নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই তাদের কাজ। যাঁরা অন্যের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন, সেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন জরাজীর্ণ পরিবেশে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি ওই ভবন থেকে সরিয়ে না নিলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবনটির ছাদের অংশবিশেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাদ থেকে প্রায় সময় পলেস্তারা খসে পড়ে। তাই আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ে থাকি, কখন ছাদ ভেঙে মাথায় পড়ে।’ তারা দ্রুত প্রতিষ্ঠানটির অফিস ওই ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া আরবান জানান।
শ্রম নীতি এবং শ্রম পরিদর্শন সম্পর্কিত ৮১ নম্বর আই এল ও কনভেনশন অনুযায়ী ১৯৭০ সালে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর নামে একটি স্বতন্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার সময় চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের অফিসে কার্যক্রম শুরু করে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর। এরপর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ওই ভবনের তৃতীয় তলায় অফিস করতেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। কিন্তু ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০০৭ সালে ওই ভবনের পাশে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রজেক্টের জন্য তৈরি করা একটি ভবনে স্থানান্তরিত হন তারা। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই ভবনে অফিস করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন পুনরায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের জরাজীর্ণ ওই ভবনে অফিস করা শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তারা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে ছাদের নিচের অংশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ক্ষত। ওই ক্ষত দিয়ে ছাদের রড বেরিয়ে পড়েছে। দেয়ালগুলোর অবস্থাও নাজুক।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত ঢাকায় আছেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহ-মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সহ-মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালে এখানে আসি। আসার পর থেকে দেখছি শ্রম দপ্তরের এই ভবনেই আমাদের অফিস। ভবনটির এমন অবস্থা, দেখে মনে হয় এখনই ছাদ ধসে পড়বে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রজেক্টের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনটি একটি প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে ওই ভবনটির নিচতলায় পানি উঠে যেতো। যে কারণে একপর্যায়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত সহ-মহাপরিদর্শক (সেফটি) মিজানুর রহমান জনি বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন তৈরির একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন আগে আমরা ভবন তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করে এসেছি। এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আমরা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি।’
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই তাদের কাজ। যাঁরা অন্যের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন, সেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন জরাজীর্ণ পরিবেশে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি ওই ভবন থেকে সরিয়ে না নিলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবনটির ছাদের অংশবিশেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাদ থেকে প্রায় সময় পলেস্তারা খসে পড়ে। তাই আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ে থাকি, কখন ছাদ ভেঙে মাথায় পড়ে।’ তারা দ্রুত প্রতিষ্ঠানটির অফিস ওই ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া আরবান জানান।
শ্রম নীতি এবং শ্রম পরিদর্শন সম্পর্কিত ৮১ নম্বর আই এল ও কনভেনশন অনুযায়ী ১৯৭০ সালে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর নামে একটি স্বতন্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার সময় চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের অফিসে কার্যক্রম শুরু করে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর। এরপর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ওই ভবনের তৃতীয় তলায় অফিস করতেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। কিন্তু ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০০৭ সালে ওই ভবনের পাশে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রজেক্টের জন্য তৈরি করা একটি ভবনে স্থানান্তরিত হন তারা। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই ভবনে অফিস করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন পুনরায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের জরাজীর্ণ ওই ভবনে অফিস করা শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তারা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে ছাদের নিচের অংশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ক্ষত। ওই ক্ষত দিয়ে ছাদের রড বেরিয়ে পড়েছে। দেয়ালগুলোর অবস্থাও নাজুক।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত ঢাকায় আছেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহ-মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সহ-মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালে এখানে আসি। আসার পর থেকে দেখছি শ্রম দপ্তরের এই ভবনেই আমাদের অফিস। ভবনটির এমন অবস্থা, দেখে মনে হয় এখনই ছাদ ধসে পড়বে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রজেক্টের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনটি একটি প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে ওই ভবনটির নিচতলায় পানি উঠে যেতো। যে কারণে একপর্যায়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত সহ-মহাপরিদর্শক (সেফটি) মিজানুর রহমান জনি বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন তৈরির একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন আগে আমরা ভবন তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করে এসেছি। এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আমরা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে