কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-আলোচনা হয়েছিল। সেই ঘটনার আট বছর পূর্ণ হলো আজ ২০ মার্চ। অথচ আজও উদ্ঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য, শনাক্ত হয়নি খুনি।
এমন আলোচিত একটি ঘটনার তদন্ত-মামলা-বিচারের এই হাল হওয়ায় হতাশ তনুর পরিবার। তাঁর হত্যার সঠিক বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান পরিবারের সদস্যরা।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তনুর স্বজনেরা জানান, চার তদন্ত সংস্থার দপ্তর বদল হয়ে মামলাটি এখন বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদর দপ্তর। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি বা কোনো হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
চারটি তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন আর পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শুরুতে থানা-পুলিশ, পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স। দীর্ঘ সময় মামলাটি তদন্ত করেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কেউ।
নিহত তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানান, পিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের সদস্যরা সর্বশেষ ২০২০ সালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে কথা বলেছিলেন তনুর বাবা আর ভাইয়ের সঙ্গে। তার পর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না তদন্তকারী সংস্থার কেউ; যার কারণে মামলার তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানেন না তনুর পরিবার। দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের ভার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানালেন আনোয়ারা খাতুন।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ে হত্যার আট বছর হলো; কিন্তু এ মামলার কোনো কূলকিনারা হয়নি। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি আমাদের চোখে পড়ছে না। পিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর ভেবেছিলাম হত্যার বিচার পাব। কিন্তু এখনো খুনিরাই শনাক্ত হলো না। তারা মামলাটি ফেলে রেখেছে, কোনো কাজ করছে না।’
এই বাবার আক্ষেপ ও চাওয়া, ‘আমি অসহায় এবং অর্থসম্পদ নেই বলে আমার মামলার এ দুরবস্থা। মেয়ের সঠিক বিচার চাইতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি তনুর সহকর্মী মো. আল আমিন বলেন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট মহলের সদিচ্ছার অভাব না হলে এত দিনে বের হয়ে আসত হত্যাকারীরা, আলোর মুখ দেখত তনু হত্যা মামলা।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কলেজছাত্রী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেনানিবাসের ভেতরে একটি স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তনু। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর পোশাক থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-আলোচনা হয়েছিল। সেই ঘটনার আট বছর পূর্ণ হলো আজ ২০ মার্চ। অথচ আজও উদ্ঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য, শনাক্ত হয়নি খুনি।
এমন আলোচিত একটি ঘটনার তদন্ত-মামলা-বিচারের এই হাল হওয়ায় হতাশ তনুর পরিবার। তাঁর হত্যার সঠিক বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান পরিবারের সদস্যরা।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তনুর স্বজনেরা জানান, চার তদন্ত সংস্থার দপ্তর বদল হয়ে মামলাটি এখন বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদর দপ্তর। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি বা কোনো হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
চারটি তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন আর পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শুরুতে থানা-পুলিশ, পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স। দীর্ঘ সময় মামলাটি তদন্ত করেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কেউ।
নিহত তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানান, পিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের সদস্যরা সর্বশেষ ২০২০ সালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে কথা বলেছিলেন তনুর বাবা আর ভাইয়ের সঙ্গে। তার পর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না তদন্তকারী সংস্থার কেউ; যার কারণে মামলার তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানেন না তনুর পরিবার। দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের ভার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানালেন আনোয়ারা খাতুন।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ে হত্যার আট বছর হলো; কিন্তু এ মামলার কোনো কূলকিনারা হয়নি। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি আমাদের চোখে পড়ছে না। পিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর ভেবেছিলাম হত্যার বিচার পাব। কিন্তু এখনো খুনিরাই শনাক্ত হলো না। তারা মামলাটি ফেলে রেখেছে, কোনো কাজ করছে না।’
এই বাবার আক্ষেপ ও চাওয়া, ‘আমি অসহায় এবং অর্থসম্পদ নেই বলে আমার মামলার এ দুরবস্থা। মেয়ের সঠিক বিচার চাইতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি তনুর সহকর্মী মো. আল আমিন বলেন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট মহলের সদিচ্ছার অভাব না হলে এত দিনে বের হয়ে আসত হত্যাকারীরা, আলোর মুখ দেখত তনু হত্যা মামলা।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কলেজছাত্রী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেনানিবাসের ভেতরে একটি স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তনু। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর পোশাক থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪