সম্পাদকীয়
দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু জাতির জনক কেমন আছেন, কেউ জানে না। তাঁকে হত্যা করার ছক কাটা হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল পাকিস্তানের কারাগারে।
দেশজুড়ে বিজয়ের উল্লাস। সেই উল্লাসের ভেতরে আবার শঙ্কা। বঙ্গবন্ধু কি বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলে কেমন আছেন? ১৯৬৬ সালের ৬ দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন এই ভূখণ্ডের প্রতিচ্ছবি। তাঁর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যাচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুও জানতেন না, কী ঘটেছে এই নয় মাস। পাকিস্তানিরা আর এ দেশের দালাল রাজাকার-আলবদররা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে ভিটেবাড়ি, মানুষকে উচ্ছেদ করেছে নিজভূমি থেকে।
এসবের কিছুই জানতেন না বঙ্গবন্ধু। তিনি ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না। মৃত্যু এলে আসবে, তা বরণ করতেও প্রস্তুত, কিন্তু কোনোভাবেই দেশবাসীর সঙ্গে বেইমানি করবেন না।
পাকিস্তানের ৯০ হাজার যুদ্ধবন্দীর ভবিষ্যৎ নিয়ে পাকিস্তানিরা তখন চিন্তিত। ফলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের ভাবনায় পরিবর্তন এসেছিল।
মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু গেলেন লন্ডনে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনের পর ফোন করলেন ঢাকায়। কথা বললেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, বেগম মুজিবসহ আরও অনেকের সঙ্গে। কথা বলেছিলেন রাসেলের সঙ্গেও।
বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারের সঙ্গে রাসেলও ছিল গৃহবন্দী। শেখ কামাল আর শেখ জামাল গিয়েছিলেন যুদ্ধে।
বঙ্গবন্ধু রাসেলকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কি সবাই বেঁচে আছ?’
এত দিন পর বাবার কণ্ঠস্বর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে যায় শেখ রাসেল। সে বলে, ‘আব্বা, ওরা কি তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে? তুমি কবে আসবে? ওরা কিন্তু আমাদের খুব কষ্ট দিয়েছে। আব্বা, এখন আমরা সবাই ভালো আছি।’
রাসেল যখন কথা বলছিল, তখন সেই ঘরে উপস্থিত প্রত্যেক মানুষের চোখে ছিল জল। আনন্দের অনুভূতির সঙ্গে চোখের জলের নিবিড় সম্পর্কটি অনুভব করছিলেন সবাই।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ জানুয়ারি, ১৯৭২
দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু জাতির জনক কেমন আছেন, কেউ জানে না। তাঁকে হত্যা করার ছক কাটা হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল পাকিস্তানের কারাগারে।
দেশজুড়ে বিজয়ের উল্লাস। সেই উল্লাসের ভেতরে আবার শঙ্কা। বঙ্গবন্ধু কি বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলে কেমন আছেন? ১৯৬৬ সালের ৬ দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন এই ভূখণ্ডের প্রতিচ্ছবি। তাঁর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যাচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুও জানতেন না, কী ঘটেছে এই নয় মাস। পাকিস্তানিরা আর এ দেশের দালাল রাজাকার-আলবদররা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে ভিটেবাড়ি, মানুষকে উচ্ছেদ করেছে নিজভূমি থেকে।
এসবের কিছুই জানতেন না বঙ্গবন্ধু। তিনি ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না। মৃত্যু এলে আসবে, তা বরণ করতেও প্রস্তুত, কিন্তু কোনোভাবেই দেশবাসীর সঙ্গে বেইমানি করবেন না।
পাকিস্তানের ৯০ হাজার যুদ্ধবন্দীর ভবিষ্যৎ নিয়ে পাকিস্তানিরা তখন চিন্তিত। ফলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের ভাবনায় পরিবর্তন এসেছিল।
মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু গেলেন লন্ডনে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনের পর ফোন করলেন ঢাকায়। কথা বললেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, বেগম মুজিবসহ আরও অনেকের সঙ্গে। কথা বলেছিলেন রাসেলের সঙ্গেও।
বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারের সঙ্গে রাসেলও ছিল গৃহবন্দী। শেখ কামাল আর শেখ জামাল গিয়েছিলেন যুদ্ধে।
বঙ্গবন্ধু রাসেলকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কি সবাই বেঁচে আছ?’
এত দিন পর বাবার কণ্ঠস্বর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে যায় শেখ রাসেল। সে বলে, ‘আব্বা, ওরা কি তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে? তুমি কবে আসবে? ওরা কিন্তু আমাদের খুব কষ্ট দিয়েছে। আব্বা, এখন আমরা সবাই ভালো আছি।’
রাসেল যখন কথা বলছিল, তখন সেই ঘরে উপস্থিত প্রত্যেক মানুষের চোখে ছিল জল। আনন্দের অনুভূতির সঙ্গে চোখের জলের নিবিড় সম্পর্কটি অনুভব করছিলেন সবাই।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ জানুয়ারি, ১৯৭২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে