আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাজারে স্বস্তির কোনো খবর নেই। বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ময়দার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ নতুন করে বিপাকে পড়তে চলেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৭ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চিনির শুল্ক কমলেও শিগগির এটির দাম কমবে না বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেলের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) দাবি করেছে, সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিলেও যেন নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখে। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকার নিত্যপণ্যের ট্রেডিং করলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। সরকার নিত্যপণ্যের ২০-২৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারে। যাতে সরকারি কোষাগার লোকসান দিয়ে নয়, বরং যৌক্তিক দামে বিক্রি করবে। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করছেন তিনি।
গতকাল নিত্যপণ্যের মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পরিশোধনকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় পরিশোধনকারী মিলগুলো প্রতি লিটার বোতলের দাম ১৬৮ টাকা করার প্রস্তাব করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। ওই চিঠির বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনকে দাম হিসাব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ট্যারিফ কমিশন হিসাব করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬২ টাকা নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর দাম ১৬০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই বর্ধিত দাম বাণিজ্যসচিব ও বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই ঘোষণা করা হবে।
সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা ও পাম তেল ১১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম নির্ধারণ রয়েছে ১৫৩ টাকা। অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতল ১৫৩ টাকা, পাম তেল ১১৬ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে তা ১২৯ থেকে বেড়ে ১৩৬ টাকা, পাম ১১৬ থেকে ১১৯ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৫৩ থেকে ১৬০ টাকা এবং ৭২৮ টাকার ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিনির মূল্য না কমার বিষয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চিনির দাম কমতে একটু সময় লাগবে। কারণ, দেশে যে চিনি রয়েছে তা বর্তমানে ধার্য করা শুল্কে আমদানি করা। এ জন্য এই পণ্যটির দাম কমতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে। তবে গতকাল বৈঠকে চিনির দাম নির্ধারণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
পরিশোধনকারী মিল মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাম অনুমোদন হওয়ার পর সেটি গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে মিল গেট, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম দেওয়া থাকবে বলে জানানো হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৩০-১৩৬ টাকা। প্রতি ৫ লিটারের বোতল ৬৮০-৭২০ টাকায়। এক মাস আগে ছিল ৬৭০-৭১০ টাকা। ১ লিটারের বোতল ১৪৫-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৪০-১৫০ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা, যা মাসখানেক আগে ছিল ১২০-১২৬ টাকা।
১১ অক্টোবর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে পেঁয়াজ, চিনি ও ভোজ্যতেল নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জানানো হয়, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৩ হাজার টন।
বাজারে স্বস্তির কোনো খবর নেই। বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ময়দার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ নতুন করে বিপাকে পড়তে চলেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৭ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চিনির শুল্ক কমলেও শিগগির এটির দাম কমবে না বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেলের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) দাবি করেছে, সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিলেও যেন নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখে। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকার নিত্যপণ্যের ট্রেডিং করলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। সরকার নিত্যপণ্যের ২০-২৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারে। যাতে সরকারি কোষাগার লোকসান দিয়ে নয়, বরং যৌক্তিক দামে বিক্রি করবে। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করছেন তিনি।
গতকাল নিত্যপণ্যের মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পরিশোধনকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় পরিশোধনকারী মিলগুলো প্রতি লিটার বোতলের দাম ১৬৮ টাকা করার প্রস্তাব করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। ওই চিঠির বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনকে দাম হিসাব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ট্যারিফ কমিশন হিসাব করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬২ টাকা নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর দাম ১৬০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই বর্ধিত দাম বাণিজ্যসচিব ও বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই ঘোষণা করা হবে।
সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা ও পাম তেল ১১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম নির্ধারণ রয়েছে ১৫৩ টাকা। অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতল ১৫৩ টাকা, পাম তেল ১১৬ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে তা ১২৯ থেকে বেড়ে ১৩৬ টাকা, পাম ১১৬ থেকে ১১৯ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৫৩ থেকে ১৬০ টাকা এবং ৭২৮ টাকার ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিনির মূল্য না কমার বিষয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চিনির দাম কমতে একটু সময় লাগবে। কারণ, দেশে যে চিনি রয়েছে তা বর্তমানে ধার্য করা শুল্কে আমদানি করা। এ জন্য এই পণ্যটির দাম কমতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে। তবে গতকাল বৈঠকে চিনির দাম নির্ধারণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
পরিশোধনকারী মিল মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাম অনুমোদন হওয়ার পর সেটি গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে মিল গেট, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম দেওয়া থাকবে বলে জানানো হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৩০-১৩৬ টাকা। প্রতি ৫ লিটারের বোতল ৬৮০-৭২০ টাকায়। এক মাস আগে ছিল ৬৭০-৭১০ টাকা। ১ লিটারের বোতল ১৪৫-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৪০-১৫০ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা, যা মাসখানেক আগে ছিল ১২০-১২৬ টাকা।
১১ অক্টোবর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে পেঁয়াজ, চিনি ও ভোজ্যতেল নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জানানো হয়, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৩ হাজার টন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে