ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কালিজিরা ধান যা স্থানীয় ভাষায় ‘গুরা’ ধান হিসেবে পরিচিত। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, কালো রঙের এ সুগন্ধি ধান এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কয়েক বছর ধরে এ জাতের ধানের জায়গা দখল করে নিয়েছে উফশীসহ আরও কিছু জাতের ধান। কৃষকেরা জানিয়েছেন, বীজের অভাব, সার, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
শুধু কালিজিরা নয়, ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব হাজারো জাতের দেশি ধান। এসব সুগন্ধি চিকন চাল দিয়ে তৈরি হয় পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, শিরনি-পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ আরও সুস্বাদু খাবার। কিন্তু এসবই এখন স্মৃতি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ জাতের ধান আগে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আবাদ হতো। কিন্তু এসব ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় কৃষকেরা বীজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে একসময়ের জনপ্রিয় কালিজিরা, কাশিয়াবিন্নি, সরু, বেগুনবিচি, জামাইভোগ, দাদখানি ও খৈয়া মোটরসহ নানা জাতের দেশি ধান। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ জাতের ধান আবাদে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বা প্রদর্শনী প্লট প্রকল্প গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির হাত থেকে তা ফেরানো সম্ভব হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের আশা।
একসময় উপজেলায় এ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি চাষ হতো মিরপুর, শাহপুর, রূপসাসহ আরও কয়েকটি এলাকায়। কিন্তু এখন খরচের আধিক্যে অনেকাংশেই কমেছে এ জাতের ধান চাষ। তবুও লোকসান গুনে কয়েকজন কৃষক অন্য জাতের ধানের সঙ্গে এ জাতের ধান চাষ করছেন। তবে বীজের অভাবে এসব এলাকার চাষিদের চাইলেও অধিক পরিমাণে আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার শাহাপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ জাতের ধানের ফলন হয় কম। তবে এ ধানের চাল দিয়ে বিরিয়ানি, খিচুড়ি, শিরনি-পায়েস, ফিরনিসহ আরও সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। ফলে কিছুটা লোকসান হলেও তিনি এ ধান চাষ করছেন।
একই উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমিও ১৫ শতক জমিতে শখের বশে কালিজিরা ধানের আবাদ করেছি। কৃষি কর্মকর্তারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এ ধানের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা কালিজিরা ধানের চাষ কম করেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কালিজিরা ধান চাষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কালিজিরা ধান যা স্থানীয় ভাষায় ‘গুরা’ ধান হিসেবে পরিচিত। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, কালো রঙের এ সুগন্ধি ধান এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কয়েক বছর ধরে এ জাতের ধানের জায়গা দখল করে নিয়েছে উফশীসহ আরও কিছু জাতের ধান। কৃষকেরা জানিয়েছেন, বীজের অভাব, সার, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
শুধু কালিজিরা নয়, ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব হাজারো জাতের দেশি ধান। এসব সুগন্ধি চিকন চাল দিয়ে তৈরি হয় পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, শিরনি-পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ আরও সুস্বাদু খাবার। কিন্তু এসবই এখন স্মৃতি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ জাতের ধান আগে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আবাদ হতো। কিন্তু এসব ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় কৃষকেরা বীজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে একসময়ের জনপ্রিয় কালিজিরা, কাশিয়াবিন্নি, সরু, বেগুনবিচি, জামাইভোগ, দাদখানি ও খৈয়া মোটরসহ নানা জাতের দেশি ধান। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ জাতের ধান আবাদে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বা প্রদর্শনী প্লট প্রকল্প গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির হাত থেকে তা ফেরানো সম্ভব হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের আশা।
একসময় উপজেলায় এ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি চাষ হতো মিরপুর, শাহপুর, রূপসাসহ আরও কয়েকটি এলাকায়। কিন্তু এখন খরচের আধিক্যে অনেকাংশেই কমেছে এ জাতের ধান চাষ। তবুও লোকসান গুনে কয়েকজন কৃষক অন্য জাতের ধানের সঙ্গে এ জাতের ধান চাষ করছেন। তবে বীজের অভাবে এসব এলাকার চাষিদের চাইলেও অধিক পরিমাণে আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার শাহাপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ জাতের ধানের ফলন হয় কম। তবে এ ধানের চাল দিয়ে বিরিয়ানি, খিচুড়ি, শিরনি-পায়েস, ফিরনিসহ আরও সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। ফলে কিছুটা লোকসান হলেও তিনি এ ধান চাষ করছেন।
একই উপজেলার মিরপুর গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমিও ১৫ শতক জমিতে শখের বশে কালিজিরা ধানের আবাদ করেছি। কৃষি কর্মকর্তারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এ ধানের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা কালিজিরা ধানের চাষ কম করেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কালিজিরা ধান চাষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪