সম্পাদকীয়
বিদ্যুতের আসা-যাওয়া আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। দেশে হঠাৎ করে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। লোডশেডিং চলছে প্রায় সারা দেশেই। গ্যাসের অভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কম
হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হলে ঘাটতি পূরণের কোনো উপায় থাকে না। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হয়। মানুষ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেলে ক্ষুব্ধ হয়। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অবরোধ, বিক্ষোভ, ভাঙচুরে, যা দেশের কয়েক স্থানে এর মধ্যেই ঘটেছে।
খুব শিগগির বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। তাই মানুষের ক্ষোভ প্রশমনের উপায় বের করতে হবে। বিএনপির আমলে দৈনিক কত ঘণ্টা লোডশেডিং হতো, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে এখনকার লোডশেডিংয়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে সুফল পাওয়া যাবে না।
কাউকে দোষারোপ না করে মানুষকে বর্তমান সংকটের কারণ বুঝিয়ে শান্ত রাখতে হবে। এই সরকার দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার গল্প শুনিয়েছে, কিন্তু এখন কেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কমল, তা বুঝিয়ে না বললে মানুষের উত্তেজিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য কিছুটা কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কয়লা না পাওয়া এবং গ্যাস ও ডিজেলের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী উপাদানের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের কারণে নিয়মিত জাহাজ চলাচল না করায় বিশ্ব বর্তমানে পরিবহন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, পরিবহন ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক দেশে এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। সরকার আর ভর্তুকি দিয়ে কুলাতে পারছে না।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সাশ্রয়ী হওয়ার ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের আগে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সরকারি অফিসগুলোতে এসি চালানোর ক্ষেত্রে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় কি না, ভাবতে হবে। যেকোনো জিনিসের সংকট হলে রেশনিং করা কোনো দোষের ব্যাপার নয়। তবে সেই রেশনিং যেন সকল পর্যায়ের ব্যবহারকারী বা ভোক্তার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এক বার্তায় বলেছেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের উৎপাদন ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। খনিগুলোর রিজার্ভ কমে যাওয়ায় গ্যাস উৎপাদন কমছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১ হাজার ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। কিন্তু এর বাইরে কৃষি ও শিল্প খাতেও প্রচুর গ্যাসের প্রয়োজন। এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হয়। কিন্তু এখন ৪ ডলার মূল্যের এলএনজির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ ডলারে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আশার কথা যেটা শুনিয়েছেন সেটা হলো, এ বছরের মধ্যেই পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভারত থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তার আগপর্যন্ত লোডশেডিং থেকে মুক্তি নেই।
তবে কোথায়, কতক্ষণ লোডশেডিং থাকবে, সেটা মানুষকে আগেভাগে জানানো ভালো।
বিদ্যুতের আসা-যাওয়া আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। দেশে হঠাৎ করে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। লোডশেডিং চলছে প্রায় সারা দেশেই। গ্যাসের অভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কম
হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হলে ঘাটতি পূরণের কোনো উপায় থাকে না। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হয়। মানুষ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেলে ক্ষুব্ধ হয়। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অবরোধ, বিক্ষোভ, ভাঙচুরে, যা দেশের কয়েক স্থানে এর মধ্যেই ঘটেছে।
খুব শিগগির বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। তাই মানুষের ক্ষোভ প্রশমনের উপায় বের করতে হবে। বিএনপির আমলে দৈনিক কত ঘণ্টা লোডশেডিং হতো, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে এখনকার লোডশেডিংয়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে সুফল পাওয়া যাবে না।
কাউকে দোষারোপ না করে মানুষকে বর্তমান সংকটের কারণ বুঝিয়ে শান্ত রাখতে হবে। এই সরকার দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার গল্প শুনিয়েছে, কিন্তু এখন কেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কমল, তা বুঝিয়ে না বললে মানুষের উত্তেজিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য কিছুটা কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কয়লা না পাওয়া এবং গ্যাস ও ডিজেলের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী উপাদানের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের কারণে নিয়মিত জাহাজ চলাচল না করায় বিশ্ব বর্তমানে পরিবহন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, পরিবহন ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক দেশে এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। সরকার আর ভর্তুকি দিয়ে কুলাতে পারছে না।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সাশ্রয়ী হওয়ার ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের আগে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সরকারি অফিসগুলোতে এসি চালানোর ক্ষেত্রে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় কি না, ভাবতে হবে। যেকোনো জিনিসের সংকট হলে রেশনিং করা কোনো দোষের ব্যাপার নয়। তবে সেই রেশনিং যেন সকল পর্যায়ের ব্যবহারকারী বা ভোক্তার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এক বার্তায় বলেছেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের উৎপাদন ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। খনিগুলোর রিজার্ভ কমে যাওয়ায় গ্যাস উৎপাদন কমছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১ হাজার ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। কিন্তু এর বাইরে কৃষি ও শিল্প খাতেও প্রচুর গ্যাসের প্রয়োজন। এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হয়। কিন্তু এখন ৪ ডলার মূল্যের এলএনজির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ ডলারে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আশার কথা যেটা শুনিয়েছেন সেটা হলো, এ বছরের মধ্যেই পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভারত থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তার আগপর্যন্ত লোডশেডিং থেকে মুক্তি নেই।
তবে কোথায়, কতক্ষণ লোডশেডিং থাকবে, সেটা মানুষকে আগেভাগে জানানো ভালো।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে