তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
আসরের নামাজ শেষ হতেই লম্বালম্বি মুখোমুখি হয়ে বসে পড়লেন মুসল্লিরা। ছয় সারিতে নানা শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ। সবাই তখন মাইকে ভেসে আসা বয়ান শুনতে মগ্ন। এর মধ্যেই চলছিল ইফতারসামগ্রী বণ্টনের কাজ। এই হাত, ওই হাত ঘুরে ইফতারের প্লেট পৌঁছে যাচ্ছিল প্রত্যেক মুসল্লির সামনে। মাগরিবের আজান পড়তেই সবাই একসঙ্গে শুরু করেন ইফতার।
একসঙ্গে শত শত মানুষের ইফতারের এই অসাধারণ চিত্র চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের। গত শুক্রবার সন্ধ্যার এই দৃশ্য দেখা যায় পুরো রমজানজুড়ে। রমজানের প্রথমদিকে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষের ইফতার করলেও শেষ দিকে সেই সংখ্যা চার হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। ২৫ বছর ধরেই এমনভাবে চলে আসছে এ আয়োজন। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর অন্য সব কিছুর মতো এই ইফতার আয়োজনেও ছেদ পড়েছিল। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও শুরু হয়েছে এই আয়োজন।
এখানে কে গরিব, কে ধনী—তার কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই পাশাপাশি বসে এক পাতে খান ইফতার। সে জন্যই বেশি সওয়াবের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনভর রোজা শেষে ইফতারের জন্য জড়ো হন এই মসজিদেই।
শাহী জামে মসজিদের মুসল্লি পরিষদের সদস্যরা জানান, ভিন্ন রকমের এই ইফতার আয়োজনের চিন্তা প্রথম মাথায় আসে মসজিদের খতিব সাইয়্যিদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল–মাদানীর। তিনি সৌদি আরবের মক্কা–মদিনার আদলে সবার জন্য একসঙ্গে ইফতারের রেওয়াজ চালু করার চিন্তা করতে থাকেন। সেই চিন্তা থেকেই ১৯৯৭ সালে সীমিত আকারে ইফতারের আয়োজন শুরু করেন তিনি। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে পরিসর। ২০০৭ সালে এসে এটি বড় আকারে রূপ নেয়। চট্টগ্রাম তো বটেই, দেশের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজনের একটিও এখন এটি।
খতিবের একান্ত সহকারী মো. হাসান মুরাদ বলেন, প্রতিবছরই ইফতার আয়োজনের জন্য চার–পাঁচজন বিত্তবান এগিয়ে আসেন। তাঁদের কেউই নাম প্রকাশে আগ্রহী নন। বিশাল ব্যয়ের অনেকটাই তাঁরা বহন করেন। এ ছাড়া আরও অনেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁদের সহযোগিতা এবং খতিবের একান্ত উদ্যোগে প্রতিবছর এটি বাস্তবায়ন করা হয়। সার্বিক সহযোগিতা করে শাহী জামে মসজিদ মুসল্লি পরিষদ।
প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে ইফতার করেন। কোনোদিন দুই হাজার, কোনোদিন তিন হাজার মানুষ হয়। গতকাল তিন হাজার মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. হাসান মুরাদ। তিনি বলেন, রোজাদারদের জন্য নয় পদের ইফতারসামগ্রীর আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে জিলাপি, মুড়ি, খেজুর ও শরবত বাইরে থেকে আনা হয়। ছোলা, সমুচা, পেঁয়াজি, আলুর চপ নিজস্ব পাচক দিয়ে বড় বড় পাতিলে পাকানো হয়।
মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান পাচকের দায়িত্ব পালন করছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ইয়াছিন বাবুর্চি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল ছয়টা থেকে তাঁরা ইফতারি তৈরি শুরু করেন। এক নাগাড়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে রান্না। তাঁকে আরও নয়জন সহকারী সহযোগিতা করেন।
শুক্রবার ইফতার করতে করতে কথা বলেন শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘দিনভর রিকশা চালাই। আসরের আগে করে এখানে চলে আসি। অনেক বছর ধরে আসছি। আমরা গরিব হলেও বড় লোকেরাও ভালোবাসা দেখান–ভালো লাগে।’
আসরের নামাজ শেষ হতেই লম্বালম্বি মুখোমুখি হয়ে বসে পড়লেন মুসল্লিরা। ছয় সারিতে নানা শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ। সবাই তখন মাইকে ভেসে আসা বয়ান শুনতে মগ্ন। এর মধ্যেই চলছিল ইফতারসামগ্রী বণ্টনের কাজ। এই হাত, ওই হাত ঘুরে ইফতারের প্লেট পৌঁছে যাচ্ছিল প্রত্যেক মুসল্লির সামনে। মাগরিবের আজান পড়তেই সবাই একসঙ্গে শুরু করেন ইফতার।
একসঙ্গে শত শত মানুষের ইফতারের এই অসাধারণ চিত্র চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের। গত শুক্রবার সন্ধ্যার এই দৃশ্য দেখা যায় পুরো রমজানজুড়ে। রমজানের প্রথমদিকে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষের ইফতার করলেও শেষ দিকে সেই সংখ্যা চার হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। ২৫ বছর ধরেই এমনভাবে চলে আসছে এ আয়োজন। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর অন্য সব কিছুর মতো এই ইফতার আয়োজনেও ছেদ পড়েছিল। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও শুরু হয়েছে এই আয়োজন।
এখানে কে গরিব, কে ধনী—তার কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই পাশাপাশি বসে এক পাতে খান ইফতার। সে জন্যই বেশি সওয়াবের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনভর রোজা শেষে ইফতারের জন্য জড়ো হন এই মসজিদেই।
শাহী জামে মসজিদের মুসল্লি পরিষদের সদস্যরা জানান, ভিন্ন রকমের এই ইফতার আয়োজনের চিন্তা প্রথম মাথায় আসে মসজিদের খতিব সাইয়্যিদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল–মাদানীর। তিনি সৌদি আরবের মক্কা–মদিনার আদলে সবার জন্য একসঙ্গে ইফতারের রেওয়াজ চালু করার চিন্তা করতে থাকেন। সেই চিন্তা থেকেই ১৯৯৭ সালে সীমিত আকারে ইফতারের আয়োজন শুরু করেন তিনি। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে পরিসর। ২০০৭ সালে এসে এটি বড় আকারে রূপ নেয়। চট্টগ্রাম তো বটেই, দেশের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজনের একটিও এখন এটি।
খতিবের একান্ত সহকারী মো. হাসান মুরাদ বলেন, প্রতিবছরই ইফতার আয়োজনের জন্য চার–পাঁচজন বিত্তবান এগিয়ে আসেন। তাঁদের কেউই নাম প্রকাশে আগ্রহী নন। বিশাল ব্যয়ের অনেকটাই তাঁরা বহন করেন। এ ছাড়া আরও অনেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁদের সহযোগিতা এবং খতিবের একান্ত উদ্যোগে প্রতিবছর এটি বাস্তবায়ন করা হয়। সার্বিক সহযোগিতা করে শাহী জামে মসজিদ মুসল্লি পরিষদ।
প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে ইফতার করেন। কোনোদিন দুই হাজার, কোনোদিন তিন হাজার মানুষ হয়। গতকাল তিন হাজার মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. হাসান মুরাদ। তিনি বলেন, রোজাদারদের জন্য নয় পদের ইফতারসামগ্রীর আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে জিলাপি, মুড়ি, খেজুর ও শরবত বাইরে থেকে আনা হয়। ছোলা, সমুচা, পেঁয়াজি, আলুর চপ নিজস্ব পাচক দিয়ে বড় বড় পাতিলে পাকানো হয়।
মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান পাচকের দায়িত্ব পালন করছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ইয়াছিন বাবুর্চি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল ছয়টা থেকে তাঁরা ইফতারি তৈরি শুরু করেন। এক নাগাড়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে রান্না। তাঁকে আরও নয়জন সহকারী সহযোগিতা করেন।
শুক্রবার ইফতার করতে করতে কথা বলেন শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘দিনভর রিকশা চালাই। আসরের আগে করে এখানে চলে আসি। অনেক বছর ধরে আসছি। আমরা গরিব হলেও বড় লোকেরাও ভালোবাসা দেখান–ভালো লাগে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪