জাহিদ হাসান, যশোর
বিল-ঝিল, পুকুর-নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। পানি উঠছে না এলাকার বেশির ভাগ নলকূপেও। উঠলেও ফোঁটা ফোঁটা পানিতে কলসি ভরতে সময় লাগছে। শুষ্ক মৌসুমের আগেই পানির জন্য হাহাকার চলছে যশোর পৌর এলাকাসহ জেলার লক্ষাধিক পরিবারে।
রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে পরিবারের জন্য প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করেন যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান। একইভাবে দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে তাঁর প্রতিবেশীদেরও। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ২০ দিনে পানির সংকট তীব্র হয়েছে এলাকায়। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং পানি নিয়ে অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।
সাধারণত মাটির নিচে ২০-২৪ ফুট গভীরে পানির স্তর স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু যশোরে পানির স্তর ৩০ থেকে ৩৫ ফুটে নেমে গেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পৌর এলাকায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোও ক্রমেই শূন্য হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বোরো মৌসুমে জমিতে পানির সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্রভাবে পুকুর-খাল-বিল ভরাট হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
যশোর বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে জানান, জানুয়ারি মাস থেকেই সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামতে শুরু করে। এপ্রিলে এসে পানির স্তর সর্বোচ্চ নিচে নামে। তবে এ বছর জানুয়ারিতেই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ বছর তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভূগর্ভে পানির সংকট তীব্র হয়েছে। পানির স্তর ৩২-৩৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালেও ২৫ ফুট নিচে নামে। তখনো পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
যশোর পৌর এলাকার বারান্দিপাড়ার বাসিন্দা ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু বাসাবাড়িই নয়, পৌরসভার নির্ধারিত কলেও ভালো করে পানি আসছে না। আসলেও গতি খুব কম। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অল্প পানি সংগ্রহ করা যায়।’
বিএডিসি (সেচ) সূত্রে জানা যায়, জেলায় গভীর নলকূপের সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৭টি, যা দিয়ে ২৫ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে পানি দেওয়া হয়। অন্যদিকে শ্যালো টিউবওয়েলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৭৯৩টি, যেগুলো দিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে পানি দেওয়া যায়। যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ পারভেজ জানান, জেলায় ১৯ হাজার ৭৯৬টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। সদর উপজেলায় রয়েছে ৫ হাজার ৬২৫টি। এখন পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে সেগুলোতে পানি কম উঠছে। কর্মকর্তারা জানান, দেশে বোরো ধান চাষের সময় অনেক পানি অপচয় হয়। এটিও পানি কম ওঠার অন্যতম কারণ।
এক কেজি ধান উৎপাদন করতে আমাদের দেশে পানি লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার। অথচ ধান উৎপাদনকারী থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অনেক উন্নত দেশে এর অর্ধেক পানি দিয়েই সমপরিমাণ ফসল ফলানো যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব দেশে এক কেজি ধান উৎপাদন করতে পানি খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার লিটার। কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারও পানির অপচয় রোধ করতে পারে। বারিড পাইপের (মাটির নিচ) মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে জমিতে পানি দিতে দেখা যায়। আমাদের দেশে জমিতে নালা কেটে দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে বিএডিসির উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে যশোর জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
যশোর বিএডিসির (সেচ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল রশিদ বলেন, ‘এখন বোরো মৌসুম। ভূগর্ভ থেকে গভীর নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে অপরিকল্পিতভাবে পানি ওঠানো হচ্ছে। এসব কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বৃষ্টি হলে সব স্বাভাবিক হবে।’ শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের বাবুল আক্তার বলেন, বোরো ধান মূলত সেচনির্ভর। প্রচুর পানির দরকার হয়। কৃষকের তো কিছু করার থাকে না। বেশির ভাগ কৃষক সেচ দিয়ে জমিতে পানি দেন। গভীর নলকূপ বসিয়ে সংকট কাটানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
এদিকে যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন দাবি করেন, তাঁদের অধীনে ২৩০টি হস্তচালিত নলকূপ ও ২৯টি গভীর নলকূপ রয়েছে। গ্রাহক রয়েছে ১৪ হাজার ৭০০।
প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৩২০ ঘনমিটার। উৎপাদন করা হচ্ছে ২৫ হাজার ৫৮ ঘনমিটার, যার পুরোটাই সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু বাড়ির নলকূপে পানি না ওঠায় ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। সার্বিক বিষয়ে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এমএম কলেজ) ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে পানির সংকট তৈরি হয়েছে। কৃষিকাজে পরিকল্পিতভাবে পানি ব্যবহার করতে হবে।
বিল-ঝিল, পুকুর-নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। পানি উঠছে না এলাকার বেশির ভাগ নলকূপেও। উঠলেও ফোঁটা ফোঁটা পানিতে কলসি ভরতে সময় লাগছে। শুষ্ক মৌসুমের আগেই পানির জন্য হাহাকার চলছে যশোর পৌর এলাকাসহ জেলার লক্ষাধিক পরিবারে।
রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে পরিবারের জন্য প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করেন যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান। একইভাবে দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে তাঁর প্রতিবেশীদেরও। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ২০ দিনে পানির সংকট তীব্র হয়েছে এলাকায়। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং পানি নিয়ে অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।
সাধারণত মাটির নিচে ২০-২৪ ফুট গভীরে পানির স্তর স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু যশোরে পানির স্তর ৩০ থেকে ৩৫ ফুটে নেমে গেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পৌর এলাকায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোও ক্রমেই শূন্য হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বোরো মৌসুমে জমিতে পানির সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্রভাবে পুকুর-খাল-বিল ভরাট হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
যশোর বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে জানান, জানুয়ারি মাস থেকেই সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামতে শুরু করে। এপ্রিলে এসে পানির স্তর সর্বোচ্চ নিচে নামে। তবে এ বছর জানুয়ারিতেই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ বছর তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভূগর্ভে পানির সংকট তীব্র হয়েছে। পানির স্তর ৩২-৩৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালেও ২৫ ফুট নিচে নামে। তখনো পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
যশোর পৌর এলাকার বারান্দিপাড়ার বাসিন্দা ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু বাসাবাড়িই নয়, পৌরসভার নির্ধারিত কলেও ভালো করে পানি আসছে না। আসলেও গতি খুব কম। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অল্প পানি সংগ্রহ করা যায়।’
বিএডিসি (সেচ) সূত্রে জানা যায়, জেলায় গভীর নলকূপের সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৭টি, যা দিয়ে ২৫ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে পানি দেওয়া হয়। অন্যদিকে শ্যালো টিউবওয়েলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৭৯৩টি, যেগুলো দিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে পানি দেওয়া যায়। যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ পারভেজ জানান, জেলায় ১৯ হাজার ৭৯৬টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। সদর উপজেলায় রয়েছে ৫ হাজার ৬২৫টি। এখন পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে সেগুলোতে পানি কম উঠছে। কর্মকর্তারা জানান, দেশে বোরো ধান চাষের সময় অনেক পানি অপচয় হয়। এটিও পানি কম ওঠার অন্যতম কারণ।
এক কেজি ধান উৎপাদন করতে আমাদের দেশে পানি লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার। অথচ ধান উৎপাদনকারী থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অনেক উন্নত দেশে এর অর্ধেক পানি দিয়েই সমপরিমাণ ফসল ফলানো যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব দেশে এক কেজি ধান উৎপাদন করতে পানি খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার লিটার। কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারও পানির অপচয় রোধ করতে পারে। বারিড পাইপের (মাটির নিচ) মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে জমিতে পানি দিতে দেখা যায়। আমাদের দেশে জমিতে নালা কেটে দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে বিএডিসির উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে যশোর জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
যশোর বিএডিসির (সেচ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল রশিদ বলেন, ‘এখন বোরো মৌসুম। ভূগর্ভ থেকে গভীর নলকূপ ও শ্যালো মেশিনে অপরিকল্পিতভাবে পানি ওঠানো হচ্ছে। এসব কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বৃষ্টি হলে সব স্বাভাবিক হবে।’ শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের বাবুল আক্তার বলেন, বোরো ধান মূলত সেচনির্ভর। প্রচুর পানির দরকার হয়। কৃষকের তো কিছু করার থাকে না। বেশির ভাগ কৃষক সেচ দিয়ে জমিতে পানি দেন। গভীর নলকূপ বসিয়ে সংকট কাটানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
এদিকে যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন দাবি করেন, তাঁদের অধীনে ২৩০টি হস্তচালিত নলকূপ ও ২৯টি গভীর নলকূপ রয়েছে। গ্রাহক রয়েছে ১৪ হাজার ৭০০।
প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৩২০ ঘনমিটার। উৎপাদন করা হচ্ছে ২৫ হাজার ৫৮ ঘনমিটার, যার পুরোটাই সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু বাড়ির নলকূপে পানি না ওঠায় ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। সার্বিক বিষয়ে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এমএম কলেজ) ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে পানির সংকট তৈরি হয়েছে। কৃষিকাজে পরিকল্পিতভাবে পানি ব্যবহার করতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে