দশ পয়সার চায়ের গল্প

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৯: ২৮
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ২৬

দেশের বৃহত্তম কাগজকল ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’ বা সংক্ষেপে কেপিএম। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ৪৪২ দশমিক ৩ একর জায়গার ওপর এ মিলটি স্থাপিত হয় ১৯৫৩ সালে। একসময় খুব জাঁকজমকের সঙ্গে চলা এই প্রতিষ্ঠানের সে অবস্থা এখন আর নেই। কিন্তু পুরোনো মানুষদের মধ্যে থেকে গেছে কেপিএমকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা স্বাদ-স্মৃতি!

মিলে কাজ করা মানুষদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি ক্যানটিন। যেখানে ১০ পয়সায় এক কাপ চা, ১ টাকায় ২০টি নানরুটি, ১ টাকায় ২০টি বরফি এবং এক প্লেট গরুর মাংস পাওয়া যেত ৩০ পয়সায়।

সম্প্রতি কেপিএম ক্যানটিনের সামনে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা নাট্যব্যক্তিত্ব আনিছুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর আগে ক্যানটিনটি বন্ধ হয়ে গেছে, আমিও এই ক্যানটিনে ১০ পয়সায় এক কাপ চা, ১ টাকায় ২০টি নানরুটি, ১ টাকায় ২০টি বরফি এবং গরুর মাংস খেয়েছি।’ তিনি আরও জানান, রোজার মাসে মাত্র ২ টাকায় যে ইফতারসামগ্রী দেওয়া হতো, তা দিয়ে পাঁচজনের ইফতার হতো। মিলের কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীরাই শুধু এই সুযোগ পেতেন।

কেপিএম ক্যানটিনে পাওয়া যেত ১০ পয়সায় এক কাপ চা, ১ টাকায় ২০টি নানরুটি এবং ৩০ পয়সায় এক প্লেট গরুর মাংস।

মিলগেটে দেখা পাওয়া যায় কেপিএমের বিদ্যুৎ শাখায় কর্মরত শ্রমিক আবদুস সোবহান, শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন ও নুরুল আমিনের। তাঁরা জানান, ১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে ক্যানটিনটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে তাঁরাও খুবই অল্প দামে এই ক্যানটিনে খাওয়াদাওয়া করেছেন।

মিলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, একসময় কেপিএম আবাসিক এলাকার বারঘোনিয়ায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনোদনের জন্য ছিল একটি সিনেমা হল। তার নাম চান্দিমা সিনেমা হল। কর্তৃপক্ষ সেই সিনেমা হলের লাভের অর্থ দিয়ে ক্যানটিন পরিচালনা করতেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত