জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
প্রতিবছর হাওরবাসী অধীর অপেক্ষায় থাকে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারার। বছরের একমাত্র এই ফসল ঘরে তুলতে পারলেই তাদের হাজারো স্বপ্ন পূরণ হয়। স্বস্তিতে বোরো ফসল ঘরে তুলতেই কৃষকের ঘরের চালায় ওঠে নতুন টিন। কারও কারও ঘরে বেড়া লাগে নতুন করে। সব মিলিয়ে বোরো ফসলে হাসি ফোটে পুরো হাওরাঞ্চলের পৌনে চার লাখের মতো কৃষক পরিবারের প্রায় ২৮ লাখ মানুষের। কৃষিনির্ভর ও হাওর-অধ্যুষিত জেলা সুনামগঞ্জের হাওরে গত বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দুর্যোগ-দুর্বিপাক ছাড়াই সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পেরে কৃষকদের মুখে এখন রাজ্য জয়ের হাসি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খিরদরপুর গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন, ‘এই বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল আমরা। এবার বাম্পার ফলন পেয়েছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল, ফসল ঘরে তুলতে পারলে ছেলেকে বিদেশ পাঠাব। এখন ধান বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে পারছি।’
বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে হাওরাঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয় বোরো আবাদের কাজ। চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি হাওরে বীজতলায় চারা তৈরির পর জমিতে চারা রোপণের পর নিজের সন্তানের মতোই তিন থেকে সাড়ে তিন মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল চাষ করেন। কিন্তু পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার কারণে প্রায় বছরই ফসল তলিয়ে যায়। আবার কখনো কখনো ধানে চিটার পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। তবে গত মৌসুমে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল আসেনি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। ফলে জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। গত মার্চ মাস থেকেই হাওরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
প্রকৃতি ও ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর নির্ভর করেই সাধারণত সুনামগঞ্জের কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকেন। এই অঞ্চলের জমি অধিকাংশই নিচু। নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রায় বছরই আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। ২০১৭ সালের আগাম বন্যায় প্রায় শতভাগ ফসল তলিয়ে গিয়েছিল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২টি ছোট-বড় হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টন ধান বা ৯ লাখ ২ হাজার টন চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে এবার ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৪৯ টন চাল পাওয়া গেছে।
রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় ধান শুকাতেও সমস্যা হয়নি কৃষকদের। পানিবেষ্টিত জেলায় কাঁচা ঘাস কম উৎপাদিত হওয়ায় এ জেলার সাড়ে ৭ লাখের বেশি গরু-মহিষের খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় খড়ের ওপর। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ২ লাখ টন শুকনো খড় উৎপাদিত হয়েছে।
ফসল ঘরে তুলতে পেরে হাওরাঞ্চলে এখন উৎসবের আমেজ চলছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াবাজ গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন বোরো ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার আমার ছেলেকে বিয়ে করাব এবং নিজের বসতভিটা মেরামত করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নতুন জাতের চারা দিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। সেই পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকেরা চাষাবাদ করায় বাম্পার ফলন হয়েছে।’
প্রতিবছর হাওরবাসী অধীর অপেক্ষায় থাকে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারার। বছরের একমাত্র এই ফসল ঘরে তুলতে পারলেই তাদের হাজারো স্বপ্ন পূরণ হয়। স্বস্তিতে বোরো ফসল ঘরে তুলতেই কৃষকের ঘরের চালায় ওঠে নতুন টিন। কারও কারও ঘরে বেড়া লাগে নতুন করে। সব মিলিয়ে বোরো ফসলে হাসি ফোটে পুরো হাওরাঞ্চলের পৌনে চার লাখের মতো কৃষক পরিবারের প্রায় ২৮ লাখ মানুষের। কৃষিনির্ভর ও হাওর-অধ্যুষিত জেলা সুনামগঞ্জের হাওরে গত বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দুর্যোগ-দুর্বিপাক ছাড়াই সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পেরে কৃষকদের মুখে এখন রাজ্য জয়ের হাসি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খিরদরপুর গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন, ‘এই বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল আমরা। এবার বাম্পার ফলন পেয়েছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল, ফসল ঘরে তুলতে পারলে ছেলেকে বিদেশ পাঠাব। এখন ধান বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে পারছি।’
বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে হাওরাঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয় বোরো আবাদের কাজ। চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি হাওরে বীজতলায় চারা তৈরির পর জমিতে চারা রোপণের পর নিজের সন্তানের মতোই তিন থেকে সাড়ে তিন মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল চাষ করেন। কিন্তু পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার কারণে প্রায় বছরই ফসল তলিয়ে যায়। আবার কখনো কখনো ধানে চিটার পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। তবে গত মৌসুমে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল আসেনি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। ফলে জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। গত মার্চ মাস থেকেই হাওরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
প্রকৃতি ও ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর নির্ভর করেই সাধারণত সুনামগঞ্জের কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকেন। এই অঞ্চলের জমি অধিকাংশই নিচু। নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রায় বছরই আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। ২০১৭ সালের আগাম বন্যায় প্রায় শতভাগ ফসল তলিয়ে গিয়েছিল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২টি ছোট-বড় হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টন ধান বা ৯ লাখ ২ হাজার টন চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে এবার ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৪৯ টন চাল পাওয়া গেছে।
রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় ধান শুকাতেও সমস্যা হয়নি কৃষকদের। পানিবেষ্টিত জেলায় কাঁচা ঘাস কম উৎপাদিত হওয়ায় এ জেলার সাড়ে ৭ লাখের বেশি গরু-মহিষের খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় খড়ের ওপর। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ২ লাখ টন শুকনো খড় উৎপাদিত হয়েছে।
ফসল ঘরে তুলতে পেরে হাওরাঞ্চলে এখন উৎসবের আমেজ চলছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াবাজ গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন বোরো ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার আমার ছেলেকে বিয়ে করাব এবং নিজের বসতভিটা মেরামত করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নতুন জাতের চারা দিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। সেই পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকেরা চাষাবাদ করায় বাম্পার ফলন হয়েছে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে