শতভাগ টিকা নিশ্চিতকারী প্রথম উপজেলা ফকিরহাট

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ৫৮
Thumbnail image

দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা শতভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করেছে। এই উপজেলায় ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সব মানুষই কমপক্ষে একটি টিকা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গত ২৭ জানুয়ারি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দেশজুড়ে করোনার টিকাদান। এরপর ধাপে ধাপে কমানো হয় করোনার টিকা নেওয়ার বয়সসীমা। সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে বয়সসীমা আরও কমিয়ে ১২ বছর করা হয়। সেই হিসাবে ফকিরহাটে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাই টিকার আওতায় চলে এসেছে। ফকিরহাটে শতভাগ মানুষকে করোনার টিকা নিশ্চিত করা উপলক্ষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। ফকিরহাটের বেতাগা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেনের এই ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী শেখ।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফকিরহাট শতভাগ টিকাদানের মাইলফলক অর্জন করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ফকিরহাটের মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে টিকা গ্রহণে নিবন্ধনযোগ্য জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ২১৮ জন। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে এই উপজেলায় বসবাস করেন আরও প্রায় ৫ হাজার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মো. কামাল হোসেন ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দেবরাজ মিত্র জানান, ফকিরহাটে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ১৪৯ জনকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকার অন্তত প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭৭৯ জন। এ ছাড়া ৬০ বছর বয়সী এবং খুদেবার্তা পাওয়া সাপেক্ষে বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ সীমিত জনবল নিয়েও উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২৫২টি টিকা ক্যাম্পে টিকা প্রদান করেছে। বেদেপল্লি, ফলতিতা মৎস্য শ্রমিক পল্লিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছেও আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি।’

ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনামতো টিকা কর্মসূচি জোরদার করার চেষ্টা করেছি আমরা। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, পোস্টার ও বিভিন্ন সভায় করোনা টিকা নিতে জনগণকে সম্মিলিতভাবে উদ্বুদ্ধ করেছি। সরকারি সেবা, ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে টিকার আওতায় আসা বাধ্যতামূলক করেছি। টিকার নিবন্ধন যাতে মানুষ বিনা মূল্যে ও বিনা ভোগান্তিতে করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করেছি। এসব প্রচেষ্টার কারণেই ফকিরহাটকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত