নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। একসঙ্গে সারা দেশে দেওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ঢাকার শিক্ষার্থীদেরই দেওয়া হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা। ১২টি থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৮-এ। এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
গতকাল সোমবার ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তবে এ দিন শুধু রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। মূল কার্যক্রম শুরু আজ। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উদ্বোধনী দিনে আনন্দের সঙ্গে টিকা নিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসান হোসেনকে দিয়েই শুরু হয় এই কর্মসূচি। এরপরই টিকা নেয় একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহজাবিন তমা। তাহসান বলে, ‘সকাল থেকে একটু স্নায়ুচাপে ভুগেছি। কিছুটা ভয় হচ্ছিল। তবে আব্বু-আম্মু ও স্যারদের সহযোগিতায় সেই নার্ভাসনেস কেটেছে। এখন ভালোই লাগছে।’
টিকা নেওয়া আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলে, ‘আব্বু-আম্মু দুজনই টিকা নিয়েছেন। কোনো সমস্যা দেখিনি। আমারও ভালো লাগছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। টিকা নিতে পারাটা অনেক আনন্দের।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিহা বলে, ‘শুনেছি টিকা নিলে জ্বর আসে, হাত ব্যথা করে। তবে আমার হাত ব্যথা করলেও এখনো অন্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। টিকা নেওয়ার আগে সামান্য ভয় থাকলেও এখন ভালোই লাগছে। তবে আগের মতোই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন স্যারেরা।’
সন্তানকে টিকা দিতে পেরে খুশি ফারিহার মা-ও। বললেন, ‘আমি ও আমার স্বামী দুই মাস আগে টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আশা করি, ওরও কিছু হবে না।’
এদিকে টিকাদান শুরু হলেও সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকায় জন্মসনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু ওয়েবসাইটে ঢুকলে সনদ নম্বর ভুল দেখাচ্ছে, ফলে অনেকে শিক্ষার্থীর আগ্রহ থাকলেও নিবন্ধন জটিলতায় পাচ্ছে না। এমনই একজন স্কুলটির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির। রোববার রাতে কয়েক দফা চেষ্টার পরও নিবন্ধন করতে পারেননি তার বাবা মহিউদ্দিন খন্দকার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে শ্রেণিশিক্ষক কোহিনূর বলেন, অনেকে বিষয়টি বলেছেন। অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে পারেনি। শুধু যে আমার সেকশন তা কিন্তু নয়। সব ক্লাসেই একই অবস্থা। ঊর্ধ্বতনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য আবারও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার কোনো সংকট নেই। তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই টিকার ৯৬ লাখ ডোজ আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ লাখ দেওয়া হয়েছে। হাতে থাকা ৮২ লাখ ডোজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাসটিকা স্কুলেও শুরু হচ্ছে টিকাদান। এ সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান বন্ধ থাকবে।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। একসঙ্গে সারা দেশে দেওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ঢাকার শিক্ষার্থীদেরই দেওয়া হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা। ১২টি থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৮-এ। এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
গতকাল সোমবার ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তবে এ দিন শুধু রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। মূল কার্যক্রম শুরু আজ। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উদ্বোধনী দিনে আনন্দের সঙ্গে টিকা নিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসান হোসেনকে দিয়েই শুরু হয় এই কর্মসূচি। এরপরই টিকা নেয় একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহজাবিন তমা। তাহসান বলে, ‘সকাল থেকে একটু স্নায়ুচাপে ভুগেছি। কিছুটা ভয় হচ্ছিল। তবে আব্বু-আম্মু ও স্যারদের সহযোগিতায় সেই নার্ভাসনেস কেটেছে। এখন ভালোই লাগছে।’
টিকা নেওয়া আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলে, ‘আব্বু-আম্মু দুজনই টিকা নিয়েছেন। কোনো সমস্যা দেখিনি। আমারও ভালো লাগছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। টিকা নিতে পারাটা অনেক আনন্দের।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিহা বলে, ‘শুনেছি টিকা নিলে জ্বর আসে, হাত ব্যথা করে। তবে আমার হাত ব্যথা করলেও এখনো অন্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। টিকা নেওয়ার আগে সামান্য ভয় থাকলেও এখন ভালোই লাগছে। তবে আগের মতোই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন স্যারেরা।’
সন্তানকে টিকা দিতে পেরে খুশি ফারিহার মা-ও। বললেন, ‘আমি ও আমার স্বামী দুই মাস আগে টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আশা করি, ওরও কিছু হবে না।’
এদিকে টিকাদান শুরু হলেও সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকায় জন্মসনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু ওয়েবসাইটে ঢুকলে সনদ নম্বর ভুল দেখাচ্ছে, ফলে অনেকে শিক্ষার্থীর আগ্রহ থাকলেও নিবন্ধন জটিলতায় পাচ্ছে না। এমনই একজন স্কুলটির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির। রোববার রাতে কয়েক দফা চেষ্টার পরও নিবন্ধন করতে পারেননি তার বাবা মহিউদ্দিন খন্দকার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে শ্রেণিশিক্ষক কোহিনূর বলেন, অনেকে বিষয়টি বলেছেন। অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে পারেনি। শুধু যে আমার সেকশন তা কিন্তু নয়। সব ক্লাসেই একই অবস্থা। ঊর্ধ্বতনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য আবারও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার কোনো সংকট নেই। তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই টিকার ৯৬ লাখ ডোজ আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ লাখ দেওয়া হয়েছে। হাতে থাকা ৮২ লাখ ডোজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাসটিকা স্কুলেও শুরু হচ্ছে টিকাদান। এ সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে