জাহীদ রেজা নূর
প্রশ্ন: পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। এখন তো দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। কীভাবে সে দায়িত্ব পালন করবেন?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: এই সম্মাননাপ্রাপ্তির কারণে আলাদা কিছু করব না। কিন্তু এটা নিশ্চয়ই একটা বড় অনুপ্রেরণা, সম্মান। এটা আরও দায়বদ্ধতা তৈরি করবে। যা করছি, সে জায়গাটা আরও দৃঢ় হবে। এই সম্মানের যোগ্য হয়ে উঠতে পারছি কি না, সেটা থাকবে ভাবনায়। আগেও ছিল, এখনো থাকবে। আমি যেন এর যোগ্য হয়ে উঠতে পারি, সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব।
প্রশ্ন: আমাদের বর্তমান সাংস্কৃতিক অবস্থাটাকে কি একটু দোদুল্যমান বলে মনে হচ্ছে না? ঠিকভাবে কি এগোচ্ছে সব?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: যেভাবে হওয়া উচিত, সেভাবে তো কিছুই হচ্ছে না। সময়টা খুব দ্রুত আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা তো পুরোনো আমলের মানুষ। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেসব শুনতেও চায় না, বুঝতেও চায় না। ওরা এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাড়াতাড়ি কিছু করতে চায়। আমাদের মতো পুরোনো আমলের মানুষের জন্য এসব কিছু গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা এসব নিয়ে খুঁতখুঁত করতে থাকি। এখনকার বাচ্চাদের অ্যাটিচ্যুড পরিবর্তিত হয়েছে, সময়ও পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রশ্ন: তাহলে আপনারা যাঁরা বড় আছেন, তাঁদেরও কি এই সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে না?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: জেনারেশন গ্যাপ তো ক্রমেই বাড়ছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে যত নানা ধরনের জিনিস আসছে, আমাদের থেকে তরুণ প্রজন্মের দূরত্ব ততই বাড়ছে। শিল্পচর্চার জায়গাটাকে তখনো মনে করতাম, এখনো মনে করি, এটা একটা সাধনার জায়গা। তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। এখানে কোনো ম্যাজিক নেই। আমার ধারণা, এখনকার প্রজন্ম অতটা সময় দিতে রাজি না। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে এই গ্যাপটা থাকবে না, যখন আমাদের প্রজন্ম চলে যাবে। তখন তো নতুন প্রজন্মই থাকবে। নতুন প্রজন্ম তাদের মতো করে তৈরি করে নেবে।
প্রশ্ন: পৃষ্ঠপোষকতার দরকার তো হয়।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: আমাদের মনে পৃষ্ঠপোষকতার যে ধ্যানধারণা, এখনকার ছেলেমেয়েদের ধ্যানধারণা সে রকম নয়। এখন সময় এত দ্রুত ধাবমান যে আমাদের সময়কার পৃষ্ঠপোষকতা ওদের সেভাবে কাজে লাগবে না। আমরা মনে করি, সাধনা করতে হবে, সেটা আট-দশ বছর সময়ের ব্যাপার। এখন কি সেই সময় আছে? সবাই কম্পিউটার চালাতে জানে, সবার একটা করে স্টুডিও আছে, গানটা একটু বুঝতে পারলেই নিজের স্টুডিওতে রেকর্ড করতে শুরু করে দেয়। এরপর প্রচার করতে শুরু করে কোনো না কোনো মাধ্যমে। যদি লেগে গেল তো স্টার হয়ে গেল।
প্রশ্ন: আশার আলো কি দেখতে পাচ্ছেন কোথাও?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: হতাশ হলে চলবে না। বলে যেতে হবে বারবার। দশজন বা এক শ জনের মধ্যে কিছুসংখ্যক শিল্পী তো বেরিয়ে আসবেই। তারা তৈরি হবে। চর্চা করবে। তাদের গাওয়াটা যন্ত্রনির্ভর হবে না। আর সেভাবেই সত্যিকারের শিল্পী বেরিয়ে আসবে।
প্রশ্ন: পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। এখন তো দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। কীভাবে সে দায়িত্ব পালন করবেন?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: এই সম্মাননাপ্রাপ্তির কারণে আলাদা কিছু করব না। কিন্তু এটা নিশ্চয়ই একটা বড় অনুপ্রেরণা, সম্মান। এটা আরও দায়বদ্ধতা তৈরি করবে। যা করছি, সে জায়গাটা আরও দৃঢ় হবে। এই সম্মানের যোগ্য হয়ে উঠতে পারছি কি না, সেটা থাকবে ভাবনায়। আগেও ছিল, এখনো থাকবে। আমি যেন এর যোগ্য হয়ে উঠতে পারি, সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব।
প্রশ্ন: আমাদের বর্তমান সাংস্কৃতিক অবস্থাটাকে কি একটু দোদুল্যমান বলে মনে হচ্ছে না? ঠিকভাবে কি এগোচ্ছে সব?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: যেভাবে হওয়া উচিত, সেভাবে তো কিছুই হচ্ছে না। সময়টা খুব দ্রুত আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা তো পুরোনো আমলের মানুষ। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেসব শুনতেও চায় না, বুঝতেও চায় না। ওরা এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাড়াতাড়ি কিছু করতে চায়। আমাদের মতো পুরোনো আমলের মানুষের জন্য এসব কিছু গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা এসব নিয়ে খুঁতখুঁত করতে থাকি। এখনকার বাচ্চাদের অ্যাটিচ্যুড পরিবর্তিত হয়েছে, সময়ও পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রশ্ন: তাহলে আপনারা যাঁরা বড় আছেন, তাঁদেরও কি এই সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে না?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: জেনারেশন গ্যাপ তো ক্রমেই বাড়ছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে যত নানা ধরনের জিনিস আসছে, আমাদের থেকে তরুণ প্রজন্মের দূরত্ব ততই বাড়ছে। শিল্পচর্চার জায়গাটাকে তখনো মনে করতাম, এখনো মনে করি, এটা একটা সাধনার জায়গা। তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। এখানে কোনো ম্যাজিক নেই। আমার ধারণা, এখনকার প্রজন্ম অতটা সময় দিতে রাজি না। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে এই গ্যাপটা থাকবে না, যখন আমাদের প্রজন্ম চলে যাবে। তখন তো নতুন প্রজন্মই থাকবে। নতুন প্রজন্ম তাদের মতো করে তৈরি করে নেবে।
প্রশ্ন: পৃষ্ঠপোষকতার দরকার তো হয়।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: আমাদের মনে পৃষ্ঠপোষকতার যে ধ্যানধারণা, এখনকার ছেলেমেয়েদের ধ্যানধারণা সে রকম নয়। এখন সময় এত দ্রুত ধাবমান যে আমাদের সময়কার পৃষ্ঠপোষকতা ওদের সেভাবে কাজে লাগবে না। আমরা মনে করি, সাধনা করতে হবে, সেটা আট-দশ বছর সময়ের ব্যাপার। এখন কি সেই সময় আছে? সবাই কম্পিউটার চালাতে জানে, সবার একটা করে স্টুডিও আছে, গানটা একটু বুঝতে পারলেই নিজের স্টুডিওতে রেকর্ড করতে শুরু করে দেয়। এরপর প্রচার করতে শুরু করে কোনো না কোনো মাধ্যমে। যদি লেগে গেল তো স্টার হয়ে গেল।
প্রশ্ন: আশার আলো কি দেখতে পাচ্ছেন কোথাও?
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: হতাশ হলে চলবে না। বলে যেতে হবে বারবার। দশজন বা এক শ জনের মধ্যে কিছুসংখ্যক শিল্পী তো বেরিয়ে আসবেই। তারা তৈরি হবে। চর্চা করবে। তাদের গাওয়াটা যন্ত্রনির্ভর হবে না। আর সেভাবেই সত্যিকারের শিল্পী বেরিয়ে আসবে।
এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১৫ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে দল বা জোট এসেছে, তারা কেউই জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নেয়নি। এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যন্ত এমনভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা জনগণের শাসক ও শোষকে পরিণত হয়েছেন। নতুন
১৫ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী সফল ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও তিন মাস পূর্ণ হলো। এ কথা ঠিক, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ছিল মূলত মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আর বেদনার বহিঃপ্রকাশ। তবে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, এটা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফল। তাঁরা বলার চেষ্টা করেন, আন্দো
১৫ ঘণ্টা আগেআবদুল বারেক সরকার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন পিয়ন ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে অবসরে গিয়েও এই অফিসের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তিনি হয়েছেন ২০০ কোটি টাকার মালিক! কীভাবে হলেন? তিনি কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন?
১৬ ঘণ্টা আগে