সম্পাদকীয়
কবিতা নিয়ে শহীদ কাদরীর ছিল দোদুল্যমানতা। অল্প বয়সেই তাঁর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, ফজল শাহাবুদ্দীনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে।
শামসুর রাহমানকেই জিজ্ঞেস করতেন শহীদ কাদরী, ‘আমার কি হবে?’
শামসুর রাহমান বলতেন, ‘হ্যাঁ, হবে। তবে আপনার মধ্যে দুটো অপজিট ফোর্স কাজ করে। আপনি খুব ভালো লিখতে পারেন অথবা আপনি নষ্টও হয়ে যেতে পারেন।’
খালেদ চৌধুরী, সুকুমার মজুমদারদের সঙ্গে মেলামেশার কারণে কবিতা লেখা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন শহীদ কাদরী। এদের দুজনেরই নখদর্পণে প্লেটো, হেগেল, কান্ট। শহীদ কাদরীও ডুবে গেলেন দর্শনের দুনিয়ায়। দেখলেন, কবিরা কবিতার অনুপ্রেরণা বা আবেগে অনেক কথা বলেন, যার কোনো অর্থ হয় না। তাই প্লেটো তাঁর রিপাবলিক থেকে কবিতাকে ছেঁটে দিয়েছেন। কবিতাকে তখন শহীদ কাদরীর মনে হতো ছেলেমানুষি।
সে সময় সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম কবিতার বই ‘একদা রাত্রি’ বেরিয়েছে। সৈয়দ হক এসে শহীদ কাদরীকে ধরলেন, ‘একটা রিভিউ লিখে দাও।’
শহীদ কাদরী বইটা বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সৈয়দ হক শহীদ কাদরীকে বিলক্ষণ চিনতেন। এই আড্ডা থেকে সরে গেলে যে রিভিউ লেখা লাটে উঠবে, সেটা জানতেন। তাই বললেন, ‘শহীদ ভাই, আপনি একবার গেলে আপনাকে আর পাওয়া যাবে না। এখানে বসেই লিখে দিন।’
এরপর সৈয়দ হক বললেন, ‘বইটার একটা প্রকাশনা উৎসব হয়েছিল। সেখানেই শামসুর রাহমান বলেছিলেন, আহ্, আজকে শহীদ কোথায়? ও ছেলেটা লিখতে পারত। ও নিজেকে নষ্ট করল খামোখাই।’
এই কথা শুনে মন খারাপ হলো শহীদ কাদরীর। তিনি বাড়ি ফিরে সেই সন্ধ্যায় আধঘণ্টার মধ্যে এক বসায় লিখে ফেললেন ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতাটা।
‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে/ যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে/ ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে/শহর উজাড় হবে, –বলে গেল কেউ’।
প্লেটোকে অগ্রাহ্য করে অসাধারণ কবিতাটির জন্ম এভাবেই।
সূত্র: শামস আল মমিনের নেওয়া সাক্ষাৎকার, শহীদ কাদরী স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৮৯
কবিতা নিয়ে শহীদ কাদরীর ছিল দোদুল্যমানতা। অল্প বয়সেই তাঁর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, ফজল শাহাবুদ্দীনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে।
শামসুর রাহমানকেই জিজ্ঞেস করতেন শহীদ কাদরী, ‘আমার কি হবে?’
শামসুর রাহমান বলতেন, ‘হ্যাঁ, হবে। তবে আপনার মধ্যে দুটো অপজিট ফোর্স কাজ করে। আপনি খুব ভালো লিখতে পারেন অথবা আপনি নষ্টও হয়ে যেতে পারেন।’
খালেদ চৌধুরী, সুকুমার মজুমদারদের সঙ্গে মেলামেশার কারণে কবিতা লেখা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন শহীদ কাদরী। এদের দুজনেরই নখদর্পণে প্লেটো, হেগেল, কান্ট। শহীদ কাদরীও ডুবে গেলেন দর্শনের দুনিয়ায়। দেখলেন, কবিরা কবিতার অনুপ্রেরণা বা আবেগে অনেক কথা বলেন, যার কোনো অর্থ হয় না। তাই প্লেটো তাঁর রিপাবলিক থেকে কবিতাকে ছেঁটে দিয়েছেন। কবিতাকে তখন শহীদ কাদরীর মনে হতো ছেলেমানুষি।
সে সময় সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম কবিতার বই ‘একদা রাত্রি’ বেরিয়েছে। সৈয়দ হক এসে শহীদ কাদরীকে ধরলেন, ‘একটা রিভিউ লিখে দাও।’
শহীদ কাদরী বইটা বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সৈয়দ হক শহীদ কাদরীকে বিলক্ষণ চিনতেন। এই আড্ডা থেকে সরে গেলে যে রিভিউ লেখা লাটে উঠবে, সেটা জানতেন। তাই বললেন, ‘শহীদ ভাই, আপনি একবার গেলে আপনাকে আর পাওয়া যাবে না। এখানে বসেই লিখে দিন।’
এরপর সৈয়দ হক বললেন, ‘বইটার একটা প্রকাশনা উৎসব হয়েছিল। সেখানেই শামসুর রাহমান বলেছিলেন, আহ্, আজকে শহীদ কোথায়? ও ছেলেটা লিখতে পারত। ও নিজেকে নষ্ট করল খামোখাই।’
এই কথা শুনে মন খারাপ হলো শহীদ কাদরীর। তিনি বাড়ি ফিরে সেই সন্ধ্যায় আধঘণ্টার মধ্যে এক বসায় লিখে ফেললেন ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ কবিতাটা।
‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে/ যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে/ ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে/শহর উজাড় হবে, –বলে গেল কেউ’।
প্লেটোকে অগ্রাহ্য করে অসাধারণ কবিতাটির জন্ম এভাবেই।
সূত্র: শামস আল মমিনের নেওয়া সাক্ষাৎকার, শহীদ কাদরী স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৮৯
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে