সম্পাদকীয়
শঙ্খ ঘোষ যখন ছোট, তখনই তাঁর কাছে এলেন নজরুল। তবে পরিচয়ে ঋদ্ধ হয়ে নয়, তিনি এলেন আবেগ হয়ে, ব্যক্তিপরিচয়হীন আবেগ হয়ে। নজরুলের নাম শুনবার আগে থেকেই নজরুলের আবেগ কী করে ছুঁলো শঙ্খ ঘোষকে, সে কথাই জানা যাক।
পদ্মাপারে থাকতেন তখন তিনি। বয়স আট-নয় বছর। কাকার বাড়িতে এল এক ঝকঝকে গ্রামোফোন। তাতে শোনা গেল পঙ্কজ মল্লিক, কুন্দলাল সায়গল, শচীন দেববর্মন, নির্মলেন্দু লাহিড়ীর গান। শোনা হলো ‘সিরাজুদ্দৌলা’ নাটক। শচীন দেববর্মন গাইছেন, ‘চোখ গেল চোখ গেল কেন ডাকিসরে।’ গাইছেন, ‘কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া’, গাইছেন ‘পদ্মার ঢেউরে’।
এ সবই তো শচীন দেবের গান হিসেবে শোনা হচ্ছে। নজরুল কোথায়? সিরাজুদ্দৌলা নাটকে ‘আমি আলোর শিখা’ কিংবা ‘পথহারা পাখি’ গান দুটোকে আলেয়ার গান হিসেবেই শুনছেন শঙ্খ ঘোষ। কিংবা আরেকটু জানলে শুনছেন গায়িকা নীহারবালার গান হিসেবে। নজরুল কোথায়? তখনো তিনি জানেন না এই গানগুলোর সঙ্গে নজরুলের কী সম্পর্ক।
বয়স যখন দশ, তখন স্কুলে হলো একটি অভিনয়। সেখানে হাতে বাঁধা মঞ্চে ব্যান্ডের তালে তালে শোনা গেল মার্চিং সং—‘চল চল চল’।
এরপর একদিন গেরুয়া পোশাকে এক সন্ন্যাসী এসে ভরাটকণ্ঠে গাইলেন দেশাত্মবোধক গান। খুব পছন্দ হলো শিশু শঙ্খ ঘোষের। কাগজ-পেনসিল নিয়ে লিখতে শুরু করলেন গানের কথাগুলো।
এরপর সভা ভঙ্গ হলে মাস্টার মশাইয়ের কাছে অজানা এই গানের কথা সগর্বে বলছেন যখন, তখন মাস্টার মশাই বললেন, ‘সে কী রে! অজানা কেন হবে? এ গান কার লেখা জানিস না? এ তো নজরুলের গান!’
গানটি ছিল ‘জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাতজালিয়াত খেলছে জুয়া।’
মাস্টার মশাই বললেন, ‘শুনিসনি, “কারার ঐ লৌহকপাট”, “আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত?”’
সেই থেকে শঙ্খ ঘোষের সচেতনতার মধ্যে এলেন নজরুল।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষ, অল্প স্বল্প কথা, পৃষ্ঠা ৫৩-৫৫
শঙ্খ ঘোষ যখন ছোট, তখনই তাঁর কাছে এলেন নজরুল। তবে পরিচয়ে ঋদ্ধ হয়ে নয়, তিনি এলেন আবেগ হয়ে, ব্যক্তিপরিচয়হীন আবেগ হয়ে। নজরুলের নাম শুনবার আগে থেকেই নজরুলের আবেগ কী করে ছুঁলো শঙ্খ ঘোষকে, সে কথাই জানা যাক।
পদ্মাপারে থাকতেন তখন তিনি। বয়স আট-নয় বছর। কাকার বাড়িতে এল এক ঝকঝকে গ্রামোফোন। তাতে শোনা গেল পঙ্কজ মল্লিক, কুন্দলাল সায়গল, শচীন দেববর্মন, নির্মলেন্দু লাহিড়ীর গান। শোনা হলো ‘সিরাজুদ্দৌলা’ নাটক। শচীন দেববর্মন গাইছেন, ‘চোখ গেল চোখ গেল কেন ডাকিসরে।’ গাইছেন, ‘কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া’, গাইছেন ‘পদ্মার ঢেউরে’।
এ সবই তো শচীন দেবের গান হিসেবে শোনা হচ্ছে। নজরুল কোথায়? সিরাজুদ্দৌলা নাটকে ‘আমি আলোর শিখা’ কিংবা ‘পথহারা পাখি’ গান দুটোকে আলেয়ার গান হিসেবেই শুনছেন শঙ্খ ঘোষ। কিংবা আরেকটু জানলে শুনছেন গায়িকা নীহারবালার গান হিসেবে। নজরুল কোথায়? তখনো তিনি জানেন না এই গানগুলোর সঙ্গে নজরুলের কী সম্পর্ক।
বয়স যখন দশ, তখন স্কুলে হলো একটি অভিনয়। সেখানে হাতে বাঁধা মঞ্চে ব্যান্ডের তালে তালে শোনা গেল মার্চিং সং—‘চল চল চল’।
এরপর একদিন গেরুয়া পোশাকে এক সন্ন্যাসী এসে ভরাটকণ্ঠে গাইলেন দেশাত্মবোধক গান। খুব পছন্দ হলো শিশু শঙ্খ ঘোষের। কাগজ-পেনসিল নিয়ে লিখতে শুরু করলেন গানের কথাগুলো।
এরপর সভা ভঙ্গ হলে মাস্টার মশাইয়ের কাছে অজানা এই গানের কথা সগর্বে বলছেন যখন, তখন মাস্টার মশাই বললেন, ‘সে কী রে! অজানা কেন হবে? এ গান কার লেখা জানিস না? এ তো নজরুলের গান!’
গানটি ছিল ‘জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাতজালিয়াত খেলছে জুয়া।’
মাস্টার মশাই বললেন, ‘শুনিসনি, “কারার ঐ লৌহকপাট”, “আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত?”’
সেই থেকে শঙ্খ ঘোষের সচেতনতার মধ্যে এলেন নজরুল।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষ, অল্প স্বল্প কথা, পৃষ্ঠা ৫৩-৫৫
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে