হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
১০ বছর আগেও তাদের বলা হচ্ছিল আধুনিক ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা দল। শিরোপা, মাঠের দাপট ও সৌন্দর্য সব কিছুতেই বার্সেলোনা ছিল অনন্য এক দল। এমনকি হেরে যাওয়া ম্যাচেও বার্সার দাপট থাকত চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেই বার্সা এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব।
দশক না পেরোতেই বার্সা এখন গড়পড়তা দল, যারা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বও পেরোতে পারে না। কখনো কখনো সেই পারফরম্যান্সকে গড়পড়তা নম্বরও দেওয়া যাচ্ছে না! তবে সেরা সময় পেছনে ফেলে পরাশক্তি থেকে গড়পড়তা মানে নেমে আসা এমন দলের তালিকা অবশ্য একেবারে ছোট নয়। লিভারপুলের মতো দল অবশ্য লম্বা সময়ের খরা পার করে আবার পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এসি মিলান, আয়াক্স, বেনফিকা কিংবা নটিংহাম ফরেস্টের মতো ক্লাবগুলো এখনো সেরা সময় ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তেমন কয়েকটি ক্লাব নিয়েই এই আয়োজন।
এসি মিলান
ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সফল দল এসি মিলান। এক সময় শিরোপার ক্যাবিনেট থেকে শুরু করে ফুটবল দর্শন সব কিছু বদলে দিয়েছিল ইতালিয়ান এই ক্লাবটি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে দাপটের পথে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই সাফল্য মিলছিল। তবে আশির শেষভাগে গিয়ে কোচ আরিগো সাচ্চির হাত ধরে ইউরোপে নিজেদের রাজত্ব তৈরি করে তারা। নিজেদের দাপুটে ফুটবলের ধারা ২০০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত রাখে মিলান। এরপরই শুরু হয় চূড়ান্ত পতন। মাঝে ২০১০-১১ মৌসুমে একবার ঘরোয়া লিগ জেতার ঘটনা বাদ দিলে লম্বা সময় ধরে মিলানের আর কোনো বড় সাফল্য নেই। অথচ এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭টি শিরোপা তাদের দখলে। সিরি ’আর শিরোপা তারা ঘরে তুলেছে ১৮ বার। কিন্তু সেসব যেন এখন রূপকথার গল্প। ইতিহাসের ধ্বংসস্তূপের মাঝেই চাপা পড়ে গেছে তাদের ফুটবলীয় সাফল্য।
আয়াক্স
টোটাল ফুটবল নামক একটি নতুন ধারা ষাট ও সত্তর দশকে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। দুই ফুটবল কিংবদন্তি রাইনাস মিশেল ও ইয়োহান ক্রুইফ এই আয়াক্সেই সেই নতুন কৌশলের সৃষ্টি করেছিল। এই ধারা পরবর্তী সময়ে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের অন্যান্য ক্লাবে। সে সময় টানা তিন মৌসুম ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছিল আয়াক্স। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ছন্দপতন। ঘরোয়া লিগে নিয়মিত বিরতিতে সাফল্য পেলেও ভাগ্য ফেরেনি ইউরোপে। ১৯৯৪-৯৫ সালে সর্বশেষ ইউরোপিয়ান মঞ্চে সাফল্য পেয়েছিল তারা।
বেনফিকা
ষাটের দশকের শুরুতে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল বেনফিকা। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে পাঁচবার ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে ওঠে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কিন্তু নিজেদের সেই লাগাম অল্প সময়ের ব্যবধানে হাতছাড়া করে ফেলে। বেনফিকার পতনের জন্য অবশ্য অন্য এক ঘটনাকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, তখনকার কোচ বেলা গুটমানের এক অভিশাপেই পতন শুরু হয় বেনফিকার। পরপর দুই মৌসুম শিরোপা জিতিয়ে তিনি ক্লাবকে বেতন বাড়াতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে গুটমান ঘোষণা দেন, ‘আজ থেকে আগামী ১০০ বছরেও বেনফিকা আর কোনো ইউরোপিয়ান শিরোপা জিততে পারবে না।’ তাঁর এই অভিশাপেই নাকি এখনও বেনফিকার ইউরোপীয় শিরোপা জেতা হয়নি।
১০ বছর আগেও তাদের বলা হচ্ছিল আধুনিক ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা দল। শিরোপা, মাঠের দাপট ও সৌন্দর্য সব কিছুতেই বার্সেলোনা ছিল অনন্য এক দল। এমনকি হেরে যাওয়া ম্যাচেও বার্সার দাপট থাকত চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেই বার্সা এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব।
দশক না পেরোতেই বার্সা এখন গড়পড়তা দল, যারা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বও পেরোতে পারে না। কখনো কখনো সেই পারফরম্যান্সকে গড়পড়তা নম্বরও দেওয়া যাচ্ছে না! তবে সেরা সময় পেছনে ফেলে পরাশক্তি থেকে গড়পড়তা মানে নেমে আসা এমন দলের তালিকা অবশ্য একেবারে ছোট নয়। লিভারপুলের মতো দল অবশ্য লম্বা সময়ের খরা পার করে আবার পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এসি মিলান, আয়াক্স, বেনফিকা কিংবা নটিংহাম ফরেস্টের মতো ক্লাবগুলো এখনো সেরা সময় ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তেমন কয়েকটি ক্লাব নিয়েই এই আয়োজন।
এসি মিলান
ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সফল দল এসি মিলান। এক সময় শিরোপার ক্যাবিনেট থেকে শুরু করে ফুটবল দর্শন সব কিছু বদলে দিয়েছিল ইতালিয়ান এই ক্লাবটি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে দাপটের পথে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই সাফল্য মিলছিল। তবে আশির শেষভাগে গিয়ে কোচ আরিগো সাচ্চির হাত ধরে ইউরোপে নিজেদের রাজত্ব তৈরি করে তারা। নিজেদের দাপুটে ফুটবলের ধারা ২০০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত রাখে মিলান। এরপরই শুরু হয় চূড়ান্ত পতন। মাঝে ২০১০-১১ মৌসুমে একবার ঘরোয়া লিগ জেতার ঘটনা বাদ দিলে লম্বা সময় ধরে মিলানের আর কোনো বড় সাফল্য নেই। অথচ এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭টি শিরোপা তাদের দখলে। সিরি ’আর শিরোপা তারা ঘরে তুলেছে ১৮ বার। কিন্তু সেসব যেন এখন রূপকথার গল্প। ইতিহাসের ধ্বংসস্তূপের মাঝেই চাপা পড়ে গেছে তাদের ফুটবলীয় সাফল্য।
আয়াক্স
টোটাল ফুটবল নামক একটি নতুন ধারা ষাট ও সত্তর দশকে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। দুই ফুটবল কিংবদন্তি রাইনাস মিশেল ও ইয়োহান ক্রুইফ এই আয়াক্সেই সেই নতুন কৌশলের সৃষ্টি করেছিল। এই ধারা পরবর্তী সময়ে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের অন্যান্য ক্লাবে। সে সময় টানা তিন মৌসুম ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছিল আয়াক্স। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ছন্দপতন। ঘরোয়া লিগে নিয়মিত বিরতিতে সাফল্য পেলেও ভাগ্য ফেরেনি ইউরোপে। ১৯৯৪-৯৫ সালে সর্বশেষ ইউরোপিয়ান মঞ্চে সাফল্য পেয়েছিল তারা।
বেনফিকা
ষাটের দশকের শুরুতে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল বেনফিকা। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে পাঁচবার ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে ওঠে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কিন্তু নিজেদের সেই লাগাম অল্প সময়ের ব্যবধানে হাতছাড়া করে ফেলে। বেনফিকার পতনের জন্য অবশ্য অন্য এক ঘটনাকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, তখনকার কোচ বেলা গুটমানের এক অভিশাপেই পতন শুরু হয় বেনফিকার। পরপর দুই মৌসুম শিরোপা জিতিয়ে তিনি ক্লাবকে বেতন বাড়াতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে গুটমান ঘোষণা দেন, ‘আজ থেকে আগামী ১০০ বছরেও বেনফিকা আর কোনো ইউরোপিয়ান শিরোপা জিততে পারবে না।’ তাঁর এই অভিশাপেই নাকি এখনও বেনফিকার ইউরোপীয় শিরোপা জেতা হয়নি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪