নবীনচন্দ্র সেন
নবীনচন্দ্র সেন ছিলেন কবি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যবর্তী কবিদের মধ্যে হেমচন্দ্র আর নবীনচন্দ্রের নামই বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয়।
সেই সময় যশোরে বেশ বড় পদে চাকরি করছিলেন নবীনচন্দ্র। কিন্তু স্ত্রীকে সেখানে আনতে পারছিলেন না। চাচারা নবীনচন্দ্রের মাকে বুঝিয়েছিলেন, বউ যদি নবীনচন্দ্রের কাছে চলে যায়, তাহলে তাঁদের প্রতিপালনের জন্য নবীন আর টাকা পাঠাবেন না। ফলে মা স্রেফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমি বউকে পাঠাইব না। তোমার ইচ্ছা হয়, তুমি সেখানে বিবাহ করো।’
স্ত্রীকে নিজের কাছে আনার আশা ত্যাগ করলেন নবীন। এর মধ্যে যখন মা মারা গেলেন, তখন খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন নবীনচন্দ্র। সে সময় একদিন ওভারসিয়ার বাবুর বাড়িতে নিমন্ত্রণে গেছেন। সেখানে নাচ হচ্ছে। নবীনের মুখে মেঘ। যদি স্ত্রীকে আনতে হয়, তাহলে ছোট ছোট ভাই-বোনদেরও আনতে হবে। নদীপথে যশোর আসতেও লাগবে আঠারো দিন।
এ সময় এক নর্তকী তাঁর চিন্তামগ্ন চেহারা দেখে এগিয়ে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনাকে এত চিন্তিত লাগছে কেন?’
নবীন কিছু বললেন না। নর্তকী স্নেহভরে আবার একই প্রশ্ন করলেন। এবার তাঁর কথা নবীনের প্রাণ স্পর্শ করল। নবীন সব খুলে বললেন তাঁকে।
নর্তকী বললেন, ‘আপনি আপনার স্ত্রীকে আসতে লিখে দিন।’
নবীনচন্দ্র বললেন, ‘আমার হাতে টাকা নেই।’
নর্তকী বললেন, ‘কত টাকা প্রয়োজন?’
নবীনচন্দ্র বললেন, ‘অন্তত দুই শ টাকা।’
নর্তকী বললেন, ‘যদি কিছু মনে না করেন, আমি কাল দুই শ টাকা পাঠিয়ে দেব। আপনি সুবিধামতো শোধ করবেন। আমি বুঝতে পারছি আমার মতো পতিতার মুখে এ কথা শুনে আপনি অবাক হচ্ছেন। কিন্তু পতিতা হলেও আমি তো মানুষ।’
এবং সত্যিই সেই নর্তকী পরদিন দুই শ টাকা পাঠিয়ে দিলেন নবীনচন্দ্রের কাছে। যদিও সেই টাকা নবীনচন্দ্র গ্রহণ করেননি, কিন্তু এই নারীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় অবনত হয়েছেন তিনি।
সূত্র: নবীনচন্দ্র সেন, আমার জীবন দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪-৬৫
নবীনচন্দ্র সেন ছিলেন কবি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যবর্তী কবিদের মধ্যে হেমচন্দ্র আর নবীনচন্দ্রের নামই বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয়।
সেই সময় যশোরে বেশ বড় পদে চাকরি করছিলেন নবীনচন্দ্র। কিন্তু স্ত্রীকে সেখানে আনতে পারছিলেন না। চাচারা নবীনচন্দ্রের মাকে বুঝিয়েছিলেন, বউ যদি নবীনচন্দ্রের কাছে চলে যায়, তাহলে তাঁদের প্রতিপালনের জন্য নবীন আর টাকা পাঠাবেন না। ফলে মা স্রেফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমি বউকে পাঠাইব না। তোমার ইচ্ছা হয়, তুমি সেখানে বিবাহ করো।’
স্ত্রীকে নিজের কাছে আনার আশা ত্যাগ করলেন নবীন। এর মধ্যে যখন মা মারা গেলেন, তখন খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন নবীনচন্দ্র। সে সময় একদিন ওভারসিয়ার বাবুর বাড়িতে নিমন্ত্রণে গেছেন। সেখানে নাচ হচ্ছে। নবীনের মুখে মেঘ। যদি স্ত্রীকে আনতে হয়, তাহলে ছোট ছোট ভাই-বোনদেরও আনতে হবে। নদীপথে যশোর আসতেও লাগবে আঠারো দিন।
এ সময় এক নর্তকী তাঁর চিন্তামগ্ন চেহারা দেখে এগিয়ে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনাকে এত চিন্তিত লাগছে কেন?’
নবীন কিছু বললেন না। নর্তকী স্নেহভরে আবার একই প্রশ্ন করলেন। এবার তাঁর কথা নবীনের প্রাণ স্পর্শ করল। নবীন সব খুলে বললেন তাঁকে।
নর্তকী বললেন, ‘আপনি আপনার স্ত্রীকে আসতে লিখে দিন।’
নবীনচন্দ্র বললেন, ‘আমার হাতে টাকা নেই।’
নর্তকী বললেন, ‘কত টাকা প্রয়োজন?’
নবীনচন্দ্র বললেন, ‘অন্তত দুই শ টাকা।’
নর্তকী বললেন, ‘যদি কিছু মনে না করেন, আমি কাল দুই শ টাকা পাঠিয়ে দেব। আপনি সুবিধামতো শোধ করবেন। আমি বুঝতে পারছি আমার মতো পতিতার মুখে এ কথা শুনে আপনি অবাক হচ্ছেন। কিন্তু পতিতা হলেও আমি তো মানুষ।’
এবং সত্যিই সেই নর্তকী পরদিন দুই শ টাকা পাঠিয়ে দিলেন নবীনচন্দ্রের কাছে। যদিও সেই টাকা নবীনচন্দ্র গ্রহণ করেননি, কিন্তু এই নারীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় অবনত হয়েছেন তিনি।
সূত্র: নবীনচন্দ্র সেন, আমার জীবন দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪-৬৫
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে