুষদের মধ্যে বেশি রয়েছে।
সমীক্ষায় ধূমপায়ীর হার ছিল শতকরা ১১ জনের বেশি। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করে না ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া পরিমিত সুষম খাবার (প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল) খায় না ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
দেশের কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের মতো অসংক্রামক রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কোনো লক্ষণ ছাড়া এসব রোগ যেভাবে দেখা দিচ্ছে, তাতে দেশের সীমিত স্বাস্থ্য বাজেট দিয়ে ভবিষ্যতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
গতকাল শনিবার পর্যটন শহর কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অসংক্রামক ব্যাধির ওপর পরিচালিত সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আকতার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন, কক্সবাজার ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
জানা গেছে, বাংলাদেশে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, রক্তে চর্বির আধিক্যে আক্রান্তের হার এবং এর প্রকৃত কারণসমূহ খুঁজে বের করতে ২০২১ সালে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তিন মাসব্যাপী একটি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পরিচালনা করে। দেশের আটটি বিভাগের ১০ জেলায় একটি শহর ও একটি গ্রামে বৈজ্ঞানিক এ সমীক্ষা চালানো হয়।
অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, এই সমীক্ষা ভবিষ্যতে অসংক্রামক রোগনির্ণয় ও প্রতিরোধে সাহায্য করবে। আর এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে দেশব্যাপী সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
সমীক্ষার প্রতিবেদনে জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইতিমধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের অসংক্রামক রোগের কারণ ও হার নিয়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কিশোর ও তরুণদের মধ্যে অসংক্রামক রোগ নিয়ে আক্রান্তের হার এবং এর প্রকৃত কারণ নিয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছিল না।
২ হাজার ৪৬৮ জনের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে শহরে ১ হাজার ৩২০ ও গ্রামের ১ হাজার ১৪৮ জন।
তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে শহরে শতকরা ৮ জন। এ ছাড়া নারী আক্রান্তের হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের মধ্যে ৩০ এবং তদূর্ধ্ব শতকরা ২২ দশমিক ৫ জন রয়েছে। এদের মধ্যে শতকরা ৬১ জনের ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণই ছিল না।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের হার দেখা গেছে, গ্রামে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, শহরে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। বয়স অনুপাতে ৩০ এবং তদূর্ধ্ব আক্রান্তের হার বেশি। এ হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রেও ৬৮ দশমিক ১ শতাংশের কোনো উপসর্গ ছিল না।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থূলতার হার গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি। স্থূলতায় আক্রান্তদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মেটাবলিক সিনড্রোমের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। এ হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্তদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সংখ্যা বেশি। এ সংখ্যা শহর ও পুরুষদের মধ্যে বেশি রয়েছে।
সমীক্ষায় ধূমপায়ীর হার ছিল শতকরা ১১ জনের বেশি। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করে না ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া পরিমিত সুষম খাবার (প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল) খায় না ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
১ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
১ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
১ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
১ দিন আগে