সেলিম হোসাইন, ফুলবাড়িয়া
ফুলবাড়িয়ার একসময়ের খরস্রোতা নদ বানার ও বাজুয়া। দখল আর ভরাটে অনেক আগেই নাব্যতা হারিয়েছে। এখন অস্তিত্বই হারাতে বসেছে বানার। সমানে চলছে নদীদূষণ। মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনা সরাসরি ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও ড্রেনের সংযোগও মিশছে নদের পানিতে। ফলে এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, উপজেলায় নদ-নদী ও খাল-বিল দখলকারীর সংখ্যা ২৯।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ বাজারের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বানার নদের একসময় প্রস্থ ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ ফুট। তবে বাজার এলাকায় দুই পাড় দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাসাবাড়িসহ দোকানপাট গড়ে তোলেন। অথচ নদের বুক চিরে একসময় চলাচল করেছে লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু দখল ও ভরাটের কারণে নদীগুলো কোথাও কোথাও মৃত খালে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেই বানার নদের নাব্যতা ফেরাতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার নদী খননকাজ শেষ পর্যায়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুরামপুর মৌজার নকশা অনুযায়ী বানার নদের প্রস্থ ৮২ ফুট। কিন্তু অবৈধভাবে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করায় বর্তমানে মূল নদের ১৫ ফুট প্রস্থও নেই। বাবুগঞ্জ বাজারে বানার ও বাজুয়া নদের দুই পাড়ে বাসাবাড়িসহ দুই ডজন হাফ বিল্ডিং ঘর রয়েছে। এসব ঘর দোকান হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবুগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় রোডে নদের ওপর একসঙ্গে ১৪-১৫টি ভবন রয়েছে।
এদিকে করোনাকালে সেতুর পশ্চিম ও উত্তর পাশে বানার নদীতে নতুন করে টিনশেড ঘর করে দখলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন বাজুয়া নদে নতুন করে মাটি ভরাট করছেন। নদ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে কেউ কিছু বলেন না।
বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেভাবে প্রতিনিয়ত নদ দখল হচ্ছে, একসময় নদ বলতে আর কিছু থাকবে না।’
নদ দখলে একজন অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমিসহ ৩-৪ জন দোকানমালিক আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর আমি ছাড়া সবাই আবার নিজ নিজ ঘরে উঠেছে।’
বাবুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম লিমন চৌধুরী বলেন, ‘ভরাট ও দখলের কারণে নদটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। দেখলে বোঝার উপায় নেই, একসময় খরস্রোতা ছিল বানার। দখলের ফলে বর্ষা মৌসুমে শত শত একর জমির ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।’
বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মির্জা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘প্রভাবশালীরা ইউএনও স্যারের কথাও মানেনি। ঠিকই নদ দখল করে গেছেন।’
বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বানার নদে মুরগির বিষ্ঠা ফেলায় বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রভাব পড়ছে। দুর্গন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চায় না। মানুষ বাজারে আসতে পারে না।’
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘কোনোভাবেই নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা ইসলাম বলেন, ‘আমার আসলে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমরা নদ দখলকারীদের তালিকা করেছি।’
ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এখনো দেখিনি নদ দখল হয়েছে কি না। তবে কেউ তা করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফুলবাড়িয়ার একসময়ের খরস্রোতা নদ বানার ও বাজুয়া। দখল আর ভরাটে অনেক আগেই নাব্যতা হারিয়েছে। এখন অস্তিত্বই হারাতে বসেছে বানার। সমানে চলছে নদীদূষণ। মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনা সরাসরি ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও ড্রেনের সংযোগও মিশছে নদের পানিতে। ফলে এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, উপজেলায় নদ-নদী ও খাল-বিল দখলকারীর সংখ্যা ২৯।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ বাজারের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বানার নদের একসময় প্রস্থ ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ ফুট। তবে বাজার এলাকায় দুই পাড় দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাসাবাড়িসহ দোকানপাট গড়ে তোলেন। অথচ নদের বুক চিরে একসময় চলাচল করেছে লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু দখল ও ভরাটের কারণে নদীগুলো কোথাও কোথাও মৃত খালে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেই বানার নদের নাব্যতা ফেরাতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার নদী খননকাজ শেষ পর্যায়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুরামপুর মৌজার নকশা অনুযায়ী বানার নদের প্রস্থ ৮২ ফুট। কিন্তু অবৈধভাবে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করায় বর্তমানে মূল নদের ১৫ ফুট প্রস্থও নেই। বাবুগঞ্জ বাজারে বানার ও বাজুয়া নদের দুই পাড়ে বাসাবাড়িসহ দুই ডজন হাফ বিল্ডিং ঘর রয়েছে। এসব ঘর দোকান হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবুগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় রোডে নদের ওপর একসঙ্গে ১৪-১৫টি ভবন রয়েছে।
এদিকে করোনাকালে সেতুর পশ্চিম ও উত্তর পাশে বানার নদীতে নতুন করে টিনশেড ঘর করে দখলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন বাজুয়া নদে নতুন করে মাটি ভরাট করছেন। নদ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে কেউ কিছু বলেন না।
বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেভাবে প্রতিনিয়ত নদ দখল হচ্ছে, একসময় নদ বলতে আর কিছু থাকবে না।’
নদ দখলে একজন অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমিসহ ৩-৪ জন দোকানমালিক আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর আমি ছাড়া সবাই আবার নিজ নিজ ঘরে উঠেছে।’
বাবুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম লিমন চৌধুরী বলেন, ‘ভরাট ও দখলের কারণে নদটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। দেখলে বোঝার উপায় নেই, একসময় খরস্রোতা ছিল বানার। দখলের ফলে বর্ষা মৌসুমে শত শত একর জমির ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।’
বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মির্জা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘প্রভাবশালীরা ইউএনও স্যারের কথাও মানেনি। ঠিকই নদ দখল করে গেছেন।’
বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বানার নদে মুরগির বিষ্ঠা ফেলায় বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রভাব পড়ছে। দুর্গন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চায় না। মানুষ বাজারে আসতে পারে না।’
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘কোনোভাবেই নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা ইসলাম বলেন, ‘আমার আসলে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমরা নদ দখলকারীদের তালিকা করেছি।’
ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এখনো দেখিনি নদ দখল হয়েছে কি না। তবে কেউ তা করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে