জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
বাবা পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক। ছেলে তখনো এইচএসসি পাস। এর মধ্যেই পেট্রোবাংলায় সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের যোগ্যতা ছিল স্নাতক উত্তীর্ণ। বাবার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বলে কথা! ছেলে তাই স্নাতকের জাল সনদ দিয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পান। নথি ঘেঁটে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে আজকের পত্রিকা।
তা ছাড়া পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক পদে মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিয়োগের আবেদনপত্র, জাল ও আসল সনদ সংগ্রহ করেছে আজকের পত্রিকা। নিয়োগের আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি লেখেন, এসএসসি পাস করেন ২০০৪ সালে। আর এইচএসসি ২০০৬ সালে। ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১০ সালে বিবিএ পাস দেখান। প্রাপ্ত সিজিপিএ দেখান ২.৮১। এটির সঙ্গে স্নাতকের একটি সনদ ও নম্বরপত্রও দেন।
এই সনদ ও নম্বরপত্র সত্যায়িত করেছেন নিয়োগ কমিটিরই সদস্য পেট্রোবাংলার অধীন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় মোট ২০ পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পেট্রোবাংলা। এতে সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদে নিয়োগ পান মহিউদ্দিন চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর জমা দেওয়া ২০১০ সালের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সনদটি ছিল জাল। এই সনদে রেজিস্ট্রার হিসেবে সই আছে ড. তানভীর এ খানের। অথচ ২০১০ সালে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষে পড়ছিলেন মহিউদ্দিন। তিনি মূলত স্নাতক পাস করেন নিয়োগ পাওয়ার ১১ মাস ২৭ দিন পর। অর্থাৎ ২০১২ সালে।
নিয়োগ কমিটির কাছে ২০১১ সালে জমা দেওয়া সাময়িক সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্রে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. তানভীর এ খানের দুই ধরনের সই পাওয়া গেছে।
তদন্তে প্রমাণিত হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ২০১১ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন নিয়োগ পান তখন তাঁর বাবা আইয়ুব খান চৌধুরী পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। পরে তিনি কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। বাবার ক্ষমতার কারণে ছেলের জালিয়াতির বিষয়ে জেনেও চুপ ছিলেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। এমনকি এ ঘটনায় ২০২১ সালে পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি সাত পৃষ্ঠার গোপনীয় প্রতিবেদন জমা দেয়। এটিও আজকের পত্রিকা সংগ্রহ করেছে। এতেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্নাতকে দুই রকম সিজিপিএ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব কেজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিটি তদন্ত করে যা পেয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
জালিয়াতির বিষয়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্টিফিকেটের বিষয়ে তদন্ত কমিটি বুঝবে। ওনারা যদি জাল মনে করে, তাহলে জাল রিপোর্ট দেবে। আর সঠিক মনে করলে, সঠিক রিপোর্ট দেবে। আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’
এই বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি জাল সার্টিফিকেটে চাকরি নেয়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। এই বিষয়ে কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমরা বিষয়টির খবর নিব।’
বাবা পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক। ছেলে তখনো এইচএসসি পাস। এর মধ্যেই পেট্রোবাংলায় সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের যোগ্যতা ছিল স্নাতক উত্তীর্ণ। বাবার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বলে কথা! ছেলে তাই স্নাতকের জাল সনদ দিয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পান। নথি ঘেঁটে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে আজকের পত্রিকা।
তা ছাড়া পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক পদে মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিয়োগের আবেদনপত্র, জাল ও আসল সনদ সংগ্রহ করেছে আজকের পত্রিকা। নিয়োগের আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি লেখেন, এসএসসি পাস করেন ২০০৪ সালে। আর এইচএসসি ২০০৬ সালে। ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১০ সালে বিবিএ পাস দেখান। প্রাপ্ত সিজিপিএ দেখান ২.৮১। এটির সঙ্গে স্নাতকের একটি সনদ ও নম্বরপত্রও দেন।
এই সনদ ও নম্বরপত্র সত্যায়িত করেছেন নিয়োগ কমিটিরই সদস্য পেট্রোবাংলার অধীন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় মোট ২০ পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পেট্রোবাংলা। এতে সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদে নিয়োগ পান মহিউদ্দিন চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর জমা দেওয়া ২০১০ সালের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সনদটি ছিল জাল। এই সনদে রেজিস্ট্রার হিসেবে সই আছে ড. তানভীর এ খানের। অথচ ২০১০ সালে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষে পড়ছিলেন মহিউদ্দিন। তিনি মূলত স্নাতক পাস করেন নিয়োগ পাওয়ার ১১ মাস ২৭ দিন পর। অর্থাৎ ২০১২ সালে।
নিয়োগ কমিটির কাছে ২০১১ সালে জমা দেওয়া সাময়িক সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্রে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. তানভীর এ খানের দুই ধরনের সই পাওয়া গেছে।
তদন্তে প্রমাণিত হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ২০১১ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন নিয়োগ পান তখন তাঁর বাবা আইয়ুব খান চৌধুরী পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। পরে তিনি কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। বাবার ক্ষমতার কারণে ছেলের জালিয়াতির বিষয়ে জেনেও চুপ ছিলেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। এমনকি এ ঘটনায় ২০২১ সালে পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি সাত পৃষ্ঠার গোপনীয় প্রতিবেদন জমা দেয়। এটিও আজকের পত্রিকা সংগ্রহ করেছে। এতেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্নাতকে দুই রকম সিজিপিএ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব কেজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিটি তদন্ত করে যা পেয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
জালিয়াতির বিষয়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্টিফিকেটের বিষয়ে তদন্ত কমিটি বুঝবে। ওনারা যদি জাল মনে করে, তাহলে জাল রিপোর্ট দেবে। আর সঠিক মনে করলে, সঠিক রিপোর্ট দেবে। আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’
এই বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি জাল সার্টিফিকেটে চাকরি নেয়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। এই বিষয়ে কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমরা বিষয়টির খবর নিব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে