ঘাটতি নিয়েই কমনওয়েলথে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২, ০৬: ৪১
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১১: ৪৯

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেসিয়াম ভাগাভাগি করে একসঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিকস ও কুস্তি দল। বিকেলের আলো কমতেই সেখানে শুরু লোডশেডিং।

লোডশেডিং চলার সময়েই গতকাল এক জিমন্যাস্ট বললেন, ‘লোডশেডিং হলে পাখা তো চলেই না, জেনারেটর চললেও বাতি জ্বলে অনেক পরে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে বার্মিংহামে যাচ্ছি।’

শুধু জিমন্যাস্টিকস কিংবা কুস্তি নয়, কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি কেমন, দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল অনেক অভিযোগ। আক্ষেপও কম নয়। বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে অনুশীলনের জায়গার সংকট, ভালো মানের কোচের অভাব নিয়ে বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের অভিযোগ-আক্ষেপ সব সময় থাকেই। যতটা অনুশীলন করতে পেরেছেন, সেটা নিয়েও অবশ্য আশাবাদী কেউ কেউ। তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন, পদক এলেও আসতে পারে।

প্রতিযোগিতার নাম কমনওয়েলথ বলেই যেকোনো একটি পদকের আশা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট সোনার পদক জিতবেন, সেই জোর আত্মবিশ্বাসটা পাওয়া যায়নি কারও কাছ থেকেই। বাংলাদেশের হয়ে কমনওয়েলথে সবচেয়ে সফল যে ডিসিপ্লিন, সেই শুটিংকেই নিরাপত্তার অজুহাতে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে বার্মিংহামে থাকছে না বাংলাদেশের আরেক ভরসার জায়গা আর্চারি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আজ রাতে ইংল্যান্ডে রওনা দেবেন ৫ ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা। অ্যাথলেটিকস দল রওনা হবে ২৯ জুলাই। কুস্তির খেলোয়াড়েরা যাবেন ১ আগস্ট।

কমনওয়েলথকে সামনে রেখে চার মাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কোচ ছাড়া নিজের স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে খুব বেশি খুশি নন মাবিয়া, ‘শুনছি ভারোত্তোলন নিয়ে সবাই খুব আশাবাদী। কিন্তু চার মাসের প্রস্তুতিতে পদক জয় কি সম্ভব?’ প্রস্তুতি নিতে সাত মাসের সময় পেয়েছেন কুস্তির খেলোয়াড়েরা। তবে ভারত-নাইজেরিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো করা নিয়ে সন্দিহান খোদ খেলোয়াড়েরাই। নারী কুস্তিগির দোলা খাতুন বললেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় আমাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। আমাদের অনুশীলনের নিজস্ব জায়গা হলে ভালো হতো। এনএসসির জিমনেসিয়ামে অনুশীলনের সময় শব্দ হয়েছে, যেটা মনোযোগে সমস্যা করেছে।’ অনুশীলনে নিজেদের জায়গা আর ভালো মানের বিদেশি কোচ নিয়ে আক্ষেপ আছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দেরও। মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী খেলোয়াড় রামহিম লিয়ান বম বললেন, ‘আমরা তিন মাস একেক জায়গায় প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করব বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো লড়াই উপহার দেওয়ার।’

বক্সিংয়ের ক্যাম্পে খাবারের মান নিয়ে আছে প্রশ্ন। খাবারের জন্য দৈনিক ৬০০ টাকা ভাতা বরাদ্দ থাকলেও বক্সারদের ৩০০ টাকার খাবারও দেওয়া হতো না বলেও অভিযোগ আছে। কমনওয়েলথের ক্যাম্পে থাকা দেশের প্রথম পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা বললেন, ‘বক্সারদের যে খাবার খেতে হয়, সে সব এখানে নেই। সাধারণত বক্সারদের পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হয়, এ দেশে সেসব হয় না। ক্যাম্পে মাছ-মাংস খাওয়া হয় ঠিক আছে। তবে ২০১৪, ২০১৮ ক্যাম্পের তুলনায় এবারের খাবারের পরিমাণ অনেক হালকা হয়ে গেছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত