সম্পাদকীয়
টিভি নাটকের ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আসাদুজ্জামান নূরের এক অদ্ভুত বন্ধন ছিল। অনেক সময় পরিচালক যে নির্দেশ দিতেন, তা থেকে বাড়তি কিছু করতেন নূর। প্রেমের গল্প, রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় তত দিনে একঘেয়ে হয়ে উঠেছে নূরের কাছে। তিনি বিচিত্র চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতেন। সে রকম বেশ কিছু চরিত্রের দেখা পাওয়া গেল হুমায়ূন আহমেদের নাটকে।
তাঁর নাটকে নূরকে দেখা গেল মাস্তানরূপে। এরপর ডাকাতও হলেন। তারপর একেবারে ভিন্ন চরিত্র—জমিদার। এর আগে অবশ্য আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘আবদুল্লাহর সুখ-দুঃখ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন একেবারে গৃহকর্মীর চরিত্রে। তখন ‘চাকর’ শব্দটাই ব্যবহার হতো বেশি।
‘পিঞ্জিরায় বন্দি হইয়া রে’ নাটকে পেশাদার খুনির চরিত্রে যখন অভিনয় করলেন, তখন তিনি মাঙ্কি ক্যাপ দিলেন মাথায়, হাতে পরলেন গ্লাভস। হুমায়ূন আহমেদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি গ্লাভস পরেছেন কেন?’
নূর উত্তর দিলেন, ‘আমি পেশাদার খুনি। এই অন্যায় কাজটা নিজের হাতে করতে চাই না। খুনি, কিন্তু নিজের জন্য খুন করি না, তাই গ্লাভস পরে করি।’ হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এই ছিল নূরের কাজের সম্পর্ক।
‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমার শুটিংয়ের একেবারে শেষের দিকের কথা। কয়েকটা শট মনঃপূত হয়নি। আবার নেওয়া হবে। উত্তরার কোথাও শুটিং হচ্ছিল। নূরকে কল দেওয়া হয়েছিল। তিনি সময়মতো হাজির হয়েছেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে যায়, নূরের আর ডাক পড়ে না। এভাবে ছয় ঘণ্টা চলে গেল। নূরের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। হুমায়ূন তাঁকে বললেন, ‘এসে একটা শট দিয়ে চলে গেলেই হবে?’
নূর রেগে বললেন, ‘এভাবে তো কাজ করা যায় না।’
হুমায়ূনও রেগে বললেন, ‘আপনার কাজ থাকলে আপনি চলে যান।’
নূর ঠিকই ফিরে গেলেন। সেদিনই রাত এগারোটা-বারোটার দিকে বন্ধুবান্ধবসহ হুমায়ূন হাজির হলেন নূরের ফ্ল্যাটে। হাতে ফুলের তোড়া। সেই রাতেই রান্না-বান্না-খাওয়া-দাওয়া হতে হতে ভোর।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়-২, পৃষ্ঠা ৪৬-৫০
টিভি নাটকের ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আসাদুজ্জামান নূরের এক অদ্ভুত বন্ধন ছিল। অনেক সময় পরিচালক যে নির্দেশ দিতেন, তা থেকে বাড়তি কিছু করতেন নূর। প্রেমের গল্প, রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় তত দিনে একঘেয়ে হয়ে উঠেছে নূরের কাছে। তিনি বিচিত্র চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতেন। সে রকম বেশ কিছু চরিত্রের দেখা পাওয়া গেল হুমায়ূন আহমেদের নাটকে।
তাঁর নাটকে নূরকে দেখা গেল মাস্তানরূপে। এরপর ডাকাতও হলেন। তারপর একেবারে ভিন্ন চরিত্র—জমিদার। এর আগে অবশ্য আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘আবদুল্লাহর সুখ-দুঃখ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন একেবারে গৃহকর্মীর চরিত্রে। তখন ‘চাকর’ শব্দটাই ব্যবহার হতো বেশি।
‘পিঞ্জিরায় বন্দি হইয়া রে’ নাটকে পেশাদার খুনির চরিত্রে যখন অভিনয় করলেন, তখন তিনি মাঙ্কি ক্যাপ দিলেন মাথায়, হাতে পরলেন গ্লাভস। হুমায়ূন আহমেদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি গ্লাভস পরেছেন কেন?’
নূর উত্তর দিলেন, ‘আমি পেশাদার খুনি। এই অন্যায় কাজটা নিজের হাতে করতে চাই না। খুনি, কিন্তু নিজের জন্য খুন করি না, তাই গ্লাভস পরে করি।’ হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এই ছিল নূরের কাজের সম্পর্ক।
‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমার শুটিংয়ের একেবারে শেষের দিকের কথা। কয়েকটা শট মনঃপূত হয়নি। আবার নেওয়া হবে। উত্তরার কোথাও শুটিং হচ্ছিল। নূরকে কল দেওয়া হয়েছিল। তিনি সময়মতো হাজির হয়েছেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে যায়, নূরের আর ডাক পড়ে না। এভাবে ছয় ঘণ্টা চলে গেল। নূরের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। হুমায়ূন তাঁকে বললেন, ‘এসে একটা শট দিয়ে চলে গেলেই হবে?’
নূর রেগে বললেন, ‘এভাবে তো কাজ করা যায় না।’
হুমায়ূনও রেগে বললেন, ‘আপনার কাজ থাকলে আপনি চলে যান।’
নূর ঠিকই ফিরে গেলেন। সেদিনই রাত এগারোটা-বারোটার দিকে বন্ধুবান্ধবসহ হুমায়ূন হাজির হলেন নূরের ফ্ল্যাটে। হাতে ফুলের তোড়া। সেই রাতেই রান্না-বান্না-খাওয়া-দাওয়া হতে হতে ভোর।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়-২, পৃষ্ঠা ৪৬-৫০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে