সম্পাদকীয়
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২ মের কথা। পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা বিষয়ে স্বাগতিক দেশ জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যানলি ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল। ড. উইলসনের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
৫ মে সকালের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে ১৯৭৪ সালে ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের কথা ব্যক্ত করলেন। তারপর আশা প্রকাশ করলেন, কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানেরা পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দুই দেশের মাঝে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যক্ত করবেন। জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যানলি বললেন, তাঁর মতে যুগ্ম ইশতেহারে বাংলাদেশের বক্তব্যটি আসা উচিত। হ্যারল্ড উইলসন বললেন, ‘বাংলাদেশের দাবি ব্রিটেন সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করে। ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে দুই জাতিতে পরিণত একটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পত্তির যথাযথ বাঁটোয়ারা হয়নি।’
যখন মনে হচ্ছিল, সবকিছু ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে, তখন বাদ সাধলেন তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়েরেরে। তিনি বললেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে কমনওয়েলথ একটি ক্লাব। পাকিস্তান তার সদস্য নয়। অতএব এই ক্লাবটির কি উচিত হবে, সেই দেশকে জড়িয়ে কোনো প্রস্তাব পাস করা?’
বঙ্গবন্ধু এখন জুলিয়াস নায়েরেরের বক্তব্যের জবাবে কী বলবেন? উঠে দাঁড়ালেন তিনি। বললেন, ‘তুমি ঠিকই বলেছ, জুলিয়াস। কমনওয়েলথ একটি ক্লাব। আমি সেই ক্লাবেরই একজন সদস্য। অন্য সদস্যরা যদি সামান্য একটি প্রস্তাব পাস করে আমাকে সাহায্য না করে, তাহলে এই ক্লাবের সদস্য হওয়ার আমার কীই-বা প্রয়োজন ছিল? একটি দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আমি। কেন তবে আমি অর্ধেক পৃথিবী পেরিয়ে এসেছি এই সম্মেলনে?’
হতবাক হয়ে গেলেন জুলিয়াস নায়েরেরে। হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে মুজিব। তুমি যা চাও, তা-ই হবে।’
প্রস্তাবটি কমনওয়েলথ সম্মেলনে পাস হয়েছিল।
সূত্র: ফারুক চৌধুরী, জীবনের বালুকাবেলায়, পৃষ্ঠা ২৬৯-২৭১
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২ মের কথা। পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা বিষয়ে স্বাগতিক দেশ জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যানলি ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল। ড. উইলসনের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
৫ মে সকালের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে ১৯৭৪ সালে ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের কথা ব্যক্ত করলেন। তারপর আশা প্রকাশ করলেন, কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানেরা পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দুই দেশের মাঝে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যক্ত করবেন। জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যানলি বললেন, তাঁর মতে যুগ্ম ইশতেহারে বাংলাদেশের বক্তব্যটি আসা উচিত। হ্যারল্ড উইলসন বললেন, ‘বাংলাদেশের দাবি ব্রিটেন সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করে। ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে দুই জাতিতে পরিণত একটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পত্তির যথাযথ বাঁটোয়ারা হয়নি।’
যখন মনে হচ্ছিল, সবকিছু ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে, তখন বাদ সাধলেন তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়েরেরে। তিনি বললেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে কমনওয়েলথ একটি ক্লাব। পাকিস্তান তার সদস্য নয়। অতএব এই ক্লাবটির কি উচিত হবে, সেই দেশকে জড়িয়ে কোনো প্রস্তাব পাস করা?’
বঙ্গবন্ধু এখন জুলিয়াস নায়েরেরের বক্তব্যের জবাবে কী বলবেন? উঠে দাঁড়ালেন তিনি। বললেন, ‘তুমি ঠিকই বলেছ, জুলিয়াস। কমনওয়েলথ একটি ক্লাব। আমি সেই ক্লাবেরই একজন সদস্য। অন্য সদস্যরা যদি সামান্য একটি প্রস্তাব পাস করে আমাকে সাহায্য না করে, তাহলে এই ক্লাবের সদস্য হওয়ার আমার কীই-বা প্রয়োজন ছিল? একটি দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আমি। কেন তবে আমি অর্ধেক পৃথিবী পেরিয়ে এসেছি এই সম্মেলনে?’
হতবাক হয়ে গেলেন জুলিয়াস নায়েরেরে। হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে মুজিব। তুমি যা চাও, তা-ই হবে।’
প্রস্তাবটি কমনওয়েলথ সম্মেলনে পাস হয়েছিল।
সূত্র: ফারুক চৌধুরী, জীবনের বালুকাবেলায়, পৃষ্ঠা ২৬৯-২৭১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে