সম্পাদকীয়
জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের পড়াশোনার পরিধি ছিল মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। আর যেকোনো বিষয়ে তাঁর সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ নিয়ে তো আলাদা করে ভাবতে হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি বলেছেন মাথাভারী। ভালো স্কুল বা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনার চেয়ে ডিগ্রিটাকেই মূল্যবান মনে করেছে বাংলার পড়ুয়ারা। শক্তিশালী মিডল স্কুল ছাড়া যে শিক্ষাব্যবস্থা পোক্ত হয় না, সে কথা বলেছেন। রান্নাবান্না, বাজার করার দিকে ছিল উৎসাহ। মাছ-মাংস কাটার পদ্ধতি সম্পর্কে ছিলেন ওয়াকিবহাল এবং ছিলেন পরোপকারী। কারও পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারবেন, এ রকম মনে হলে সুপারিশ করতেন। একবার সুপারিশ করেননি। কেন করেননি, সেটা বুঝতে হলে একটু পেছনে যেতে হবে।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে কানাডার কোনো এক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক ওয়াহিদুল হক এসেছিলেন ঢাকায়। শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে জিয়া সরকারের মন্ত্রী করা হবে। তিনি এসে উঠেছিলেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের বাড়ির নিচতলায়। প্রতিদিন এসে গল্প করা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি তিনি করতেন আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতেই। স্যারের বাড়িতে যেতেন আহমদ ছফাও। তাই ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে চেনা-জানাও হয়েছিল তাঁর। সেবার ওয়াহিদুল হক মন্ত্রী হননি, হয়েছিলেন এরশাদের আমলে। সেবার তিনি কানাডা চলে যাওয়ার পর এক কৃতী ছাত্রের কানাডার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শক্ত-পোক্ত কারও সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। আহমদ ছফা আবদুর রাজ্জাককে বলেন, তিনি যদি ওয়াহিদুল হককে সুপারিশ করতে বলে দেন, তাহলে ভালো হয়।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘পারুম না।’
এমন তো কোনো ব্যাপার না! একটা চিঠি লিখবেন ওয়াহিদুল হককে, কেন তিনি লিখতে চাইছেন না? এক সপ্তাহেই কয়েকবার অনুরোধ করার পর আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘এইখান থিকা যাওনের পর ওয়াহিদুল হক আমার কাছে একখান পোস্টকার্ডও লেখেন নাই।’
সেই লোককে কীভাবে সুপারিশের জন্য লিখবেন আবদুর রাজ্জাক?
সূত্র: আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু, পৃষ্ঠা ৭৪
জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের পড়াশোনার পরিধি ছিল মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। আর যেকোনো বিষয়ে তাঁর সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ নিয়ে তো আলাদা করে ভাবতে হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি বলেছেন মাথাভারী। ভালো স্কুল বা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনার চেয়ে ডিগ্রিটাকেই মূল্যবান মনে করেছে বাংলার পড়ুয়ারা। শক্তিশালী মিডল স্কুল ছাড়া যে শিক্ষাব্যবস্থা পোক্ত হয় না, সে কথা বলেছেন। রান্নাবান্না, বাজার করার দিকে ছিল উৎসাহ। মাছ-মাংস কাটার পদ্ধতি সম্পর্কে ছিলেন ওয়াকিবহাল এবং ছিলেন পরোপকারী। কারও পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারবেন, এ রকম মনে হলে সুপারিশ করতেন। একবার সুপারিশ করেননি। কেন করেননি, সেটা বুঝতে হলে একটু পেছনে যেতে হবে।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে কানাডার কোনো এক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক ওয়াহিদুল হক এসেছিলেন ঢাকায়। শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে জিয়া সরকারের মন্ত্রী করা হবে। তিনি এসে উঠেছিলেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের বাড়ির নিচতলায়। প্রতিদিন এসে গল্প করা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি তিনি করতেন আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতেই। স্যারের বাড়িতে যেতেন আহমদ ছফাও। তাই ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে চেনা-জানাও হয়েছিল তাঁর। সেবার ওয়াহিদুল হক মন্ত্রী হননি, হয়েছিলেন এরশাদের আমলে। সেবার তিনি কানাডা চলে যাওয়ার পর এক কৃতী ছাত্রের কানাডার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শক্ত-পোক্ত কারও সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। আহমদ ছফা আবদুর রাজ্জাককে বলেন, তিনি যদি ওয়াহিদুল হককে সুপারিশ করতে বলে দেন, তাহলে ভালো হয়।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘পারুম না।’
এমন তো কোনো ব্যাপার না! একটা চিঠি লিখবেন ওয়াহিদুল হককে, কেন তিনি লিখতে চাইছেন না? এক সপ্তাহেই কয়েকবার অনুরোধ করার পর আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘এইখান থিকা যাওনের পর ওয়াহিদুল হক আমার কাছে একখান পোস্টকার্ডও লেখেন নাই।’
সেই লোককে কীভাবে সুপারিশের জন্য লিখবেন আবদুর রাজ্জাক?
সূত্র: আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু, পৃষ্ঠা ৭৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে