অর্থের অভাবে কাজে ধীরগতি

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০২
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৬

প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ধীরগতিতে চলছে পটুয়াখালীতে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প। এর মধ্যে কয়েকটি মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ার পথে। পটুয়াখালী সদরসহ প্রতি উপজেলায় ১টি করে মোট ৯টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। পটুয়াখালী জেলায় এ বাবদ ১২১ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করলেও এ পর্যন্ত ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। ফলে প্রকল্পের ঠিকাদারদেরও আগ্রহে ভাটা পড়েছে।

উল্লেখ্য, নিজস্ব অর্থায়নে সারা দেশে সরকার ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু হয়।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৮ উপজেলায় ৮টি এবং জেলা সদরে ১টিসহ মোট ৯টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। জেলা সদরের মডেল মসজিদ নির্মাণ বাবদ প্রকল্প মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও কলাপাড়া উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বাউফল, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী সদর উপজেলা, দুমকি এবং দশমিনা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে সে অনুপাতে মোট প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এ কারণে অনেক উপজেলায় নির্মাণকাজ চলছে কাগজে-কলমে। পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদেরও তেমন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ। এতে জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে নির্মিত (পূর্বের ডিসি কোর্ট মসজিদ) মডেল মসজিদ ছাড়া বাকি মসজিদ নির্মাণে তেমন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের নভেম্বর ২০২১-এর সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী রাঙ্গাবালী উপজেলা মডেল মসজিদের প্রথম তলার কলামের কাজ চলমান রয়েছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ। গলাচিপা উপজেলার মডেল মসজিদের পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ২২ শতাংশ, বাউফল উপজেলা প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ১ শতাংশ। এর মধ্যে বালু ভরাটের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া পাইল লোড টেস্ট সম্পন্ন করে সার্ভিস পাইলের কাস্টিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। কলাপাড়া উপজেলায় কাজের অগ্রগতি ৪ শতাংশ, দুমকি উপজেলায় সার্ভিস পাইলের কাজ সম্পন্ন এবং পাইল ড্রাইভের প্রস্তুতি চলছে, মোট ভৌত অগ্রগতি ১৬ শতাংশ। দশমিনা উপজেলায় সার্ভিস পাইলের ঢালাই কাজ চলছে, ভৌত অগ্রগতি ১৫ শতাংশ।

এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৯৪টি সার্ভিস পাইল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ভৌত অগ্রগতি ১৫ শতাংশ। তবে জেলা শহরের মডেল মসজিদের কাজের অগ্রগতি ভালো, মোট প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ, এর মধ্যে চতুর্থ তলার ছাদ ঢালাই এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তলার গাঁথুনির কাজ চলমান রয়েছে। তবে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের এখনো জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সারা দেশের প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। এরপরও আমরা কাজটি চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত হলে মসজিদ নির্মাণের কাজটি দ্রুতই শেষ করা যাবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত