সম্পাদকীয়
১৯০৫ সালে পৃথিবীতে যেসব ঘটনা ঘটেছিল, সে রকম বহু ঘটনার মধ্যে দুটোর উল্লেখ করা খুব প্রয়োজন। একটি হলো অসফল রুশ বিপ্লব, অন্যটি বঙ্গভঙ্গ। হ্যাঁ, এই দুটি ঘটনাই নাড়িয়ে দিয়েছিল মানুষকে। অসফল রুশ বিপ্লব বুঝিয়ে দিয়েছিল, আরও সংগ্রাম করা হলে সর্বহারাদের হাতে ক্ষমতা আনা সম্ভব। বঙ্গভঙ্গ এনেছিল বাংলার হিন্দু-মুসলমানের ভাবনার জগতে বিভেদ।
ঠিক এই বছরেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। বাংলায় একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখা হয়েছিল। লিখেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি হিসেবে লেখা হলেও গল্পটিতে ছিল এমন একটি স্বপ্ন, যার বাস্তবরূপ পৃথিবীকে শান্তিময়ই করে তুলতে পারে কেবল।
১৯০৫ সালে বেগম রোকেয়া থাকতেন ভাগলপুরের বাঁকা নামের এক সাব ডিভিশনে। স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন যখন ট্যুরে গেছেন, তখন বাড়িতে বসে বেগম রোকেয়া ইংরেজিতে লিখে ফেললেন একটা গল্প। স্বামী ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই দুদিন কী করে কাটালে?’
বেগম রোকেয়া বললেন, ‘এটা লিখলাম।’ বলে ‘সুলতানাস ড্রিম’ নামে ইংরেজিতে লেখা কাগজগুলো ধরিয়ে দিলেন তাঁর হাতে। সেখানে দাঁড়িয়েই পুরোটা পড়লেন সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন এবং বললেন, ‘এ টেরিবল রিভেঞ্জ!’ ভয়ংকর প্রতিশোধই বটে।
ভাগলপুরের সে সময়কার কমিশনার ম্যাকফারসনকে পড়ার জন্য লেখাটি পাঠিয়ে দিলেন। তিনি পুরোটা পড়লেন। একটাও কলমের দাগ পড়ল না তাতে। লিখলেন, ‘এ লেখায় যে ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা দারুণ। ইংরেজি নিখুঁত।’
সুলতানার স্বপ্নে একটি নারী রাজত্বের কথা কল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে পুরুষেরা অবরোধবাসী। চারদিকে শুধু শান্তি আর শান্তি। সেই লেখায় উড়বার বায়ুযানের কথা উল্লেখ করেছেন বেগম রোকেয়া। অথচ তিনি তখনো প্লেনের অস্তিত্বের কথা জানতেন না। ১৯১১ সালে কলকাতায় এসেই কেবল হাওয়াই জাহাজ অতি দূর থেকে উড়তে দেখেছিলেন তিনি।
সূত্র: সেলিনা বাহার জামান সম্পাদিত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৩০৫-৩০৭
১৯০৫ সালে পৃথিবীতে যেসব ঘটনা ঘটেছিল, সে রকম বহু ঘটনার মধ্যে দুটোর উল্লেখ করা খুব প্রয়োজন। একটি হলো অসফল রুশ বিপ্লব, অন্যটি বঙ্গভঙ্গ। হ্যাঁ, এই দুটি ঘটনাই নাড়িয়ে দিয়েছিল মানুষকে। অসফল রুশ বিপ্লব বুঝিয়ে দিয়েছিল, আরও সংগ্রাম করা হলে সর্বহারাদের হাতে ক্ষমতা আনা সম্ভব। বঙ্গভঙ্গ এনেছিল বাংলার হিন্দু-মুসলমানের ভাবনার জগতে বিভেদ।
ঠিক এই বছরেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। বাংলায় একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখা হয়েছিল। লিখেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি হিসেবে লেখা হলেও গল্পটিতে ছিল এমন একটি স্বপ্ন, যার বাস্তবরূপ পৃথিবীকে শান্তিময়ই করে তুলতে পারে কেবল।
১৯০৫ সালে বেগম রোকেয়া থাকতেন ভাগলপুরের বাঁকা নামের এক সাব ডিভিশনে। স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন যখন ট্যুরে গেছেন, তখন বাড়িতে বসে বেগম রোকেয়া ইংরেজিতে লিখে ফেললেন একটা গল্প। স্বামী ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই দুদিন কী করে কাটালে?’
বেগম রোকেয়া বললেন, ‘এটা লিখলাম।’ বলে ‘সুলতানাস ড্রিম’ নামে ইংরেজিতে লেখা কাগজগুলো ধরিয়ে দিলেন তাঁর হাতে। সেখানে দাঁড়িয়েই পুরোটা পড়লেন সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন এবং বললেন, ‘এ টেরিবল রিভেঞ্জ!’ ভয়ংকর প্রতিশোধই বটে।
ভাগলপুরের সে সময়কার কমিশনার ম্যাকফারসনকে পড়ার জন্য লেখাটি পাঠিয়ে দিলেন। তিনি পুরোটা পড়লেন। একটাও কলমের দাগ পড়ল না তাতে। লিখলেন, ‘এ লেখায় যে ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা দারুণ। ইংরেজি নিখুঁত।’
সুলতানার স্বপ্নে একটি নারী রাজত্বের কথা কল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে পুরুষেরা অবরোধবাসী। চারদিকে শুধু শান্তি আর শান্তি। সেই লেখায় উড়বার বায়ুযানের কথা উল্লেখ করেছেন বেগম রোকেয়া। অথচ তিনি তখনো প্লেনের অস্তিত্বের কথা জানতেন না। ১৯১১ সালে কলকাতায় এসেই কেবল হাওয়াই জাহাজ অতি দূর থেকে উড়তে দেখেছিলেন তিনি।
সূত্র: সেলিনা বাহার জামান সম্পাদিত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৩০৫-৩০৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে