সিলেট জেলা যুবদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৯। একটি নাশকতা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর পুলিশ আদালত পাঠালে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আগের একটি নাশকতার মামলায় গতকাল বুধবার ভোররাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মকসুদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানা-পুলিশে হস্তান্তর করলে আমরা তাঁকে আদালতে পাঠাই। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

এদিকে সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে রাতের আঁধারে ঘরের দরজা ভেঙে সাদা পোশাকে র‍্যাবের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সুরমা টাওয়ারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম মুমিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা সৈয়দ মঈনুদ্দিন সুহেল, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহাবুদ্দীন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, কোহিনুর আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আজিজুর রহমান আজিজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি জনগণের দল, তাই জনগণের পক্ষে কথা বলে। জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে যেভাবে রাতের আঁধারে ঘরের তালা ভেঙে সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে থামিয়ে দিতে চায়। গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে জনগণের প্রতিবাদের স্রোত থামিয়ে রাখা যাবে না।