সম্পাদকীয়
কাজী আনোয়ার হোসেন, যাঁর ডাকনাম ছিল নবাব। সেকালে তিনি বখে যেতে বসেছিলেন। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বইখাতা নিয়ে চলে যেতেন ফজলুল হক হলের দক্ষিণ দিকে বকুলগাছের সারির ওদিকটায়। সারা দিন আড্ডা দিয়ে পরিশ্রান্ত হয়ে তারপর ফিরতেন বাড়ি। বিকেলের নাশতা দুধ-ভাত খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়তেন বাইরে। বাড়ির নিয়ম ছিল ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে। এসব তো আর চাপা থাকে না। একদিন বাড়ির লোকজন সেটা জেনে ফেলল। কাজী মোতাহার হোসেন তাঁর ছেলেকে যে পিটুনি দিলেন তাকে বলা যায় চোরের মার।
এর পর থেকে একটু একটু করে স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে জেগেছিল কাজী আনোয়ার হোসেনের। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আতিকুল ইসলাম, যিনি প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের বড় ভাই। আতিকদের সূত্রেই মুকুল ফৌজে যাওয়া-আসা শুরু করেছিলেন নবাব। সেখানেই তাঁর ভাব হলো ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে। ওয়াহিদুল হকের কাছ থেকে বই ধার করতেন নবাব। নবাবের বড় বোন সন্জীদা খাতুন লক্ষ করলেন, ওয়াহিদুল হকের কাছ থেকে আনা বই বেশির ভাগ সময়ই ফেরত দেন না নবাব। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রে, বই ফেরত দিলি না? কাজী আনোয়ার হোসেন একদিন ফট করে বলে বসলেন, ‘ওয়াহিদ ভাই আমাকে বই প্রেজেন্ট করেছেন।’
এটা যে ডাহা মিথ্যা, সেটা বুঝতে মোটেই কষ্ট হলো না সন্জীদা খাতুনের। একদিন ওয়াহিদুল হক এলে কাজী আনোয়ার হোসেনের সামনেই তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওই বইটা কি আপনি নবাবকে দিয়েছেন?’ ওয়াহিদুল হক চকিতে একবার কাজী আনোয়ার হোসেনের দিকে তাকালেন, তারপর মাথা নামিয়ে খানিক চুপ করে থেকে একটা নিশ্বাস ফেললেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, দিয়েছি।’ আসলে এটাও ছিল মিথ্যে কথা। কিন্তু সত্য ও মিথ্যের যে নানা চেহারা হতে পারে, সে কথাও বুঝলেন সন্জীদা খাতুন। নিজের মিথ্যে দিয়ে নবাবের মিথ্যেটা চাপা দিলেন, নবাবকেও যেন নীরবে তিরস্কার করলেন। ভবিষ্যতে যেন নবাব এ ধরনের মিথ্যে না বলে, তারও একটা গাইডলাইন পাওয়া গেল।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, অতীত দিনের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ৭৩-৭৪
কাজী আনোয়ার হোসেন, যাঁর ডাকনাম ছিল নবাব। সেকালে তিনি বখে যেতে বসেছিলেন। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বইখাতা নিয়ে চলে যেতেন ফজলুল হক হলের দক্ষিণ দিকে বকুলগাছের সারির ওদিকটায়। সারা দিন আড্ডা দিয়ে পরিশ্রান্ত হয়ে তারপর ফিরতেন বাড়ি। বিকেলের নাশতা দুধ-ভাত খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়তেন বাইরে। বাড়ির নিয়ম ছিল ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে। এসব তো আর চাপা থাকে না। একদিন বাড়ির লোকজন সেটা জেনে ফেলল। কাজী মোতাহার হোসেন তাঁর ছেলেকে যে পিটুনি দিলেন তাকে বলা যায় চোরের মার।
এর পর থেকে একটু একটু করে স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে জেগেছিল কাজী আনোয়ার হোসেনের। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আতিকুল ইসলাম, যিনি প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের বড় ভাই। আতিকদের সূত্রেই মুকুল ফৌজে যাওয়া-আসা শুরু করেছিলেন নবাব। সেখানেই তাঁর ভাব হলো ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে। ওয়াহিদুল হকের কাছ থেকে বই ধার করতেন নবাব। নবাবের বড় বোন সন্জীদা খাতুন লক্ষ করলেন, ওয়াহিদুল হকের কাছ থেকে আনা বই বেশির ভাগ সময়ই ফেরত দেন না নবাব। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রে, বই ফেরত দিলি না? কাজী আনোয়ার হোসেন একদিন ফট করে বলে বসলেন, ‘ওয়াহিদ ভাই আমাকে বই প্রেজেন্ট করেছেন।’
এটা যে ডাহা মিথ্যা, সেটা বুঝতে মোটেই কষ্ট হলো না সন্জীদা খাতুনের। একদিন ওয়াহিদুল হক এলে কাজী আনোয়ার হোসেনের সামনেই তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওই বইটা কি আপনি নবাবকে দিয়েছেন?’ ওয়াহিদুল হক চকিতে একবার কাজী আনোয়ার হোসেনের দিকে তাকালেন, তারপর মাথা নামিয়ে খানিক চুপ করে থেকে একটা নিশ্বাস ফেললেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, দিয়েছি।’ আসলে এটাও ছিল মিথ্যে কথা। কিন্তু সত্য ও মিথ্যের যে নানা চেহারা হতে পারে, সে কথাও বুঝলেন সন্জীদা খাতুন। নিজের মিথ্যে দিয়ে নবাবের মিথ্যেটা চাপা দিলেন, নবাবকেও যেন নীরবে তিরস্কার করলেন। ভবিষ্যতে যেন নবাব এ ধরনের মিথ্যে না বলে, তারও একটা গাইডলাইন পাওয়া গেল।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, অতীত দিনের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ৭৩-৭৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে